মগবাজারের পরিত্যক্ত সেই ভবনে পঁচা মাংসের দুর্গন্ধ
রাজধানীর মগবাজারে একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার চারদিন কেটে গেছে। তবে এখনো ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির আশপাশে পড়ে আছে ধ্বংসাবশেষ। ইতিমধ্যে ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে ভবনটির নিচতলায় বেঙ্গল মিটের যে দোকানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখান থেকে বেরোচ্ছে মাংস পঁচা দুর্গন্ধ।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির চারপাশ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভবনটির নিচতলায় অবস্থিত শর্মা হাউজ, বেঙ্গল মিট ও গ্র্যান্ড কনফেকশনারীর দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে শর্মা হাউজ এবং গ্র্যান্ড কনফেকশনারী দোকানে শুকনা খাবার বিক্রি করা হতো। তাই পচনশীল খাবার থাকার সম্ভাবনা নেই। বেঙ্গল মিট তাদের দোকানে মাংস হিমায়িত করে রাখত। ভবনটিতে দুর্ঘটনার পর থেকে বেঙ্গল মিট এর দোকানের ভেতরে ধ্বংস হয়ে থাকা ডিপ ফ্রিজ এখনো এখনো নিষ্কাশন করা হয়নি। সেখান থেকেই পঁচা মাংস দুর্গন্ধ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।
বিস্ফোরিত হওয়া ভবনটির দ্বিতীয় তলায় রয়েছে সিঙ্গার কোম্পানির অফিস। ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করায়, কোম্পানিতে অফিসের রক্ষিত মালপত্র এখনো বের করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। মালামাল দেখভালের জন্য রাখা হয়েছে একজন সিকিউরিটি গার্ড। তবে ভবনটি থেকে পঁচা মাংসের দুর্গন্ধ বের হওয়ার কারণে তিনিও দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে থাকতে পারছেন না। পাশের একটি ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন।
সিকিউরিটি গার্ড বাকি বিল্লাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, গতকাল রাত দশটা থেকে আমি এই ভবনের দায়িত্বে কাজ করছি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালামাল দেখভালের জন্য আমাকে সাভার থেকে এখানে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দুর্গন্ধের কারণে ভবনের সামনে ডিউটি করতে পারছি না। আশেপাশের এলাকার মানুষ বলছেন, বেঙ্গল মিট এর দোকানের ডিপ ফ্রিজে রক্ষিত মাংস পচে এ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলের সেই ভবনের দায়িত্বে নিয়োজিত রমনা মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামান রাইজিংবিডিকে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ভবনটি ও আশপাশের এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ইতোমধ্যে আলামত সংগ্রহ করেছেন। রাস্তায় পড়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ সরানো হয়েছে। তবে ভবনের নিচে অবস্থিত দোকানের মালামাল সরানো হয়নি। ফলে বেঙ্গল মিট এর দোকানের ভিতর ধ্বংসাত্বক ফ্রিজে রক্ষিত মাংস পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
দুর্ঘটনাকবলিত ভবনটির বিভিন্ন অংশ ও আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত ধ্বংসাবশেষ থেকে আলামত সংগ্রহের কার্যক্রম শেষ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস জমে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে। ইতিমধ্যে ফায়ার সার্ভিস সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তর থেকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছেন।
ঢাকা/এনটি/এমএম
- ৩ বছর আগে মগবাজারে বিস্ফোরণ: ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরোচ্ছে মিথেন গ্যাস
- ৩ বছর আগে মগবাজারে বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ১১
- ৩ বছর আগে মগবাজারে বিস্ফোরণ: আরও ১ জনের মৃত্যু
- ৩ বছর আগে মগবাজারে বিস্ফোরণ: আরও ১ জনের মৃত্যু
- ৩ বছর আগে মগবাজারে বিস্ফোরণ: আর ‘বাবা’ ডাকা হবে না নোহার
- ৩ বছর আগে মগবাজারে বিস্ফোরণ: দুই দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ উদ্ধার
- ৩ বছর আগে গ্যাস বিস্ফোরণ: যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- ৩ বছর আগে গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই ভবনে বিস্ফোরণ: তদন্ত কমিটি
- ৩ বছর আগে মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা
- ৩ বছর আগে ভবনে বিস্ফোরণ: কারণ জানতে পুলিশের তদন্ত কমিটি
- ৩ বছর আগে ভবন বিস্ফোরণে নিহত দুজনকে খুঁজে পেলেন স্বজনেরা
- ৩ বছর আগে মগবাজারে বিস্ফোরণ: ভূমিকম্প মনে করেছিলেন এলাকাবাসী
- ৩ বছর আগে অবৈধ বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ দ্রুত বন্ধ করুন: হারুনুর রশিদ
- ৩ বছর আগে যে কারণে মগবাজারে বিস্ফোরণ
- ৩ বছর আগে মগবাজারের ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি সংসদে