ঢাকা     শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৩ ১৪৩১

নিয়তি ওদের দিয়েছে ‘পায়ের তলার জীবন’

খায়রুল বাশার আশিক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ২৪ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ১৯:০৩, ২৪ আগস্ট ২০২২
নিয়তি ওদের দিয়েছে ‘পায়ের তলার জীবন’

জিহাদুল ইসলাম ও আবু হাসান মানিক বন্ধু। দুজনেরই বয়স দশের কাছাকাছি। কোনো শ্রেণিকক্ষের সূত্রে তাদের বন্ধুত্ব হয়নি। প্রথম পরিচয় ঢাকার কেরানীগঞ্জে, এক বস্তিতে। বন্ধুত্বের ভিত্তি রচিত হয় সদরঘাটে। ওরা সদরঘাটে পানি বিক্রি করে। রাতে ঘুমায় লঞ্চঘাটের ওয়াকওয়ের নিচের একটি ফাঁকা জায়গায়। দুটি ছেঁড়া-ফুটো বালিশ আর একটি লাল রঙের কম্বল জিহাদ-মানিকের সম্বল। ওয়াকওয়ের ওপর দিয়ে প্রতিদিন হেঁটে চলে অগণিত লঞ্চযাত্রী। হাজারো মানুষের পায়ের আওয়াজে ওদের ঘুম আসে, ঘুম ভাঙে। ওদের নিয়তিই এমন। এই বৈরী নিয়তি ওদের দিয়েছে ‘পায়ের তলার জীবন’।

জিহাদ-মানিক শুধু বন্ধু নয়, দুজনেই ব্যবসায়ের অংশীদার। প্রচণ্ড ঝড় কিংবা বৃষ্টি, শীত অথবা গরম ওদের দিন কাটে একসঙ্গে। দুজনের জীবন যেন এক সুতোয় গাঁথা। দিনভর লঞ্চযাত্রীদের কাছে পানি বিক্রির পর দিনশেষে ক্লান্ত দেহে ঘুম। পরদিন সকালে আবার একই কর্মযজ্ঞ। 

‘এই ইনটেক পানি লন, মাম-ফ্রেশ পানি লন, পানি লন পানি’- চেঁচাচ্ছিল জিহাদ। কথার ধাঁচেই বোঝা যায়, ওর বাড়ি বরিশাল অঞ্চলের কোথাও। পরে জানা গেল, জিহাদের বাড়ি ভোলার তজুমদ্দিনে। গ্রাম ছেড়েছে প্রায় দুই বছর। তখন জিহাদের বয়স আট। বাবা কামরুল ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকেন, ভ্যান চালান। মা ফাতেমা বেগম গৃহকর্মীর কাজ করেন। মোট ছয় ভাই-বোনের মধ্যে জিহাদ পঞ্চম। পড়ালেখা দৌড় চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত। এরপর নিয়তি আর এগোতে দেয়নি। প্রাথমিক শিক্ষার গণ্ডি না পেরুলেও, জিহাদ পুরোদস্তুর শিখে নিয়েছে টাকার হিসাব। 

পানি বিক্রির ফাঁকে জিহাদ জানায়, মেঘনার ভাঙন অনেক আগেই কেড়েছে ঘর। এরপর কিছুদিন থেকেছে বেড়িবাঁধের ওপর। পরে ভাঙন পৌঁছে যায় সেখানেও। উপায় না পেয়ে পেটের তাগিদে প্রথমে ওর বাবা আসেন ঢাকায়। কিছুদিন পরে জিহাদও আসে। ঠাঁই হয় কেরানীগঞ্জের একটি বস্তিতে। সেই থেকেই শুরু ঢাকার জীবন। 

জিহাদুল ইসলাম ও আবু হাসান মানিক

মানিকের জীবন-কাহিনি অনেকটা এমনই। জন্মস্থান পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে। মা নেই। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী আর সেই ঘরের সন্তানদের নিয়ে থাকেন মানিকের বাবা। বোনকে নিয়ে কেরানীগঞ্জের বস্তিতে থাকে মানিক। সেখানেই জিহাদের সঙ্গে পরিচয়। মানিক মাঝেমধ্যে কেরানীগঞ্জ বোনের কাছে যায়। তবে, সেখানে থাকতে ভালো লাগে না। বরং সদরঘাটে থাকতেই ভালো লাগে। এ কারণে সদরঘাটেই সে খুঁজে নিয়েছে কর্মসংস্থান, গড়ে নিয়েছে বাসস্থান, চিনে নিয়েছে বন্ধু, গুছিয়ে নিয়েছে থাকা- খাওয়াসহ সব কিছুর সহজ সমাধান। 

আব্দুলের জীবনের গল্পটা আরো কঠিন। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিতিল্লা গ্রামে জন্ম ওর। মা শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাবা সেই কবে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ফলে দেখাশোনার কেউ নেই। একদিন মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে লঞ্চে ওঠে আব্দুল। দিনশেষে পৌঁছে যায় সদরঘাটে। এখন সদরঘাটেই ভিক্ষা করে আব্দুল। এই তো মাত্র কদিন আগে ঢাকায় এসেছে। এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি সদরঘাটের হাবভাব। তবে পেটের ক্ষুধা মেটাতে হলে খেতে হয়- এটুকু বোঝে সে। এ কারণে বেছে নিয়েছে সে ভিক্ষাবৃত্তি। 

কী খাচ্ছ? কোথায় খাও? কোথায় ঘুমাও? জানতে চাইলে আব্দুল জানায়, আসার পর দুদিন দুপুরে ঘাটের স্যাররা (সদরঘাটে স্বেচ্ছাসেবীদের পরিচালিত স্কুলের শিক্ষকরা) পড়ানো শেষে খাবার দিয়েছেন। আরেক দিন খাইয়েছেন এক মাঝি। আর বাকি দিন পেট চলেছে ভিক্ষার টাকায়। আর ঘুম? যখন যেখানে ইচ্ছে।

ওরা কজন তো উদাহরণ মাত্র। নিশাত, রাসেল, হানিফ, মাহিম, অলির মতো প্রায় চারশ শিশু শ্রমিক রয়েছে সদরঘাটে। এতটুকু বয়সে তারা প্রত্যেকেই বুঝেছে জীবনের বাস্তবতা। টাকা রোজগার, তিনবেলা খাওয়া, একটু ঘুমই যেন ওদের জীবনের সারকথা। ওরা জানে, বিলাসিতার জন্য ওদের জন্ম হয়নি। ওরা বোঝে, ওদের জন্মটাই খেটে বড় হওয়ার জন্য। এসব শিশুরা মেনে নিয়েছে, বড় হয়ে হয়তো রিকশা চালাবে কেউ, কেউবা হবে হকার, কুলি। 

লঞ্চঘাটের ওয়াকওয়ের নিচে ফাঁকা স্থানে প্রতিদিন ঘুমায় জিহাদ ও মানিক 

সদরঘাটে আরেক শ্রেণির শিশুরা নজর কাড়ে। এরা পানির বোতল সংগ্রহ করে বিক্রি করে। ঘাটের সবাই ওদের ‘টোকাই’ নামে চেনে। টোকাই সোহাগ, টোকাই রবিউল, টোকাই হানিফের মতো অনেক শিশুর নামের অংশ হয়ে উঠেছে এই ‘টোকাই’ শব্দটি। শুধু ছেলে শিশুই নয়, এখানে অনেক মেয়ে শিশুও আছে, যারা টোকাইয়ের কাজ করে।

লঞ্চ ঘাটে পৌঁছানোমাত্র খালি বোতল সংগ্রহের জন্য ওরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। এদের প্রত্যেকের শরীরে বিশেষ কায়দায় জড়ানো থাকে বিছানার চাদর, কাপড়, বস্তা কিংবা ছেঁড়া কাঁথা। এই কাপড় আসলে বোতল রাখার ব্যাগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যাত্রীদের ব্যবহৃত পানির বোতল পেলেই লুফে নেয় তারা। কুড়িয়ে পাওয়া বোতল বিক্রি করেই পেট চলে ওদের। এমনই এক শিশু আবির (১২)। কথা হলে জানায়, এই কাজ ছাড়া খেয়ে পড়ে বাঁচার উপায় নেই তার। দিনশেষে যা পায়, তা দিয়ে চলে যায়। আর লেখাপড়া? সেটার আর ইচ্ছেও নেই, সুযোগও নেই। 

সদরঘাটে টোকাইয়ের কাজ করা শিশুদের জীবনচিত্র অমানবিক। একটি শিশুর জীবন যেমন হওয়া উচিত, তার লেশমাত্র নেই। শিশু অধিকার তো পরের কথা, সুষম খাদ্য, পরনের কাপড়, চিকিৎসার মতো মৌলিক প্রয়োজনগুলো এখানে একেবারেই অনুপস্থিত। এগুলো দেখারও যেন কেউ নাই। উল্টো ওরা অধিকাংশই মাদকাসক্ত। জীবনকলি ফুল হয়ে ফোটার আগেই ঝরে পড়ার উপক্রম। ডেন্ডি, সিগারেট, গাঁজাসহ সস্তা নেশাদ্রব্যে অনেকেই চলেছে অন্ধকার অনিশ্চিত এক জীবন-পথে। 
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই শিশুরা মিলে রাতে আড্ডা জমায় বিআইডব্লিউটিএ ভবনের নিচ তলার পশ্চিম প্রান্তে খালি পড়ে থাকা টিকেট বুকিংয়ের জন্য নির্ধারিত কয়েকটি কামরায়। সেখানে ওরা নেশাও করে। পরে দুই-চারজন মিলে ঘুমিয়ে থাকে সেখানেই। একাধিক গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ঢাকার সদরঘাটকেন্দ্রিক প্রায় ৪০০ শ্রমজীবী শিশু রয়েছে। যাদের মধ্যে শতাধিক শিশু থাকে ঘাটের যাত্রীছাউনি, পথ-ঘাট, বিটিআরটিএ ভবনের নিচতলাসহ নানা স্থানে। বাকি শিশুরা রাতে তাদের অভিভাবকের কাছে থাকলেও সকালে টার্মিনালে ফিরে আসে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় অমানবিক জীবন কাটে ওদের। পাশাপাশি অনিরাপদ পরিস্থিতি তো আছেই। 

পথশিশুদের ঠাঁই মিলেছে বিআইডব্লিউটিএ ভবনের নিচ তলার এই কামড়ায় 

স্ট্রিট চিলড্রেন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক (স্ক্যান) সূত্র বলছে, ঢাকায় প্রায় চার লাখ ভাসমান শিশু পুরোপুরি সুরক্ষাহীন ও বিপজ্জনক জীবন কাটাচ্ছে। এসব ভাসমান শিশুরা পরিবারের সান্নিধ্য হারায় ৭ থেকে ১১ বছর বয়সে। এরপর একটি শিশু তারই মতো অন্য আরেকটি শিশুকে বন্ধু বানিয়ে নেয়। তারা একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। খুব সহজে ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়, আবার সহজেই একে অন্যের শত্রুতেও পরিণত হয়। 

সমাজবিজ্ঞান গবেষকদের ভাষায়, রাস্তাঘাটে ঠাঁই হওয়া এসব শিশুদের আমরা ‘পথশিশু’ হিসেবে চিহ্নিত করি। তবে, পথশিশু নামে কোনো শিশুর পরিচয় হতে পারে না। এমন শিশুরাও আর দশটা শিশুর মতোই শিশু। ওরা অধিকারহারা উদ্বাস্তু শিশু। এমন উদ্বাস্তু শিশুর সংখ্যা বাড়ার পেছনেও রয়েছে নানা কারণ। এর মূল কারণ দারিদ্র্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অশিক্ষা, অজ্ঞতা, বাবা-মায়ের সম্পর্কছেদ, বহু বিবাহ, পারিবারিক কলহ, অপরিকল্পিত জন্মদান, দুরারোগ্য ব্যাধি, বাবা-মাকে হারানো ইত্যাদি। 

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদী ভাঙন কবলিত এলাকার শিশুদের সংখ্যা সদরঘাটে বেশি। নদী ভাঙনের ফলে অনেক শিশু ঘর-গৃহস্থালি হারিয়ে শহরমুখী হয়। অনেক শিশু ঠিকানা বঞ্চিত হয়ে সদরঘাটে ঠাঁই নেয়। কেউ কেউ সৎ মায়ের নির্যাতনে বাড়ি ছাড়ে। পাশাপাশি অন্যের প্ররোচনায় পরে অনেক শিশু সদরঘাটের কাজে জড়াচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে ভাসমান শিশুর সংখ্যা। 

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শিশু বিষয়ক গবেষক ড. মু. ইব্রাহীম খলিল বলেন, উদ্বাস্তু শিশুদের নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে বিশেষ করে ঢাকায় এমন শিশুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বাস্তু শিশুদের সংখ্যা বাড়ার অন্যতম কারণ, করোনাকালে অনেক মানুষ দারিদ্রসীমার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হওয়া। বিআইডিএস করোনার কারণে দেশে প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ লোক দারিদ্র্যসীমার মধ্যে চলে যাওয়ার সতর্কবাণী করেছে। গত ৮ মার্চ, ২০২০ পরবর্তী সময়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে লকডাউনের কারণে অনেক বাবা-মা কর্মহীন হয়ে পড়েন। ফলে, অতিদরিদ্র পরিবারগুলো রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়। 

তিনি আরো বলেন, এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, বাসস্থান ও জীবিকা হারিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অধিক হারে অদক্ষ জলবায়ু উদ্বাস্তু শহরে চলে আসছে। এরা পতিত জায়গায়, রাস্তার পাশে, পার্কে, লঞ্চঘাট, ট্রেন বা বাস স্টেশনে ও বস্তিতে বসবাস করছে। পাশাপাশি আত্মকেন্দ্রিকতা বৃদ্ধি ও মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে পরিবারে ভাঙন বেড়েছে। যা উদ্বাস্তু শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।  

সদরঘাটে উন্মুক্ত স্থানে রাখা বস্তার উপরে উদ্বাস্তু শিশুদের ক্লান্তির ঘুম

কীভাবে উদ্বাস্তু শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা যায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইব্রাহীম খলিল বলেন, এটি সহজসাধ্য কোনো ব্যাপার নয়। এর সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িয়ে আছে। সরকার ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ দারিদ্র্য বিমোচনে বিভিন্নমুখী প্রকল্প গ্রহণ করেছে এটি যেমন সত্য, তেমনি এগুলো প্রয়োজনের তুলনায় ঘাটতিও রয়েছে। বড় কথা হলো ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোর প্রকৃত সংখ্যা নিরুপণ করে তাদের নিজ নিজ এলাকাতেই বাসস্থান, কর্মসংস্থান এবং সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আর যারা এরই মধ্যে শহরে এসে পড়েছে, তাদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহের কার্যক্রমের একটি সমন্বিত প্লাটফর্মের আওতায় নিয়ে আসা। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা ও নৈতিকতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নিতে হবে। 

তিনি উদ্বাস্তু শিশুর বাবা-মায়ের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, পথশিশুদের মা-বাবার নিকট ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পথশিশুদের জন্য গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ বিছিন্ন না হয়ে সমন্বিত ও টেকসই হতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, দারিদ্র্য বিমোচনে কার্যকর ব্যবস্থা চালু রাখা এবং জলবায়ু উদ্ভাস্তুদের জন্য বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকি থেকে রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। 

/তারা/ 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়