ঢাকা     শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৩ ১৪৩১

অন্তর্বর্তী সরকারের ১ মাস: পুঁজিবাজারে নানা সংস্কার-উদ্যোগ

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২০:৪৯, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের ১ মাস: পুঁজিবাজারে নানা সংস্কার-উদ্যোগ

গণআন্দোলনের মুখে এক মাস আগে আজকের এই দিনে (৫ আগস্টের) পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার তিন দিন পর অর্থাৎ  ৮ আগস্ট শপথ নেওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেন বরেণ্য অর্থনীতিবিদ এবং শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।

নতুন এ সরকারের নেতৃত্বে গত এক মাসে প্রশাসনসহ বিভিন্ন সেক্টরের শীর্ষপদে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। যা এখনও চলমান আছে। সেই সঙ্গে সেক্টরগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। বিদেশে পাচার অর্থ দেশে ফেরত আনারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেশকিছু ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

দেশের এমন পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহীমূলকভাবে গড়ে তুলতে সংস্কারসহ মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষপদে রদবদল করা হয়েছে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারের বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে সমন্বিত ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ গঠন এবং পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং আস্থা ফেরাতে সময়োপযুগী নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা দ্রুত ফেরার পাশাপাশি অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতি কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরো পড়ুন:

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন এসেছে। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো-

বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতের পদত্যাগ: গত ১০ আগস্ট রাতে পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পদত্যাগ করেন। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

বিএসইসির দুই কমিশনারের পদত্যাগ: বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের পদত্যাগের পর গত ১২ আগস্ট দুইজন কমিশনার পদত্যাগ করেন। তারা হলেন, অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন আহমেদ ও ড. রুমানা ইসলাম।

বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ ও যোগদান: অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৮ আগস্ট বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে বিশিষ্ট ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে নিয়োগ দেয়। তিনি পরের দিন ১৯ আগস্ট বিএসইসিতে যোগদান করেন। যোগদানের দিন তিনি গণমাধ্যমকে জানান, পুঁজিবাজারের সুশাসন নিশ্চিত করা ও আস্থা ফেরানো তার প্রথম কাজ। পূ্ঁজিবাজারকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। গত একদশকে পুঁজিবাজারে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী চার বছর তিনি চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যানসহ স্বতন্ত্র পরিচালকদের পদত্যাগ: বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যানের যোগদানের একদিন পর অর্থাৎ ২০ আগস্ট সন্ধ্যায় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যানসহ সকল স্বতন্ত্র পরিচালকদের পদত্যাগের বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর ২১ ও ২২ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) চেয়ারম্যানসহ স্বতন্ত্র পরিচালকরা ধারাবাহিতভাবে পদত্যাগ করেন। 

ডিএসই পরিচালকের শেয়ার কারসাজি তদন্ত: গত ২০ আগস্ট ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের শেয়ার কারসাজি অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন,  বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মাদ রাকিবুর রহমান এবং উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ আসিফ ইকবাল।

স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন: দেশের উভয় পুঁজিবাজারের সকল কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে গত ২১ আগস্ট দুটি পরিদর্শন কমিটি গঠন করে বিএসইসি। ডিএসই’র পরিদর্শন কমিটির নেতৃত্ব দেন বিএসইসির পরিচালক আবুল কালাম। সিএসসির কমিটির নেতৃত্ব দেবেন বিএসইসির পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার।

পুঁজিবাজারে ১১ ব্যক্তির বিও অ্যাকাউন্ট জব্দ: অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ২১ আগস্ট পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তির বেনিফিসিয়াল ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও অ্যকাউন্ট) জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) নির্দেশ দেয় বিএসইসি। জব্দ হওয়া বিও অ্যাকাউন্টধারীরা হলেন, ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম, বিতর্কিত বিনিয়োগকারী সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিয়ন্ত্রক মো. আবুল খায়ের ওরফে হিরু, তার স্ত্রী ব্রোকারহাউজ মোনার্ক হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাদিয়া হাসান, তার বাবা আবুল কালাম মাতবর, তার বোন কনিকা আফরোজ, তার ভাই সাজেদ মাতবর, মোনার্ক হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান জাবেদ এ মতিন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান সিডব্লিউটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিজা চৌধুরী, সদ্য পদত্যাগ করা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং তার ছেলে জুহায়ের শাহরিয়ার ইসলাম। 

এর আগে গত ২০ আগস্ট ৮ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ওই ব্যক্তিরা হলেন, শিবলী রুবাইয়াত ও তার ছেলে জুহায়ের সারার ইসলাম, বিএমবিএর সাবেক সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, মো. আবুল খায়ের, জাভেদ এ মতিন, মনিজা চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসাইন ও শরিফুল ইসলাম।

নাফিজ সরাফত ও হাসান ইমামের বিও অ্যাকাউন্ট জব্দ: পুঁজিবাজারের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান রেস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান দুই কর্ণধার চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও হাসান তাহের ইমামের বিও অ্যাকাউন্ট গত ২২ আগস্ট জব্দ করা হয়। ডিএসই ও সিএসইর সদস্য প্রতিষ্ঠান মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেসের অনিয়ম তদন্ত সংক্রান্ত বিএসইসির কমিটির কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রেস প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ব্রোকার হাউজটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিচালক জালাল একরামুল কবীরের সব বিও হিসাবও স্থগিত করা হয়।

বিএসইসির শীর্ষ পদে রদবদল: বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের যোগদানের তিন দিন পর অর্থাৎ ২২ আগস্ট সংস্থাটির শীর্ষ পদে রদবদল করা হয়। এ রদবদলে বিএসইসির দুই কমিশনারের পাশাপাশি নির্বাহী পরিচালকদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।

বিএসইসির নতুন কমিশনার নিয়োগ ও যোগদান: বিএসইসি কমিশনারের শূন্য পদে গত ২৮ আগস্ট সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আকবরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরের দিন ২৯ আগস্ট তিনি বিএসইসিতে কাজে যোগদান করেন। এছাড়া গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএসইসি কমিশনারের আরেক শূন্য পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা লালারুখকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরের দিন ৪ সেপ্টেম্বর তিনি বিএসইসিতে কাজে যোগদান করেন। আগামী চার বছর তারা কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

পুরনো সার্কিট ব্রেকার চালুর উদ্যোগ: গত ২৭ আগস্ট শেয়ারের দাম বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে পুরনো সার্কিট ব্রেকার সংক্রান্ত নির্দেশনা (২০২১ সালের ১৭ জুন) পুনর্বহাল করা হয়েছে। ২৮ আগস্ট থেকে তা কার্যকর হয়েছে। এর ফলে শেয়ারের বাজারমূল্য ভেদে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে। একইভাবে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে। তবে, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ওপর ফ্লোরপ্রাইস অব্যাহত থাকায় সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে না।

ক্রিকেটার সাকিবকে শুভেচ্ছাদূত পদ থেকে অপসরণ: গত ২৮ আগস্ট বিএসইসির ‘দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম’ এর শুভেচ্ছা দূত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নিয়োগ বাতিল করা হয়। সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজির অভিযোগ রয়েছে।

লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: গত ২৮ আগস্ট পুঁজিবাজারে যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিধি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয় বিএসইসি। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করার পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লভ্যাংশ পাঠায় না। আর এ ধারা দীর্ঘদিন ধরে চলছে আসছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছেও অভিযোগ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৪ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার: পুঁজিবাজারে অবশিষ্ট ছয়টি কোম্পানির মধ্যে চারটির শেয়ার দরের সর্বনিম্ন স্তর বা সীমা (ফ্লোর প্রাইস) গত ২৮ আগস্ট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ২৯ আগস্ট থেকে তা কার্যকর হয়েছে। কোম্পানি চারটি হলো, খুলনা পাওয়ার, বিএসআরএম, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ার। তবে, বেক্সিমকো এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ওপর ফ্লোরপ্রাইস বহাল রয়েছে।

পুঁজিবাজারে আড়িপাতার সমঝোতা প্রস্তাব বাতিল: গত ২৮ আগস্ট জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সঙ্গে বিএসইসির আড়িপাতার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিএসইসির পক্ষ থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানো চিঠি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী বা বিও হিসাবধারীর ব্যক্তিগত তৎপরতার খোঁজখবর গোপনে আড়িপাতার জন্যই বিএসইসির সদ্য পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

মশিউর সিকিউরিটিজে তদন্ত ও পরিচালকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা: মশিউর সিকিউরিটিজের (ট্রেক নং-১৩৪) বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রায় ৬৯ কোটি টাকার ঘাটতি পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ আগস্ট অধিকতর তদন্তের স্বার্থে বিএসইসি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। একইসঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজটির কর্তা ব্যক্তিরা যেন বিদেশ পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয় বিএসইসি।

পুঁজিবাজারে অনিয়ম-কারসাজি-দুর্নীতি অনুসন্ধানে সমন্বিত তদন্ত কমিটি গঠন: পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে গত ১ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের টেরা রিসোর্সেস ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং কনসালটেন্ট জিয়া ইউ আহমেদ, ফিনান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট ইয়াওয়ার সাইদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. জিশান হায়দার ও বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম। গঠিত সমন্বিত তদন্ত কমিটি পুঁজিবাজারের বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে।

ডিএসইর পর্ষদে ৭ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ: গত ১ সেপ্টেম্বর ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদে সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি। ডিএসইর নতুন স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন, মালদ্বীপ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান কে এ এম মাজেদুর রহমান, আর্মি ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিরেক্টর জেনারেল- প্রফেসর মেজর জেনারেল (অব.) ডক্টর মো. কামরুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ আর্মির ৪৬ ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মফিজুল ইসলাম রাশেদ, সেন্টার অন ইনটিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (সিরডাপ) রিসার্চ ডাইরেক্টর ড. মো. হেলালউদ্দিন, মেটলাইফ বাংলাদেশের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ হাম্মাদুল করীম এবং বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার ও ডিজাস্টার রিকভারি সাইট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, চিফ ইনফরমেশন সিকিউরিটি অফিসার (সিআইএসও) বাংলাদেশ ব্যাংক (লিয়েন) মো. ইসহাক মিয়া। 

ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক মালদ্বীপ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান কে এ এম মাজেদুর রহমান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেনের নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে বলে বিতর্ক উঠেছে।
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়