ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

তাজরীন ট্র্যাজেডি

‘নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের চেয়েও খারাপ আছি, দেখার কেউ নেই’ 

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৪, ২৪ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১০:৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
‘নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের চেয়েও খারাপ আছি, দেখার কেউ নেই’ 

ক্ষতিগ্রস্তরা বিভিন্ন সময় পুনর্বাসন, চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছেন

দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা। নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে তাদের। একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা। আহতরা বেঁচে থাকলেও পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে আছেন। বাকি জীবনটা কীভাবে যাবে সেই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। অন্তবর্তীকালীন সরকারের সুদৃষ্টি চান তারা। 

তারা নিজেদের রোহিঙ্গাদের চেয়েও ছোট ভাবছেন। তারা বলছেন, নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের চেয়েও খারাপ আছেন তারা। তাদের দেখার কেউ নেই। রোহিঙ্গারাও তাদের চেয়ে সুখে আছে। 

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ১১২ জন শ্রমিক পুড়ে মারা যান, আহত হন অর্ধশতাধিক। ২৫ নভেম্বর আশুলিয়া থানার এসআই খায়রুল ইসলাম একটি মামলা করেন। ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক একেএম মহসীনুজ্জামান খান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এখন পর্যন্ত ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ১৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসরিন জাহানের আদালতে বিচারাধীন। সর্বশেষ গত ২২ অক্টোবর মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ছিল। তবে ওইদিন সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় আদালত আগামী ২৭ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন। 

ওইদিনের আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, মামলাটি দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ সাক্ষীর জন্য অতিবাহিত হলেও রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার অভিযোগপত্রের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে হাজির করতে পারেনি। অবশিষ্ট সাক্ষীর প্রতি বারবার জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে পারেনি। ফলে সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ায় একদিকে যেমন মামলার জট বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি অন্যদিকে আসামিপক্ষ হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্বের কারণে রাষ্ট্রের ব্যয়ভার বৃদ্ধি পাচ্ছে।  ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭১(২) ধারা অনুযায়ী, যা কিছুই থাকুক না কেন, মামলার শুনানির সময় সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশ অফিসারের। সাক্ষীকে উপস্থিত হওয়ার  জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে তামিলকারী পুলিশ অফিসারের প্রতি সমন প্রেরণের বিধান রয়েছে।  মামলায় সাক্ষীকে আগামী ধার্য তারিখ উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থতার দায়ভার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার উপর বর্তাবে।

মামলার আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের মালিক দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, শামীম মিয়া, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, নিরাপত্তারক্ষী রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল। এর মধ্যে আল আমিন, আনোয়ারুল, শামীম ও মোবারক পলাতক রয়েছেন।

কথা হয় সেদিনের ঘটনায় আহত রেহানা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, “কি যে কষ্টে আছি, বলার ভাষা নেই। দু’বেলা দু’মুঠো ডাল-ভাত খেতে পারি না। গ্রামে যদি জমি-জমা থাকতো সেখানে চলে যেতাম। জমি ছিলো তা বিক্রি করে চিকিৎসা করিয়েছি। ১২ বছর তো হয়ে গেছে বিচার পেলাম না। এখন আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। সেটা এমনভাবে দেওয়া হোক যেন কারো রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে না হয়। শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের বিষয়টা দেখবেন। তার কাছে অনুরোধ, তিনি আমাদের বিষয়টা যেন শেষ করেন। আমরা ধুঁকে ধুঁকে মরতে চাই না, বাঁচতে চাই।” 

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “আমাদের দেশে রোহিঙ্গারা কত সুখে আছে। আর আমরা কি খারাপ অবস্থায় আছি। রোহিঙ্গারাও আমাদের চেয়ে অনেক ভালো আছে। আপনি যদি সেদিনের আহতদের চেহারা দেখেন, দেখবেন কি অবস্থা। আপনার কান্না চলে আসবে। উপরে হয়তো আমরা ভালো আছি। কিন্তু ভিতরে যে কতটা ক্ষত তা কেউ জানে না।”

জরিনা খাতুন নামে আরেকজন বলেন, “অসুস্থ মানুষ। কষ্টের শেষ নাই। সেদিন এতোগুলো শ্রমিক মারা গেছে। ১২ বছর হয়ে গেলো বিচার পেলাম না। আমাদের পুনর্বাসনও হলো না। দুই বাচ্চা আর মাকে নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। কোথাও গিয়ে দাঁড়াবো জায়গাটা নাই। কতগুলো জীবন শেষ করেছে যে খুনী, তার বিচার হলো না ১২ বছরেও। আমরা তার বিচার চাই, পাশাপাশি ক্ষতিপূরণও চাই।”

তিনি বলেন, “কি দোষ ছিলো আমাদের। সেদিন গেটম্যান আল-আমিন কেন গেটে তালা লাগিয়ে দিলো। অনেকে বিল্ডিং থেকে লাফ দেয়। সেদিন কেন লাফ দিয়েছিলাম জানেন। বাঁচার আশায় না। আগুনে পুড়ে মরলে পরিবার লাশটা পেতো না। লাফ দিয়ে পড়লে পরিবার অন্তত লাশটা তো পাবে। এ ভেবে লাফিয়ে পড়ি। লাফ দিয়ে এমন বাচাঁই বাঁচলাম, সবার কাছে বোঝা হয়ে গেছি। এখন মনে হয়, সেদিন আগুনে পুড়ে মরে গেলেও ভালো হতো। আর কত আশায় থাকবো।”

মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “সম্প্রতি আমি এই আদালতে এপিপি হিসেবে যোগদান করেছি। যোগদান করার পরে একটা মাত্র তারিখ পেয়েছি। তবে ওইদিনও আদালতে কোন সাক্ষী আসেননি।” 

সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই মামলার সাক্ষীরা অধিকাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক। তারা যেহেতু দিন মজুর, সেহেতু চাকরির কারণে তাদের ঠিকানা বার বার বদল হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বার বার সমন দিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যারা গার্মেন্টসে চাকরি করেন, যদিও তাদের কাছে সমন পৌঁছায় তাও তারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারছেন না।” 

এক প্রশ্নের জবাবে রবিউল ইসলাম বলেন, “আপনারা জানেন, যারা গার্মেন্টস শ্রমিক তারা একদিন অনুপস্থিত থাকলে তাদের বেতন আটকে দেওয়া হয়। নিয়মিত তারিখের মধ্যে তাদের বেতন হয়না। অপেক্ষায় থাকতে হয় আরেক মাসের জন্য। এতে করে সংসারের খরচ চালাতে তারা হিমশিম খান। এই পরিস্থিতিতে আদালতে সাক্ষী দিতে আসাটা মুখ্য বিষয় নয়, তাদের কাছে মুখ্য বিষয়টি হচ্ছে প্রতিদিন গার্মেন্টসে উপস্থিত থাকা। এসব কারণেই অনেকেই সমন পেয়েও আদালত উপস্থিত হচ্ছেন না।” 

তিনি বলেন, “আমরা সাক্ষীদের ট্রেস করতে পারলে অবশ্যই গার্মেন্টস মালিকদের নোটিশ পাঠাতাম। রাষ্ট্রীয় খরচে সাক্ষীদের আদালতে আনার ব্যবস্থাও করতাম। কিন্তু আমরা তাদের সঠিক ঠিকানায় খুঁজে পাচ্ছি না। তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, সাক্ষ্য হাজির করে খুব শিগগিরই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে পরবর্তী কার্যক্রমের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। যেন ভূক্তভোগী পরিবারগুলো যেন ন্যায়বিচার পায়।”

আসামি দুলাল, হামিদুল, আনিস ও আল আমিনের আইনজীবী রোকেয়া বেগম বলেন, “এ মামলায় বেশিরভাগ সাক্ষী আদালতে ভুল সাক্ষ্য দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনও সঠিক না। দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকলেও সেটা যথাযথভাবে শেষ হচ্ছে না। সাক্ষী যদি না আসে তবুও মামলার সুরাহা করা প্রয়োজন। কারণ আসামিরা চাকরি ফেলে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটার সত্যতা নেই।” 

আইনগত দিক বিবেচনা করে মামলা নিষ্পত্তি হলে তারা নির্দ্বিধায় খালাস পাবেন বলে আশা করছেন এ আইনজীবী।

তাজরীন ফ্যাশনের মালিক দেলোয়ারের আইনজীবী হেলেনা পারভীন বলেন, “আমরাও চাই মামলাটির দ্রুত বিচার শেষে হোক। বিচার যতই দেরিতে শেষ হবে ততই আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাষ্ট্রপক্ষ ঠিকমত সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে পারছে না। এজন্য সাক্ষ্য গ্রহণও শেষ হচ্ছে না। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, সাক্ষীরা অধিকাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক। মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য যাদের নাম উল্লেখ রয়েছে তাদের ঠিকানায় গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি চলমান থাকায় আসামিরা মানসিক ও আর্থিকভাবে কষ্ট পাচ্ছে। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হলে আসামিরা ন্যায় বিচার পাবে।”

তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানের মালিক দেলোয়ার হোসেন এই ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনেই এসেছে, এটা একটি দুর্ঘটনা মাত্র। কেউ কি আর ইচ্ছে করে ২৫০/৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করবে। আশা করি, মামলাটির রায় ঘোষণা হলে সকল আসামি খালাস পাবেন।”

আসামিপক্ষ দাবি করছে এটা একটি নিছক দুর্ঘটনা মাত্র- এই প্রশ্নের উত্তরে এ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মানুষের সৃষ্টি, প্রাকৃতিক সৃষ্টি নয়। নিরীহ ১১২ জন শ্রমিকের প্রাণের মূল্য তাদের দিতে হবে। এই মামলায় জড়িত সকল আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপক্ষ কাজ করে যাবে।”

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ১১২ জন পোশাককর্মী নিহত হন। আহত হন ১০৪ জন শ্রমিক। গার্মেন্টস কারখানাটিতে এক হাজার একশ’ ৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন কিন্তু দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক সেখানে কর্মরত ছিলেন। নিহত ১১২ জনের মধ্যে তৃতীয় তলায় ৬৯ জন, চতুর্থ তলায় ২১ জন, পঞ্চম তলায় ১০ জন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ১২ জন মারা যান। লাশ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকী লাশ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের অশনাক্ত অবস্থায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। ওই ঘটনায় আশুলিয়া থানার এসআই খায়রুল ইসলাম অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নাশকতার পাশাপাশি অবহেলাজনিত মৃত্যুর দণ্ডবিধির ৩০৪(ক) ধারা যুক্ত করা হয়। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পুলিশের ইন্সপেক্টর একেএম মহসীনুজ্জামন।

ভবনটির নকশায় ত্রুটি ও জরুরী নির্গমনের পথ না থাকায় এবং আগুন লাগার পর শ্রমিকরা বাইরে বের হতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মীরা অগ্নিকাণ্ডকে অগ্নিনির্বাপন মহড়া বলে শ্রমিকদের কাজে ফেরত পাঠিয়ে কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দেয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সবুজ বলেন, “এই ১২ বছর আমরা শ্রমিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত কয়েকজন গবেষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, সংস্কৃতি কর্মী এবং গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম তাজরীন মামলাটির কার্যক্রমকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। প্রত্যেকটি সাক্ষ্যশুনানিতে উপস্থিত থেকেছি। বছরের পর বছর আদালতে আসা-যাওয়া এবং সংশ্লিষ্ট অনেকের সাথে কথা বলার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরা মনে করি বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার পেছনে মামলাটি পরিচালনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের দায়সারাপনাই দায়ী। আমরা তিল তিল করে প্রত্যক্ষ করেছি যে,  বিচারকার্য পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষের এই ব্যবস্থাগত অবহেলা, ঔদাসীন্য মালিকের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করছে।”

ঢাকা/টিপু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়