ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

২০১৯: যেসব মৃত‌্যু বেদনা দিয়ে গেল

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২০১৯: যেসব মৃত‌্যু বেদনা দিয়ে গেল

বিদায় নিচ্ছে ২০১৯। নানা করণে স্মরণীয় হয়ে থাকা এ বছরটিতে প্রাপ্তি ও হারানোর তালিকা বেশ লম্বা৷ সাহিত‌্য ও সংস্কৃতির জগত থেকে হারিয়ে যাওয়া গুণীদের নিয়ে এ প্রতিবেদন।

রোসমুন্ডে পিলচার

ব্রিটিশ লেখিকা রোসমুন্ডে পিলচার। জানতে চাওয়া হয়েছিল তার সাফল্যের রহস্য৷ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি বুদ্ধিমান মহিলাদের জন্য সহজ ভাষায় লিখতে জানি।’ ইউরোপে বিশেষ করে জার্মানিতে জনপ্রিয় এ সাহিত্যিক লিখেছেন প্রায় ১০০টি রোমান্টিক উপন্যাস। বিশ্বব্যাপী ৬০ মিলিয়নের বেশি বিক্রি হয়েছিল তার লেখা বই। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৮৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

টমি আনগেরার

শিশুদের জন্য বানানো ছবিগ্রন্থ ‘মুন ম্যান’ দিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন টমি৷  পরে তিনি ব্যঙ্গাত্মক ও শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যঙ্গাত্মক রচনার জন্য বিখ্যাত ছিলেন৷ চলতি বছর ৮৭ বছর বয়সে মারা যান আলাস্কার এই সাহিত্যিক৷

ব্রুনো গানস

সেরা জার্মান-ভাষী অভিনেতাদের একজন বলা হয় তাকে৷ প্রায় ১০০টি চলচ্চিত্র এবং অসংখ্য নাট্য-প্রযোজনায় অবদান রয়েছে তার৷ ‘ডাউনফল’  চলচ্চিত্রে অ্যাডলফ হিটলারকে নিঁপুনভাবে ফুঁটিয়ে তুলেই বিখ্যাত হয়েছিলেন তিনি। পেয়েছিলন অস্কার৷ ৭৭ বছর বয়সে গত ফ্রেব্রুয়ারিতে মারা যান এ কিংবদন্তী৷

মাইকেল ওলফ

মিখাইল ছিলেন পেশায় একজন ফটোগ্রাফার৷ টোকিও, শিকাগো বা হংকংয়ের মতো বড় শহরগুলিতে জনসাধারণের দৈনন্দিন ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তার তোলা ছবি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলেছিল৷ বেশ কয়েকবার ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অ্যাওয়ার্ড পাওয়া এ শিল্পী চলতি বছরের এপ্রিলে ৬৪ বছর বয়সে মারা যান৷

আইওহ মিং পেই

প্যরিসের ল্যুভ মিউজিয়ামের প্রবেশদ্বারের গ্লাস-পিরামিডটির নকশাকারক হলেন পেই৷ শুধু তাই নয়, জার্মানির রাজধানী শহরের ঐতিহাসিক যাদুঘরটির সংস্কারেও অবদান রাখেন তিনি৷ পুরোনো ও আধুনিক স্থাপত্যের মিশেলে নকশা তৈরির জন্য জনপ্রিয় এ শিল্পী ১৯৮৩ সালে বিশ্বখ্যাত প্রিটসকার পুরস্কারে ভূষিত হন৷ গত মে মাসে ১০২ বছর মারা যান তিনি৷

আর্টার ব্রাউনের

আর্টারের জন্ম এক পোলিশ ইহুদি পরিবারে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিবারের অনেক সদস্যকে হারান তিনি৷ তবে থেমে যাননি৷ পেশা হিসেবে বেছে নেন চলচ্চিত্র প্রযোজনায় এবং প্রায় তিনশ সিনেমার প্রযোজনা করেন৷ ‘দ‌্য গার্ডেন অব দ্যা ফিনিজি-কন্টিনিস’ ছবির জন্য ১৯৭০ সালে পান অস্কার পুরস্কার৷ গত জুলাই মাসে ১০০ বছর বয়সে মারা যান তিনি৷

টনি মরিসন

আ্যামেরিকার বর্ণবাদ সমস্যা নিয়ে কাজ করা অল্প কয়েকজনের সাহিত্যিকের একজন ছিলেন আফ্রো-অ্যামেরিকান লেখিকা টনি মরিসন৷ আর তাই তাকে বলা হতো ‘আমেরিকার বিবেকের আওয়াজ’৷ ১৯৯৩ সালে ‘বিলাভড’  উপন্যাসের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান৷ বর্ণবাদ প্রথা নিয়ে লেখনীর মাধ্যমে সরব থাকা এ সাহিত্যিকের রয়েছে পুলিৎজারসহ আরো নানা স্বীকৃতি৷ চলতি বছরের আগস্টে ৮৮ বছর বয়সে মারা যান তিনি৷

রবার্ট ফ্রাঙ্ক

ফটোগ্রাফি জগতে নতুন স্টাইলের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি৷ তবে সুইডিশ-বংশদ্ভোদ ফ্রাঙ্কের প্রতিভা শুধু ফটোগ্রাফি নয় বরং তিনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাও৷ তবে ফ্রাঙ্ক মূলত বিখ্যাত হয়ে উঠেন তার বই ‘দ্য অ্যামেরিকানস’  এর জন্য৷ ৯৪ বছর বয়সে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মারা যান এ গুণী৷

আন্না কারিনা

ষাট এর দশকের ফ্রান্সের চলচ্চিত্রে যে নতুন ধারার প্রবর্তন হয়েছিল, আন্না কারিনা সে সময়ের একজন প্রতিভাধর৷ সে সময়ের বেশকিছু বিখাত চলচ্চিত্র যেমন ‘এ উইম্যান ইন লাভ’ তাকে শিল্পের জগতে স্মরণীয় করে রেখেছে৷ ৭৯ বছর বয়সে চলতি বছরের ডিসেম্বরে মারা যান এ প্রতিভাধর৷

ডরিস ডে

নানামুখী গুণ ছিল তার৷ একাধারে অভিনয় ও গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে৷ কমেডি অভিনেতা হিসেবে জিতেছিলেন অস্কার৷ শেষ জীবনে এসে প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেণ এ অভিনেত্রী৷ চলুতি বছর মে মাসে ৯৭ বছর বয়সে মারা যান তিনি৷

তথ‌্যসূত্র: ডয়চে ভেলে


ঢাকা/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ