ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হুয়াওয়ের সাস্টেইনাবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ১৩ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হুয়াওয়ের সাস্টেইনাবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : হুয়াওয়ে ২০১৮ সালের সাস্টেইনাবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। কোম্পানিটির দায়িত্বশীল ও টেকসই ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে মানানসই বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগের বিস্তারিত তথ্য এ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে হুয়াওয়ে তাদের গ্রহণকৃত চারটি কৌশল ব্যাখ্যা করে। কৌশলগুলো হলো- ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, নিরাপত্তা এবং বিশ্বস্ততা, পরিবেশ সুরক্ষা এবং একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুসংহত পরিবেশ ব্যবস্থা।

এছাড়াও, বাংলাদেশে হুয়াওয়ের চলমান বিভিন্ন ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান এবং নারীর ক্ষমতায়নে অন্যান্য পার্টনারদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে নারীদের প্রদানকৃত আইসিটি বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রম গুরুত্ব পেয়েছে এ বছরের রিপোর্টে।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস বা এসডিজি) অর্জনে, হুয়াওয়ে তার অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে একটি টেকসই এবং অধিকতর সংযুক্ত ইকোসিস্টেম গড়ার লক্ষ্যে গত বছর থেকে কাজ করে যাচ্ছে এবং এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একই সঙ্গে নিজেদের গ্রহণকৃত কৌশলেরও প্রয়োগ করছে।

গতকাল চীনে আয়োজিত রিপোর্ট প্রকাশ ও পরিবেশন অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া বলেন, ‘হুয়াওয়ের তার গ্রাহকদের আরো অধিকতর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করছে। এসকল কিছুই আমরা করছি যাতে করে আমরা বিশ্বব্যাপী একটি ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন করতে পারি। ডিজিটাল সেবাসমূহকে আমরা আরো সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করে তুলতে চাই এবং আমরা মনে করি কেবলমাত্র এভাবেই সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব।’

ভবিষ্যৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে হুয়াওয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করছে টাওয়ার ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত শক্তির অপচয় রোধ এবং এর কার্যদক্ষতা বৃদ্ধিতে। এই বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে হয়াওয়ে ৫জি প্রযুক্তির গবেষণা, পণ্য ও প্রকৌশলগত উন্নয়নে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে। হুয়াওয়ের স্থাপনকৃত প্রতিটি ৫জি সাইটের বিদ্যুৎ খরচ এই খাতে ব্যবহৃত বিদ্যুতের গড়ের তুলনায় ২০ শতাংশ কম। এটি সম্ভব হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির উদ্ভাবিত নতুন চিপসেট, সিস্টেম সফটওয়্যার, পেশাদার সেবা এবং উন্নত হার্ডওয়্যার এবং তাপ অপচয় নিরধক প্রযুক্তি দ্বারা। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগুলো হুয়াওয়ের ৫জি প্রযুক্তিকে আরো বেশি কার্যদক্ষ করে তুলেছে। এছাড়াও প্রতিটি ব্যক্তি, বাড়ি এবং সংস্থার কাছে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে হুয়াওয়ের ‘টেক ফর অল’ নামের একটি বৈশ্বিক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ব্যবস্থা শুরু করেছে।

হুয়াওয়ের গ্রহণকৃত নতুন এই কৌশলে রয়েছে দুটি বড় পরিবর্তন। প্রথমত, হুয়াওয়ের ডিজিটাল বিভাজনের সংযোগ স্থাপনকে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তকরণ কৌশলের সঙ্গে যুক্ত করেছে এবং ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের পরে কোম্পানিটি এখন অধিক গুরুত্ব প্রদান করছে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে। দ্বিতীয়ত, ‘স্থিতিশীল ও নিরাপদ নেটওয়ার্ক পরিচালনা এবং ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা’ প্রকল্পটিকে আপগ্রেড করে গৃহীত হয়েছে ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড ট্রাস্টওয়ার্দিনেস’ স্ট্রাটেজি। পরিবেশ রক্ষার্থে হুয়াওয়ে গ্রহণ করেছে ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন’ স্ট্রাটেজি। এই কৌশলের আওতায় হুয়াওয়ে ২০১৮ সালে, ক্লিন এনার্জি উৎস থেকে প্রায় ৯৩২ মিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে প্রায় ৪,৫০,০০০ টন কার্বন কম নিঃসরণ হয়েছে এবং গত বছর ‘সুস্থ ও সুসংহত পরিবেশ’ প্রদানের জন্য, স্থানীয় টেকসই উন্নয়নে হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ১৭৭টি কমিউনিটি সহায়তা প্রোগ্রাম সংগঠিত করে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ জুলাই ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়