মহাশূন্যে কৃত্রিম মাংস উৎপাদনের উদ্যোগ!
চাঁদে ও মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপন সম্ভব হলে সেখানে নভোচারীদের খাবার সরবরাহ করতে চায় আলেফ ফার্মস
মহাশূন্য নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। তবে এখন সেই আগ্রহ আতিশয্যে রূপ নিচ্ছে। মহাশূন্য নিয়ে এতোদিন মানুষের অজানা আগ্রহ ছিল। এখন মানুষ সেখানে বসবাস করতে চায়।
পৃথিবীর বাইরে আরেক পৃথিবীর খোঁজ অনেকদিন যাবতই চলছে। জেফ বোজেস কিংবা ইলন মাস্করা চাচ্ছেন সেখানে মানুষের বসবাস উপযোগী ব্যবস্থা গড়তে। ফলে প্রশ্ন জেগেছে মহাশূন্যে মানুষ যদি সত্যি থাকতে চায় তবে সেখানে মানুষ খাবে কি? কেননা এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কোনো প্রাণের দেখা মানুষ সেখানে দেখতে পায়নি।
ফলে খাবার বিশেষ করে আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্যে সেখানে কৃত্রিম মাংস তৈরির চেষ্টা চলছে। কৃত্রিম মাংস সাধারণত অন্য মাংসের কোষ থেকে তৈরি হয়। বিশেষভাবে গরুর মাংসের কোষ থেকে গরুর মাংস উৎপাদন করা হয়ে থাকে।
এমনিতে কৃত্রিম মাংস তৈরি একটা জটিল প্রক্রিয়া, তাও সেটা মহাশূন্যে! হ্যাঁ, ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান তেমন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। ‘আলেফ ফার্মস’ নামের এই প্রতিষ্ঠান আন্তজার্তিক মহাকাশ স্টেশনে কৃত্রিম মাংস চাষের একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তারা চেষ্টা করে দেখবে সেখানে কোষ থেকে মাংস উৎপাদন কতটা সম্ভব। আর যদি সেটা সফল হয়, তবে হয়তো একটি সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।
যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃত্রিম মাংস উৎপাদনে যে ঝামেলা তারচেয়ে মাংস বহন করে নিয়ে যাওয়াই সহজ। আলেফ ফার্মসের চারজন বিজ্ঞানী সম্প্রতি একটি জুতার বক্সের সাইজের বক্সে প্রাণী কোষ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জিনিস নিয়ে গেছেন। এবং তারা এই মাংস উৎপাদন প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে শিগগির ফিরে আসার কথা।
আলেফ ফার্মসের ভাষ্যমতে, মহাশূন্যে যেকোনো জিনিস বহনের খরচ অনেক বেশি। মোটামুটি এক পাউন্ড ওজনের জিনিস বহন খরচ ১০,০০০ ডলার। তাই তারা চেষ্টা করছে যদি মহাশূন্যেই মাংস উৎপাদন সম্ভব হয় তবে পরিবহন খরচ অনেক বেঁচে যাবে। এখন দেখা যাক তাদের চেষ্টা কতটা সফল হয়।
/ফিরোজ/