টুইটার নিয়ে মাতামাতি করে সম্পদ খোয়ালেন ইলন মাস্ক
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকে এই প্ল্যাটফর্মটি নিয়েই সবচেয়ে বেশি ব্যতিব্যস্ত রয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে আরেক কোম্পানি টেসলা-কে।
মাস্ক যে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি টেসলারও মালিক, সে পরিচয় যেন ভুলতে বসেছেন। ফলে টেসলা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
যার প্রভাব পড়েছে মাস্কের মোট সম্পদের ওপর। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। ফোর্বসের তথ্য বলছে, মাস্কের মোট সম্পদ এখন ১৯৪.৫ বিলিয়ন ডলার, যার একটি বড় অংশ আসে টেসলায় তার প্রায় ১৫ শতাংশ শেয়ার থেকে। কোম্পানিটির বাজার মূল্য প্রায় ৬২২ বিলিয়ন ডলার।
গত এপ্রিলে মাস্ক টুইটার কেনার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে টেসলা প্রায় অর্ধেক বাজার মূল্য হারিয়েছে এবং মাস্কের সম্পদ ৭০ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বার্নার্ড আর্নল্টের তুলনায় বর্তমানে মাত্র ৪০ বিলিয়ন ডলার সম্পদে এগিয়ে রয়েছেন ইলন মাস্ক।
টুইটার কেনার পর থেকে টেসলা নিয়ে খুব কমই টুইট করছেন মাস্ক। বিষয়টি দুশ্চিন্তার ছাপ ফেলেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি টেসলার দিক থেকে নজর ঘোরাচ্ছেন মাস্ক?
টুইটার কেনায় প্রথমে মাস্কের সম্মতি দেওয়া, তারপর সেখান থেকে পিছু হটা, টুইটারের মালিকানা নিয়ে মাস্ক ও টুইটারের আইনি লড়াই, তারপর ফের মাস্কের টুইটার কিনতে সম্মত হওয়া এবং শেষ পর্যন্ত ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার অধিগ্রহণ, তারপর কর্মী ছাঁটাই—এরকম একাধিক ঘটনাপ্রবাহে সব সময়েই আলোচনার শীর্ষে টুইটার। আর সেখানে টেসলা আস্তে আস্তে আলোচনার বাইরে চলে যাচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ইলন মাস্ক পুরো সময়টাই টুইটারে দিচ্ছেন। এটা একটা বার্তা দিচ্ছে বিনিয়োগকারীদের যে এই খাতে আরো টাকা ঢালবেন তিনি। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে মাস্ক টেসলা নিয়ে খুব কম টুইট করেছেন। কিন্তু আগে তার যাবতীয় টুইট টেসলা সংক্রান্তই থাকতো। সেই জায়গা থেকে সরে গিয়ে মাস্ক এখন টুইটারে ব্লু টিকের জন্য কত ডলার দিতে হবে, এই ঘোষণা করছেন। সব মিলিয়ে একটা নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
যার ফলে, টেসলার শেয়ার দর পড়ে যাওয়ায় এবার মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
/ফিরোজ/