টুইটার কর্মীদের ফ্রি খাবার সুবিধা বাতিল করলেন ইলন মাস্ক
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
অনেক নাটকীয়তার পর গত মাসের শেষের দিকে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নেন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক।
বিশ্বের শীর্ষ এই ধনী ব্যক্তির মালিকানায় টুইটার যাওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বেশ চাপের মুখে রয়েছেন। টুইটার কার্যালয়ে পা রাখার পরপরই ইলন মাস্ক টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন।
এরপর প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় কমাতে গত সপ্তাহের শুরুতে টুইটার থেকে ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেন তিনি। গত সপ্তাহের শেষের দিকে কর্মীদের বাসায় বসে কাজের সুবিধা বাতিল করেন ইলন মাস্ক। বাড়িয়ে দেন কর্মঘণ্টা। অফিসে এসে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করার নতুন নির্দেশনা জারি করেন তিনি।
আর এবার টুইটার কর্মীদের বিনামূল্যে দুপুরের খাবার ব্যবস্থা বাতিল করলেন ইলন মাস্ক। তার দাবি, কর্মীদের খাবারের খরচের নাম করে অতিরিক্ত খরচ চলছে প্রতিষ্ঠানটিতে। বিষয়টি নিয়ে সাবেক ওয়ার্ক ট্রান্সফরমেশন কর্মকর্তা ট্রেনি হকিন্সের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন ইলন মাস্ক।
এক টুইটে ইলন মাস্ক দাবি করেন, অফিসে কেউ না আসার পরও দুপুরের খাবারের জন্য গত ১২ মাসে ৪০০ ডলার ব্যয় হয়েছে।
পাল্টা টুইটে হকিন্স বলেন, এটা মিথ্যা। এক সপ্তাহ আগেও তিনি খাবার কর্মসূচি পরিচালনা করেছেন। পরে তিনি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি ইলন মাস্কের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার কর্মসূচিতে কাজ করতে চান না। হকিন্স বলেন, টুইটার দিনে তার কর্মীদের দুপুরের খাবারের জন্য ২০ থেকে ২৫ ডলার ব্যয় করে। আর এ সময় কর্মীদের উপস্থিতিও ছিল ২০ থেকে ৫০ শতাংশ।
হকিন্সের টুইটকে উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা টুইটে ইলন মাস্ক বলেন, ‘মিথ্যা। টুইটার সান ফ্রান্সিসকো সদর দপ্তরে খাবার বাবদ বছরে ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে। রেকর্ড বলছে, এ সময় কর্মী উপস্থিতি ছিল ১০ থেকে ২৫ শতাংশ। সকালের নাস্তা খাওয়ার চেয়ে সকালের নাস্তা বানানোর লোক বেশি রয়েছে। তারা রাতের খাবার পরিবেশন করতেও বিরক্তবোধ করে না, কারণ সে সময় ভবনে কেউ থাকে না।’
এ ঘটনার পর টুইটার কর্মীদের বিনা মূল্যে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা বাতিল করে দেন ইলন মাস্ক।
টুইটার কর্মীদের ওপর মাস্কের মালিকানার কেমন প্রভাব পড়েছে, তা গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবি দেখেই অনেকে আন্দাজ করেছিলেন। ওই ছবিতে টুইটার সদর দপ্তরের একজন ম্যানেজারকে রাতে অফিসের মেঝেতেই বিছানা পেতে ঘুমাতে দেখা গিয়েছিল।
তথ্যসূত্র: ইনসাইডার
/ফিরোজ/