ঢাকা     শনিবার   ১১ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

শাহরিয়ার-তুষার-নাঈমদের জন্য সুখবর

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ১৮ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শাহরিয়ার-তুষার-নাঈমদের জন্য সুখবর

ক্রীড়া প্রতিবেদক: জাতীয় দলের ক্রিকেটররা এখন বেশ ফিটনেস সচেতন। ক্যাম্প থাকাকালিন ফিটনেসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন ক্রিকেটাররা।

এর বাইরেও আলাদাভাবে কাজ করছেন প্রতিটি ক্রিকেটার। এর সবথেকে বড় উদাহরণ তামিম ইকবাল। ফিটনেস নিয়ে দিনের পর দিন কাজ করে তামিম এখন এগিয়ে তরুণদের থেকে। লম্বা ইনিংস সাজাতে বাড়তি ফিটনেস তাকে সাহায্য করছে। ফুরফুরে তামিম নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বললেই সবার আগে কৃতিত্ব দেন ফিটনেসের। শুধু তামিম নয় মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, মাশরাফিরা জিমে নিয়মিত সময় দিচ্ছেন। বাড়তি পরিশ্রম করেন ফিটনেস ঠিক রাখতে।

জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ফিটনেস ঠিক রাখতে নিজেদের পাশে পাচ্ছেন একাধিক ট্রেনার, ফিজিও এবং উন্নত ব্যবস্থা। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তার অর্ধেকও পাননা বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা। ঘরোয়া লিগ খেলার আগে কিছুদিন জিম ব্যবহারের সুযোগ মেলে। এর বাইরে শাহরিয়ার নাফিস, তুষার ইমরান, নাঈম ইসলাম কিংবা শামসুর রহমান শুভ, মোশাররাফ হোসেন রুবেল, মার্শাল আইয়ুব, ইলিয়াস সানীসহ অন্যান্যরা নিজ উদ্যোগে ফিটনেস ট্রেনিং করে থাকেন। সেটাও নামমাত্র ট্রেনিং! জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদের ফিটনেস লেভেলের পার্থক্য ‘আকাশ-পাতাল’।

এ ব্যবধান কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করছে বিসিবি। সেটাও জাতীয় দলের ট্রেনারদের পরামর্শ নিয়ে। সুযোগ মিললে জাতীয় দলের ট্রেনারও থাকবেন বলে জানা গেছেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু মিরপুরে আজ জানিয়েছেন, অক্টোবরে শুরু হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ। তার আগে সেপ্টেম্বরে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে কাজ শুরু হবে।

‘আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনেকগুলো পেইড ক্রিকেটার আছে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের ক্রাইটেরিয়া এবং ফিটনেস নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি মিটিংয়ে, যেটি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আমরা শুরু করবো। আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে তাদের ফিটনেস লেভেলটি একই রকম রাখা যায়, ফিটনেস ট্রেইনার যারা আছে তারা কাজ করবে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এনসিএল শুরু। সেই হিসেবে এক মাস আগে থেকেই আমরা ফিটনেস ট্রেনিংটা শুরু করছি এবং আমার মনে হয় আমরা একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্রাইটেরিয়া সেট করতে পারবো।'

প্রধান নির্বাচক মনে করেছেন, ফিটনেসর ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের বড় পরিবর্তন আসবে এবং এ ট্রেনিং নিয়মিত বিরতিতেই অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে টেস্টে উন্নতির জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়ানোর কথা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন নির্বাচকরা। পাশাপাশি প্রতিযোগীতা বাড়ানোর কথাও বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এবারও একই আশার কথা শোনালেন মিনহাজুল আবেদীন,‘এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। টুর্নামেন্ট শুরুর দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে আমাদের একটি মিটিং আছে। এরপরে স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে কাজ করব। এনসিএলের স্ট্যান্ডার্ড ঠিক রাখতে চাচ্ছি, আমরা টেস্ট ক্রিকেটে যদি আমরা ভালো ফলাফল চাই তাহলে আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে একটি প্রতিযোগিতার মধ্যে আনতে হবে। সেই হিসেবে আমি মনে করি সবারই ইনভলভমেন্ট লাগবে এখানে। আশা করছি এই বছর থেকে আমরা ভালো কিছু শুরু করতে পারবে।'



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ আগস্ট ২০১৮/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ