ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বাবর-উসমানের দাপটে করাচিতে পাকিস্তানের জয়

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:০১, ১ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাবর-উসমানের দাপটে করাচিতে পাকিস্তানের জয়

ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো রেকর্ড ছোঁয়া সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন বাবর আজম। তার সঙ্গে বল হাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান বধের বড় কাজটি করেন উসমান সেনওয়ারি। এ দুই তারকার নৈপুণ্যে ঘরের মাঠে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে পাকিস্তান।

এক দশক পর করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। চেনা দর্শকদের উচ্ছ্বাস আর অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৫ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ৪৬.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা ২৩৮ রান করলে ৬৭ রানের জয় পায় পাকিস্তান।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উসমান সেনওয়ারির বোলিং তোপে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। ১০.১ ওভারে স্কোর বোর্ডে ২৮ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন দলটির ৫ ব্যাটসম্যান। তখনই পাকিস্তানের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের আগ্রহটাই হারিয়ে গিয়েছিল দুই দেশের দর্শকদের কাছে।

সেই বিপদের মূহুর্তের শ্রীলঙ্কাকে আশা দেখাতে থাকেন সানাকা ও জয়সুরিয়া। কিন্তু স্লগ ওভারের চাপ সামলাতে পারেননি লংকান ব্যাটসম্যানরা। ৪১ তম ওভারে ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভেঙে যাওয়ার পর পরের দুটি উইকেটও ভেঙে যায় দ্রুততার সঙ্গেই। মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে দৃশ্যত ছিটকে যায় সফরকারীরা। 

 

 

ম্যাচ হারলেও শিহান জয়সুরিয়ার দুর্দান্ত ব্যাটিং মুগ্ধ করেছে ক্রিকেট ভক্তদের। সেঞ্চুরির জন্য  ৪ রানের আক্ষেপ নিয়েই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে লঙ্কান এ উদীয়মান তারকাকে। ব্যক্তিগত ৯৬ রান করে আউট হয়ে কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায় জয়সুরিয়ার। তার ফিরে যাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সানাকাও (৬৫)। ১০ ওভারে একটি মেডেনসহ ৫১ রানে ৫টি উইকেট শিকার করে লঙ্কান ব্যাটিং মেরুদন্ড ভেঙে দেন উসমান। এছাড়া ৭ ওভারে ২১ রানে একটি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির।

এর আগে টস জিতে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রান সংগ্রহ করে সাজঘরে ফেরেন ইমাম-উল-হক। তার আগে ৪১ বলে ৩১ রান করেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। এরপর ৩১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। তার আগে ক্যারিয়ারের ৪৫তম ম্যাচে ১২তম ফিফটি গড়েন তিনি।

দলীয় ১০৪ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন বাবর আজম ও হারিস সোহেল। তৃতীয় উইকেটে তারা ১১১ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে ৪০ রান করতেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন হারিস। তার বিদায়ের পরও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন তিন নম্বর পজিশনে খেলতে নামা বাবর আজম।

ইনিংসের শুরু থেকেই বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন বাবর। তার ১০৫ বলে গড়া ১১৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ৩০৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে পাকিস্তান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭১তম ইনিংসে ১১তম সেঞ্চুরি হাঁকান বাবর। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ১১টি সেঞ্চুরি হাঁকান এ পাকিস্তানি। এ সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে জাভেদ মিঁয়াদাদের এক পঞ্জিকাবর্ষে দ্রুত ১০০০ রানের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বাবর।



ঢাকা/শামীম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়