‘এটা বাংলাদেশ দল না’
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে স্রেফ উড়ে গেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাকিস্তান বুঝিয়ে দিয়েছে, টি-টোয়েন্টি কিভাবে খেলতে হয়!
ব্যাটিং, বোলিং,ফিল্ডিং তিন বিভাগেই বাংলাদেশ ছিল সুপার ফ্লপ। দলের ব্যর্থতা মাঠ থেকে দেখেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ছেলেদের খেলায় বিরক্ত বিসিবি সভাপতি। গণমাধ্যমে করলেন সমালোচনা।
বুধবার নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘অনেক দিন পর বাংলাদেশের খেলা দেখে মনে হয়েছে এটা বাংলাদেশ দল না। মনে হয়েছে সাধারণ খেলার উল্টোটা খেলেছে দল। এ রকম পরিস্থিতি কখনো দেখিনি।’
লাহোরে দুই ম্যাচেই ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ ছিল ভিন্ন। দুই ম্যাচেই টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে মন্থর ব্যাটিং করেছেন ব্যাটসম্যানরা। রান তোলার জন্য কোনো তাড়াহুড়া দেখাননি কোনো ব্যাটসম্যান। ছিল না কোনো আগ্রাসন। উল্টো ডট বল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ডট বল ছিল ৪৫টি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৭। প্রথম ম্যাচে রান ছিল মাত্র ১৪১। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৬। পাওয়ার প্লে’তে হয়েছে পাওয়ারলেস ব্যাটিং। খেলোয়াড়দের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচে প্রশ্ন তুলেছেন বোর্ড সভাপতিও।
‘অত্যন্ত রক্ষণাত্মক খেলা হয়েছে। এটা তো টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং হতে পারে না। আবার ১২-১৪ ওভার যাওয়ার পরও এ রকম রক্ষণাত্মক ক্রিকেট দেখিনি। এটা একদম নতুন ব্যাপার। এটা তো টি-টোয়েন্টিতে হতেই পারে না।’
দুই ম্যাচেই টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তও অবাক করেছে বোর্ড প্রধানকে।
‘রিয়াদ, তামিমের সাথে বসেছিলাম। প্রশ্নটাই ছিলো- ব্যাটিং এমন কেনো? এতো বছর পর পাকিস্তানে আসলাম। ব্যাটিং নিলাম কেনো টস জিতে! আমরা চেজ ভালোই করি। ওরা বলছিলো- ব্যাটিং পিচ, তাই নিয়েছে। খেলা দেখে তা মনে হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে ওরা বলেছিলো ১৫০-এর লক্ষ্য। এখন তো ১৮০ মিনিমাম ধরা হয়। কিন্তু ওরা হয়তো মনে করেছে ১৫০ যথেষ্ট। এটা কেনো কথা!’
‘দ্বিতীয় ম্যাচের পর আবার বসেছিলাম। তখন অনেক কথা হয়েছে। দিবারাত্রির টেস্টেও দেখেছি টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছি। অচেনা পরিস্থিতিতে। দিবারাত্রির টেস্টে আমরা আগে খেলেনি। পাকিস্তানে কি আমরা উইকেট বুঝতে পারিনি? ওরা কি উইকেট বোঝেনি? সেটা বললে তো আমরা সাহায্য করতে পারতাম। একটা জিনিস স্পষ্ট, ১৩০-১৪০ করে কারো সাথেই জেতা যাবে না।’ – যোগ করেন নাজমুল হাসান।
ঢাকা/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন