ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ক্রাইস্টচার্চে যে ভয়াল অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ দল

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ১৫ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্রাইস্টচার্চে যে ভয়াল অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ দল

তিন ম্যাচ ওয়ানডে ও তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর করেছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ শেষে দুটি টেস্টও শেষ হয়েছিল। ১৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। তার আগের দিন ১৫ মার্চ ছিল শুক্রবার। সেদিন ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়। বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন ৫১ জন। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি ছিলেন। সেদিন অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা। ৩০ সেকেন্ড এদিক-সেদিক হলে সেদিন ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারত ক্রিকেটারদের সঙ্গে।

হ্যাগলি ওভালে সেদিন ছিল ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলন। সেখানে কথা বলতে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সংবাদ সম্মেলনে একটু বেশি সময় নিয়ে ফেলেন তিনি। অন্যদিকে অনুশীলনে ফুটবল খেলছিল বাংলাদেশ দলের অন্য খেলোয়াড়রা। সেই ম্যাচেও কিছুটা সময় লাগে। তাতে করে নামাজ শুরুর কিছুক্ষণ আগে বাসে করে আল নুর মসজিদের গেটে পৌঁছায় তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। সেখানে যাওয়ার আগেই তারা রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। মসজিদের কাছে যাওয়ার পর একজন মহিলা তাদের চিৎকার করে বলতে থাকেন বাস থেকে না নামতে, সেখান থেকে সরে যেতে।

এরপর শুরু হয় উৎকণ্ঠা। মসজিদের ভেতরে গুলির শব্দ শুনতে পান ক্রিকেটাররা। আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় অনেককে দৌঁড়ে পালাতে দেখেন। কয়েকজনকে দেখেন মাটিতে পড়ে থাকতে। ১০ মিনিট বাসের মধ্যে রুদ্ধশ্বাস সময় কাটানোর পর তামিম-মুশফিকরা নেমে পড়েন। মসজিদের পাশের পার্কের ভেতর দিয়ে রাজ্যের উৎকণ্ঠা নিয়ে স্টেডিয়াম এলাকায় পৌঁছান। সেখান থেকে নিরাপদে হোটেলে ফিরেন। সফর বাতিল করে পরদিন সকালেই দেশের বিমান ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

ভয়াল সেই অভিজ্ঞতা ক্রিকেটারদের অনেকদিন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। তাদের কাউন্সিলিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।

আজ সেই ভয়াবহ ঘটনার এক বছর পূর্তি। যদিও এই দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করতে চেয়েছিল নিউজিল্যান্ড সরকার। কিন্তু করোনাভাইরাস আতঙ্কে সেটা বাতিল করা হয়েছে। যেহেতু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গণজমায়েত এরিয়ে চলতে বলা হয়েছে। তারপরও শান্তিপ্রিয় নিউজিল্যান্ডের মানুষ ফুল দিয়ে স্মরণ করেছে নিহতদের।

নির্দিষ্ট ধর্ম, জাতি কিংবা বর্ণের ভিত্তিতে সন্ত্রাসী হামলা কখনোই কাম্য নয়। সভ্যতার চরম উৎকর্ষের এমন সময়ে এই ধরনের হামলা খুবই ন্যাক্কারজনক। এমন হামলা পৃথিবীর আর কোথাও না হোক, তেমনটাই প্রত্যাশা সবার।

 

ঢাকা/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ