‘আফ্রিদির হাত ধরে বদলে যায় টেস্ট ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ের ধরণ’
টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট যাই হোক না কেন, প্রথম বল বা ওভারে বাউন্ডারি হাঁকানো ভারতীয় ওপেনার বিরেন্দর শেওয়াগের কাছে নেশার মতো।
আধুনিক ক্রিকেটে খেলোয়াড়েরা কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে থাকে। তবে তার আগে থেকেই শেওয়াগের এমন ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত দর্শকরা। তবে শেওয়াগই কি প্রথম টেস্টে ওপেনিংয়ে এমন মারকুটে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের প্রচলন করেন? পাকিস্তানের কিংবদন্তি বোলার ওয়াশিম আকরামের উত্তর, না।
পাকিস্তানি এই গ্রেটের ভোট পড়েছে তারই এক স্বদেশীর দিকে। শহীদ খান আফ্রিদির পক্ষে। তিনি মনে করেন, শেওয়াগের আগে আফ্রিদিই টেস্টে ওপেনিংয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের প্রচলন ঘটান।
‘শেওয়াগ টেস্ট ক্রিকেটে আফ্রিদির পরে এসেছে। ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে আফ্রিদিই টেস্টে ওপেনিংয়ের ধারণাটা বদলে দিয়েছিল। আমি যেহেতু বোলার ছিলাম, জানতাম তাকে আউট করতে পারব। তবে এটাও জানতাম, সে আমাকে বাউন্ডারি মারতেও ছাড়বে না। আর আলগা বল দিলে তো নিশ্চিত ছক্কা হাঁকাবে।’-আফ্রিদিকে নিয়ে বলেন ওয়াশিম।
১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের পক্ষে অভিষেক হয় আফ্রিদির। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সে টেস্টে ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি আফ্রিদি। তা সত্ত্বেও ১৯৯৯ সালে ভারতের মাটিতে আফ্রিদিকে দলে চান অধিনায়ক ওয়াশিম। আর সেটি সমর্থন করেছিলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানও।
‘আমি ভারতের বিপক্ষে দল নির্বাচনের আগে ইমরান খানকে কল করেছিলাম। আমি তাকে জানিয়েছি, আমি শহীদ আফ্রিদিকে নিতে চাই। কয়েকজন নির্বাচক এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। তবে তিনি আমাকে বলেন, ‘তোমার অবশ্যই তাকে নেওয়া উচিত। তাকে ওপেনিং করাবে। সে তোমাকে একটি দুইটি মাচ জিতিয়ে দিবে।’
আর ইমরান খানের কথার সত্যতাও মিলেছে সে সিরিজে। আফ্রিদি চেন্নাইতে ১৪১ রানের বড় ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেয়। তবে টেস্ট ক্রিকেটে আফ্রিদির ক্যারিয়ার বেশি বাড়েনি পরে। ২৭ টেস্টে ৫টি সেঞ্চুরি নিয়ে থামতে হয় তাকে। অপরদিকে শেওয়াগ ১০৪ টেস্ট খেলে ২৩ সেঞ্চুরির সঙ্গে, ট্রিপল সেঞ্চুরিও নিজের নামের পাশে লেখান।
ঢাকা/কামরুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন