‘কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, রিমেম্বার দ্য নেইম’
‘কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, রিমেম্বার দ্য নেইম’-এই একবাক্য বলতে গিয়ে ইয়ান বিশপের কণ্ঠে যতটা আবেগের উচ্ছ্বাস খেলে গেছে, ঠিক ততটা কিংবা তার চেয়েও বেশি রাজ্যের হতাশা নিয়ে মাথা নিচু করে মাঠে বসেছিলেন বেন স্টোকস।
বলছি ২০১৬ সালের এদিনে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ঘটে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের কথা। যেদিন সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন ব্র্যাথওয়েট। মারলন স্যামুয়েলসের অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংসও যেখানে হয়ে পড়েছিল ম্লান।
ইডেন গার্ডেন্সে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ইংল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ১৫৫ রানের পুঁজি দাঁড় করায়। ক্রিস গেইল, লেন্ডল সিমন্স, আন্দ্রে রাসেল, ড্যারেন স্যামিদের সামনে এই লক্ষ্য খুব একটা বড় হওয়ার কথা নয়। তবে ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে কেউ নায়ক হতে পারলেন না। এদের ফিরিয়ে জয়ের প্রহর গুনছিলো ইংল্যান্ড।
তবে একপ্রান্ত আগলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্যমুয়েলস। শেষ ওভারে যখন ১৯ রান লাগে তখন সেটাও অনেক দূরের পথ মনে হচ্ছিলো তার কাছে। নিজে ছিলেন নন স্ট্রাইকে। স্ট্রাইকে ছিলেন ১০ রান করা ব্র্যাথওয়েট। বোলিংয়ে আসেন স্টোকস। এর আগে ২ ওভারে দিয়েছিলেন ১৭ রান। শেষ ওভারে এই রান দিলেও ১ রানের জয় আসে ইংল্যান্ডের।
তবে এদিন যেন অসুর ভর করেছিল ব্র্যাথওয়েটের উপর। স্টোকসকে ওভারের প্রথম বল থেকে উড়িয়ে মারতে শুরু করেন। টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়ে স্কোর করেন সমান। ততক্ষণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্যাভিলিয়নে জয়ের উল্লাস শুরু। চতুর্থ বলে আরেক ছক্কা মেরে ব্র্যাথওয়েট যখন দুই হাত মেলে উল্লাস শুরু করেন।
ততক্ষণে অমরত্বের পথে নাম উঠে যায় তার। ক্যারিবীয়রাও জিতে নেয় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা।
ঢাকা/কামরুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন