চার ঘণ্টার ম্যারাথন লড়াই শেষে ফাইনালে জকোভিচ
ফ্রেঞ্চ ওপেন তথা রোঁলা গাঁরোর ফাইনালে উঠেছেন নোভাক জকোভিচ। শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রিক টেনিস তারকা স্টেফানোস সিতসিপাসকে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে ৬-৩, ৬-২, ৫-৭, ৪-৬ ও ৬-১ ব্যবধানে হারিয়ে ২৭তম গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে ওঠেন। ফাইনালে তিনি মুখোমুখি হবেন স্প্যানিশ টেনিস তারকা, ক্লে কোর্টের রাজা রাফায়েল নাদালের। যিনি আর্জেন্টিনার দিয়েগোকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন।
সিতসিপাসের বিপক্ষে ৩৩ বছর বয়সী জকোভিচ প্রথম দুই সেট প্রভাব বিস্তার করে জিতে নেন ৬-৩ ও ৬-২ ব্যবধানে। কিন্তু তৃতীয় সেটে গিয়ে ম্যাচ পয়েন্ট হারিয়ে হেরে বসেন ৫-৭ ব্যবধানে। চতুর্থ সেটেও তিনি হেরে যান ৪-৬ ব্যবধানে। কিন্তু পঞ্চম সেটে দারুণ প্রভাব বিস্তার করে জয় তুলে নেন ৬-১ ব্যবধানে। তিন ঘণ্টা ৫৪ মিনিটের ম্যারাথন লড়াই শেষে আরো একটি স্বপ্নের ফাইনালে পা রাখেন তিনি।
এ নিয়ে ৫৬তম বারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন নাদাল ও জকোভিচ। তার মধ্যে এটা হতে যাচ্ছে নবম গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনাল। নাদালের সামনে ২০তম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের সুযোগ। অন্যদিকে জকোভিচের সামনে ১৮তম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের।
অবশ্য ফ্রেঞ্চ ওপেন তথা ক্লে কোর্টের রাজা বলা হয় নাদালকে। সেক্ষেত্রে জকোভিচ বেশ পিছিয়ে। তিনি এর আগে মাত্র একবার ফরাসি ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন। তাও ২০১৬ সালে। অন্যদিকে রাফায়েল নাদাল ২০০৫ সাল থেকে শুরু করে ২০১৯ পর্যন্ত ১২বার জিতেছেন। তার মধ্যে ২০০৫-২০০৮ সালে টানা চারবার এবং ২০১০-২০১৪ সালে টানা পাঁচবার জিতেছিলেন রোঁলা গাঁরোর শিরোপা। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও তিনি ফরাসি ওপেনের শিরোপা জিতেছেন।
তাইতো নাদালকে ফেভারিট দাবি করে জকোভিচ বলেছেন, এখানে সে (নাদাল) ফেভারিট। এ পর্যন্ত সে যতগুলো ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জিতেছে তাতে এটাকে তার বাড়িও বলা চলে। তবে ২০১৫ সালে আমি তার বিরুদ্ধে এখানে কোয়ার্টার ফাইনাল জিতেছিলাম। আশা করছি আবার জিততে পারবো। সেক্ষেত্রে আমাকে সেরা খেলাটা খেলতে হবে। রোঁলা গাঁরোতে নাদালের বিপক্ষে খেলাটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্চ।’
অবশ্য শারীরিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে আছেন জকোভিচ। পাবলো কারেনো বুস্তার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার সময় ঘাড় ও কাঁধের সমস্যায় ভুগছিলেন। ফাইনালের আগে সেটা থেকে পুরোপুরি সেরে উঠলে নাদালের বিপক্ষে একটি হাড্ডাহাড্ডি ফাইনাল দেখতে পারবে টেনিস ভক্তরা।
ঢাকা/আমিনুল