গুরুতর চোটে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়লেন নেইমার
এক দশক পর লিগ ওয়ানে সবচেয়ে বাজে শুরুর তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো প্যারিস সেন্ত জার্মেইর। ২০০৯-১০ মৌসুমে প্রথম ১৪ ম্যাচে চারটি হার, এবারও একই অবস্থা। ওইবার তারা ১৩তম স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছিল। এই মৌসুমে তাদের চতুর্থ হার লিওঁর কাছে, সাত বছর পর ঘরের মাঠে তাদের কাছে হারলো প্যারিসের দলটি। একই সঙ্গে দলের প্রাণভোমরা নেইমারের গুরুতর চোটে বড় ধাক্কা খেলো ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
ইনজুরি সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে থিয়াগো মেন্দেস ভয়ঙ্কর ট্যাকল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে লিওঁর ডিফেন্ডারের দুই পায়ের মাঝখানে পড়ে যায় তার বাঁ পা, গোড়ালির ব্যথায় কুকড়ে যান নেইমার। ভিএআরে যাচাই করে থিয়াগোকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। নিজে পায়ে হেঁটে মাঠ ছাড়তে পারেননি বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার। স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে যেতে হয় তাকে।
রোববার রাতেই হাসপাতালে এমআরআই স্ক্যান করানোর কথা ছিল নেইমারের। কিন্তু সারা রাতে গোড়ালির অবস্থা কী হয় তা সোমবার সকাল পর্যন্ত দেখার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিক্যাল স্টাফরা। তারা আশাবাদী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের লিগামেন্টের কোনও ক্ষতি হয়নি।
প্যারিসে প্রথম দুই মৌসুম দুইবার আলাদা মেটাটারসাল ইনজুরিতে পড়েছিলেন নেইমার। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে চোট পেয়ে তিন মাসে ১৬ ম্যাচ খেলতে পারেননি। পরের বছর জানুয়ারিতে আবারও চোট পেয়ে একই সময়ের জন্য ছিটকে যান। খেলতে পারেননি ১৮ ম্যাচ। একই বছরের জুনে ব্রাজিলের জার্সিতে খেলার সময় ডান পায়ের গোড়ালির লিগামেন্টে ব্যথা পান নেইমার এবং আড়াই মাস ছিলেন মাঠের বাইরে।
ঢাকা/ফাহিম