ওয়ালটন ফেডারেশন কাপে বসুন্ধরার দাপুটে জয়
করোনাভাইরাস মহামারিতে দীর্ঘ সময় ফুটবল মাঠে না গড়ালেও বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলারদের অনুশীলন চলছিল ১৭ সপ্তাহ ধরে। তাতে ৯ মাসেরও বেশি সময় পর মাঠে নেমে শক্তিশালী ফুটবলের পসরা সাজিয়েছিল অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। দুই ব্রাজিলিয়ান ও এক আর্জেন্টাইনে দাপুটে পারফরম্যান্সে জয় দিয়ে ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ শুরু করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সীমিত সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে শুরু হয় এবারের আসর। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ ছিল রানার্স আপ রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। ‘সি’ গ্রুপের এই ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে বসুন্ধরা।
শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয় বসুন্ধরা। দুই ব্রাজিলিয়ান জোনাথন দ্য সিলভেইরা ফের্নান্দেস, রবসনদ্য সিলভা রবিনিয়ো ও আর্জেন্টাইন রাউল অস্কার বেসেরার নৈপুণ্যে দারুণ এক জয় পায় তারা। তাদের মধ্যে রবিনিয়ো ও বেসেরা ঢাকার মাঠে অভিষেকেই গোল পেয়েছেন।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন বেসেরা। বাঁ প্রান্ত থেকে রিমন হোসেনের ক্রসে রহমতগঞ্জ গোলকিপার রাসেল মাহমুদ লিটন ঠিকমতো গ্রিপে নিতে ব্যর্থ হলে সামনে থাকা আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের দুর্বল ভলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১১ মিনিটে রবিনিয়োর ক্রস থেকে বেসেরার আরেকটি হেড ফিরিয়ে দেন লিটন।
প্রথমার্ধে উল্লেখ করার মতো একটি আক্রমণ গড়েছিল রহমতগঞ্জ। ম্যাচ ঘড়ির কাঁটা আধ ঘণ্টা পার হওয়ার পর বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে সানোয়ার হোসেনের আড়াআড়ি শট রুখে দেন গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো।
লিটন আরও একবার বসুন্ধরাকে হতাশ করেন। ৩৯ মিনিটে বিশ্বনাথের ডান প্রান্তের ক্রস ফিস্ট করেন রহমতগঞ্জ গোলকিপার। অবশ্য তিন মিনিট পর ফের্নান্দেসের ফি কিকে বক্সের ভেতর লাফিয়ে হেডে গোল করেন বেসেরা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ আরও শাণিত করে বসুন্ধরা। এই অর্ধের পঞ্চম মিনিটে বেসেরার থ্রু থেকে বল ধরে গোলকিপারকে একা পেয়েও তার গায়ে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন ফের্নান্দেস। অবশ্য ৫৩ মিনিটে রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার মাহমুদুল হাসান কিরণের হাস্যকর ভুলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বসুন্ধরা। তিনি পাস বাড়াতে গিয়ে বল তুলে দেন রবিনিয়োর পায়ে। বক্সের বাইরে থেকে গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।
৬০ মিনিটে রবিনিয়োর শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ার চার মিনিট পর রহমতগঞ্জের মিশরীয় ডিফেন্ডার আলাদিন নাসেরের আত্মঘাতী গোল স্কোর ৩-০ করে। ইমন মাহমুদের ভাসানো বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে হেড করে নিজেদের জালে জড়ান আবাহনী থেকে আসা এই ডিফেন্ডার।
ঢাকা/ফাহিম