ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে বসুন্ধরা
তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ২-০ গোলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠলো গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।
রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ জামালের ওপর শুরু থেকে চড়াও হয় বসুন্ধরা। তিন মিনিটে রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর ফ্রি কিকে রাউল অস্কার বেসেরার হেড দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। তবে দশম মিনিটে আর ব্যর্থ হননি বেসেরা। বিশ্বনাথ ঘোষের থ্রু পাস ধরে জোনাথন দি সিলভেইরা ফার্নান্দেজের ক্রস থেকে ডিবক্সে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন তিনি।
ব্যবধান দ্বিগুণ করতে মরিয়া বসুন্ধরার একাধিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় প্রথমার্ধে। ২৪ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মাশুক মিয়ার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। দশ মিনিট পর শেখ জামালকে গোল খাওয়া থেকে বাঁচান মোজাম্মেল। রবিনিয়োর সঙ্গে দেওয়া নেওয়ার পর ফার্নান্দেসের শট গোল লাইন থেকে ফেরান তিনি।
কষ্টে শেষ আটে উঠে আসা শেখ জামালের রক্ষণে একের পর এক হানা দিয়েও প্রথমার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। ২৪তম মিনিটে মাশুক মিয়া জনির ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।
৩৪তম মিনিটে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের ত্রাতা মোজাম্মেল হোসেন। রবিনিয়োর সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ফের্নান্দেসের শটে বল জালের দিকে ছুঁটছিল। গোললাইন থেকে ফেরান মোজাম্মেল।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলমুখে হানা দিয়েছিল ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালও। বক্সের বাইরে থেকে ৩৭ মিনিটে নেওয়া ওমর জোবের শট সহজে ধরে ফেলেন বসুন্ধরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। পাঁচ মিনিট পর জিকোকে একা পেয়েও ক্রসবারের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে মারেন জোবে। বিরতির এক মিনিট আগে তার শট ফিস্ট করে শেখ জামালকে সমতায় ফিরতে দেননি জাতীয় দলের গোলরক্ষক।
ম্যাচ ঘড়ির কাঁটা ঘণ্টা পার হওয়ার পর বিশ্বনাথের ফ্রি কিকে মাহবুবুর রহমান সুফিলের হেড পাঞ্চ করেন শেখ জামাল গোলরক্ষক মামুন খান। তিনি পাঞ্চ করলে বেসেরা শট নেওয়ার সুযোগ পান, তবে তাকে গোললাইন থেকে ব্যর্থ করেন ডিফেন্ডার আলাউদ্দিন। ৭৭ মিনিটে মামুন ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান রবিনিয়োর শট। তবে দ্বিতীয় গোল হয়েছে তার ভুলে। ৮৯ মিনিটে আক্রমণে আসা ফার্নান্দেজকে আটকাতে ডিবক্সের বাইরে ফাউল করেন মামুন। ফ্রি কিকে দলের জয় নিশ্চিত করেন রবিনিয়ো।
ঢাকা/ফাহিম