রোমাঞ্চকর ম্যাচে আবাহনীকে হারিয়ে ফাইনালে বসুন্ধরা
ফেডারেশন কাপে দুই বছর আগের আসরে প্রথমবার ফাইনালে উঠেছিল বসুন্ধরা কিংস, যে ম্যাচে তাদের হারিয়ে রেকর্ড ১১তম শিরোপা জেতে আবাহনী। ওই হারের শোধ তুলে রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে টানা তৃতীয় ফাইনালে উঠলো বসুন্ধরা। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, যেখানে ৩-১ গোলে জেতে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
আগামী ১০ জানুয়ারি হবে ফাইনাল। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে বসুন্ধরার প্রতিপক্ষ প্রথমবার ফাইনালে ওঠা সাইফ স্পোর্টিং।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হয়েছে আগুন-বারুদে লড়াই। ঘরোয়া ফুটবলের দুই জায়ান্ট নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ করে ১-১ গোলে সমতায় থেকে। ম্যাচের প্রথম গোলটা উদযাপন করে আবাহনী। ৩১ মিনিটে হাইতিয়ান কার্ভেন্স বেলফোর্টের পাস থেকে আড়াআড়ি শটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ফ্রান্সিস্কো।
বসুন্ধরা সমতা ফেরায় দ্বিতীয়ার্ধে। ৫১ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান অ্যাটাকার জোনাথন ফের্নান্দেজ একক প্রচেষ্টায় বক্সের মধ্যে ঢুকে লক্ষ্যে শট নেন, যা ক্রসবারের কানায় লেগে গোললাইন পেরিয়ে মাটিতে লাফিয়ে বাইরে চলে আসে এবং তখনই রাউল বেসেরার হেড জালে জড়ায়। গোলটির কৃতিত্ব পান বেসেরা।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। তাতে ২০১৮ সালের ফাইনালের পুনরাবৃত্তিই যেন ঘটতে যাচ্ছিল, যে ম্যাচে টাইব্রেকারে বসুন্ধরাকে হারায় আবাহনী। তবে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা তা হতে দেয়নি। ১০৯ মিনিটে ডান দিক থেকে মতিন মিয়ার ক্রসে প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জালে জড়ান বেসেরা।
ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে আবাহনীকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন নাবীব নেওয়াজ জীবন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় ফ্রান্সিস্কো বুক দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাকে পাস দেওয়ার সময় অফসাইডে ছিলেন তিনি। বেলফোর্ট এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানালে ৮ মিনিটের মতো খেলা বন্ধ থাকে।
আবার খেলা শুরু হলে রবিনিয়োর পাস থেকে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় ফের্নান্দেজ তৃতীয় গোল করে বসুন্ধরাকে আবারও উল্লাসে ভাসান।
ঢাকা/ফাহিম