ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১০ ১৪৩১

কাবাডির জন্য আজীবন লড়ে যেতে চান শাহনাজ

গাজীপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ৮ মে ২০২১   আপডেট: ০৮:১৭, ৯ মে ২০২১
কাবাডির জন্য আজীবন লড়ে যেতে চান শাহনাজ

সময়টা ২০০০ সাল, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে বাংলাদেশের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহিলা আনসারের খেলোয়াড় কোটায় যোগদান করতে ঢাকায় আসেন বাংলাদেশের জাতীয় কাবাডি ও বাংলাদেশ আনসার দলের বর্তমান অধিনায়ক শাহনাজ পারভীন মালেকা।

২০০০ সালে মিরপুর স্টেডিয়ামের ইনডোরে জুনিয়র এশিয়ান গেমসের মাধ্যমে যাত্রা শুরু। তারপর থেকে তার গল্প শুধু সফলতার। খেলোয়াড় হিসাবে দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতীয় দলকে। ব্যক্তিজীবনেও শাহনাজ সফল মানুষ। নিজেই তার আঙিনায় চাষ করেন সব ধরনের সবজি,বাড়িতে লালন করেন দেশি জাতের মুরগী। তার স্বামী আর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে  সংসার জীবনেও তিনি একজন সুখী মানুষ।

শাহনাজ  পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ার আবদুল খালেক মেয়ে। শাহনাজরা ৫ বোনের মধ্যে তৃতীয়। তার ছোট বোন ময়না বেগমও বাংলাদেশ হান্ডবলের জাতীয় দলের খেলোয়াড়।  শাহনাজ বর্তমানে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করেন।

দীর্ঘ ২১ বছরের পথচলায় পেয়েছেন ১১ টি মেডেল। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে সাউথ এশিয়ান গেমসে কাবাডিতে ৩য় তম হয় এবং ওই একই বছরে দিল্লিতে অনূর্ধ্ব ১৯ নারী ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।

২০০৮ সালে ভারতের তামিল নাড়ুতে এশিয়ান সাব গেমসে অংশগ্রহণ করে হান্ডবল সিলভার জয়ী হয়। ২০১০ সালে কাবাডিতে বাংলাদেশ এসএ গেমস সিলভার পদক পায় একই বছর চিনে গোয়াংজু তে ব্রোঞ্জ মেডেল জেতে। ২০১১ সালে ওমানের মাসকাট থেকে ব্রোঞ্জ জিতেছে। ২০১২ সালে ভারতের পাটনা মেয়েদের বিশ্বকাপে ৫ম স্থান অধিকার করেন।

২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু পশ্চিমবঙ্গ গেমসে গোল্ড মেডেল জেতে। ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়াশ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জেতে। ২০১৫ সালে ভারতের হায়দরাবাদে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন শিরোপায় অংশগ্রহণ করে। ২০১৬ সালে গৌহাটিতে সাউথ এশিয়ানে সিলভার মেডেল জেতে। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতায় এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করে।

সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসে গোল্ড মেডেল জয়লাভ করেন। শাহনাজ পারভীন মালেকা একাধারে বাংলাদেশ জাতীয় দল ও বাংলাদেশ আনসার কাবাডি দলের  অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

রাইজিং বিডিতে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকার তিনি বলেন,'আমাদের দেশের জাতীয় খেলা কাবাডি হলেও কেউ কাবাডি খেলার উন্নয়ন ও ধরে রাখার তেমন পরিকল্পনা নেই কারও মাঝে।'

তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি জানান, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাবাডি খেলার সঙ্গেই থাকতে চান। অবসরে যাওয়ার পরে তেঁতুলিয়ায় তার নিজস্ব জমিতে কাবাডি খেলার জন্য কাবাডি ইন্সটিটিউট বানাবেন,যেখানে গ্রামের ছেলেমেয়েদের কাবাডি খেলোয়াড় হিসাবে গড়ে তুলবেন এবং পাশাপাশি জাতীয় খেলাকে সমৃদ্ধি করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।

 

রেজাউল করিম/রিয়াদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়