‘সাকিব-মুশফিক-তামিম-মাহমুদউল্লাহ সব সময় থাকবে না’
কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর বার্তা পরিস্কার, বাংলাদেশ দলকে সামনে এগিয়ে যেতে হলে সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকের উপর নির্ভরতা কমাতে হবে। দীর্ঘ সময়ের জন্য তাদের আর পাওয়া যাবে না এমন শঙ্কাও করলেন তিনি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ যে অবস্থানে পৌঁছেছে সেখানে পঞ্চপান্ডবের বিরাট ভূমিকা। সীমিত পরিসরে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফির নেতৃত্বে দল পাল্টে যায়। মাশরাফি জাতীয় দল থেকে এখন অনেক দূরে। তার ফেরার সম্ভাবনা খুবই সামান্য। সাকিব এ দলের সবচেয়ে বড় তারকা। নির্ভরতার প্রতীক মুশফিক, তামিম, মাহমদউল্লাহরা। কিন্তু তাদেরও একটা সময় পর থেমে যেতে হবে। সেটা হতে পারে যে কোনো সময় বা দুই বছর পর…এমন কিছুর জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। দলকে এগিয়ে নিতে হবে। সেই তাড়না থেকে এগিয়ে আসতে হবে লিটন, সৌম্য, মিরাজ, সাইফ উদ্দিন, মাহেদীদের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাংলাদেশের কোচ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ও সাকিবের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের সঙ্গে খেলা তরুণদের জন্য বড় সুযোগ। তবে তারা সব সময় কিন্তু থাকবেন না। এবার যেমন আফিফের মতো তরুণ খেলোয়াড়কে নেওয়া হয়েছে। সে নিশ্চয়ই ভূমিকা রাখতে পারে।’
সঙ্গে বাস্তবতা তুলে ধরেন ডমিঙ্গো, ‘আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটি খুব গুরুত্বপূর্ণ । বিশ্বকাপ নিশ্চিতে ৩০ পয়েন্ট পতে হবে। পাশাপাশি দলের উন্নতির দিকটিও দেখতে হবে। সিনিয়র ক্রিকেটার থাকার পাশাপাশি তরুণদের উন্নতি গুরুত্বপূর্ণ। সিনিয়র ক্রিকেটার দীর্ঘদিন থাকবে না। তাদের চোট আসবে। একটা সময় পর ফর্মহীনতা থাকবে। সেজন্য নিশ্চিত করতে হবে তাদের পরে যারা আছে তারা যেন সেই দায়িত্ব নিতে পারে। নিজেদের পরিধি বড় করতে পারে।’
অন্তবর্তীকালীন সময় অতিক্রম করা সব সময়ই কঠিন। মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা ও তিলকারত্নে দিলশান অবসর নেওয়ার পর শ্রীলঙ্কার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লেগেছে বেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটেরও এমন কঠিন সময় কাটিয়েছে। এজন্য সিনিয়র ও জুনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে মেলবন্ধন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে যারা জাতীয় দলে আছেন তাদের ২০২৩ বিশ্বকাপ এবং পরবর্তী সময়ের জন্য তৈরি হওয়ার কথা জানালেন ডমিঙ্গো।
‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি ৬ মাসের মতো। এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে ২০২৩ সালে। এ সিরিজ থেকে আমরা একটা প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি যে দুই বছর পর আমাদের ব্যাটিং অর্ডার কেমন হবে। আমাদেরকে স্মার্ট হতে হবে এবং সেরা দল খেলানোর ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যক্তিকে বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি নতুনদের ধারাবাহিক সুযোগ দিয়ে তাদের প্রস্তুতির মঞ্চ দিতে হবে।’ – বলেন ডমিঙ্গো।
ঢাকা/ইয়াসিন