‘এই কষ্ট কখনো ভুলবো না’
ইতালি শিরোপা উৎসব করছে। ওয়েম্বলি স্তব্ধ। কি হলো? কেন হলো? হ্যারি কেন উত্তর খুঁজে পান না। স্রষ্টা তুমি কোথায়?
ইংল্যান্ড রাশিয়া বিশ্বকাপ জিতবে এমনটা ভেবেই সমর্থকরা স্লোগান দিয়েছিল, ‘ইটস কামিং হোম।’ হ্যারি কেনদের মিশন আটকে যায় সেমিফাইনালে। এবারের ইউরোতে সেই একই লক্ষ্য। যে শিরোপাটা কখনো জেতা হয়নি সেটাই জিততে হবে। আবারো সেই একই স্লোগান, ‘ইটস কামিং হোম।’ এবারো হলো না।
ঝাঝালো পারফরম্যান্সে ফাইনালে আসা। ফাইনালেও দুর্দান্ত শুরু। ২ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু শেষ হাসিটা আর হাসতে পারে না। টাইব্রেকারে শেষ ইংল্যান্ডের ইউরোর স্বপ্ন। তাইতো হ্যারি কেন বলেন,‘পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ অনুভূতি, খারাপ মুহুর্ত।’
শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর বিবিসি ওয়ান-কে কেন বলেন,‘আমার পক্ষে এর থেকে বেশি কিছু করা সম্ভব ছিল না। ছেলেরাও পারতো না। পেনাল্টিতে হেরে যাওয়া…এটা পৃথিবীর সবথেকে বাজে অনুভূতি। আজকের রাতটা আমাদের ছিল না। কিন্তু গোটা টুর্নামেন্ট আমাদের ছিল। আমাদের মাথা উচুঁ করে থাকা উচিত।’
কতটা কষ্ট পাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে কেন বলেন, ‘অবশ্যই আমি কষ্ট পাচ্ছি। হয়তো আমি সাময়িক কষ্টটা ভুলে যাবো। কিন্তু এতো কাছে এসেও শিরোপা হাতছাড়া হওয়া…ক্যারিয়ারে এ কষ্ট কখনো ভুলবো না। আশা করছি সামনে ছেলেরা ভালো করবে।’
ছেলেদের পারফরম্যান্স নিয়ে কেনের কোনো অভিযোগ নেই। যারা পেনাল্টি মিস করেছেন তাদের ওপর ক্ষোভ নেই, ‘আমাদের দলগত পারফরম্যান্সে গর্ব করা উচিত। আমরা রাশিয়া বিশ্বকাপের পর আরও একধাপ উন্নতি করেছি। আমরা প্রত্যেকে বিজয়ী। এ কষ্ট আজীবন থাকবে কিন্তু এটাই ফুটবল। যারা পেনাল্টিতে গোল করতে পারেনি তাদের নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।’
তার বিশ্বাস কাতার বিশ্বকাপে ভালো করতে ছেলেরা আরো অনুপ্রেরণা পেয়েছে,‘আমরা ভুল থেকে শিখছি। ছেলেরা এখান থেকে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে। আগামী বছরের বিশ্বকাপের জন্য আমরা আরও অনুপ্রাণিত হচ্ছি। ছেলেরা আজ সব করেছে। উজার করে খেলেছে। কিন্তু আজকের রাতটা আমাদের ছিল না।’
ঢাকা/ইয়াসিন