‘হোম’কে শ্মশান বানিয়ে রোমে উৎসব
ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
'ইটস কামিং হোম'কে উলটে দিয়ে হলো 'ইটস কামিং রোম।' আশায় বুক বেঁধেছিলেন ইংলিশরা ভক্তরা; লন্ডনের ওয়েম্বলিতে তাদের মাটিতে তাদেরকেই কাঁদিয়ে ইতালি ট্রফি নিয়ে চলে গেল রোমে। ফুটবল যেনো হোম থেকে রোমে। মুহুর্তেই শ্মশানে পরিণত হলো লন্ডন আর চিরন্তন শহর রোম হয়ে গেলো উৎসবের নগরী।
শুরুতেই লুক শর গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৬৬ মিনিট জুড়ে দলটি এগিয়ে ছিল। ৬৭ মিনিটে লিওনার্দো বনুচ্চির গোলে ইতালি সমতা আনে। সেই খেলা গড়ায় ১২০ পর্যন্ত। ফল না আসায় হয় ট্রাইবেকার। এতেই ৩-২ গোলে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ইতালিয়ানদের।
ওয়েম্বলিতে যখন নিস্তব্ধতা তখন রোমে চলছে উৎসব। রাস্তায় বেরিয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। করোনা মহামারীতে ইতালি পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। সেখানে ইউরোপ জয়ের এই ট্রফি হতে পারে দেশটির জনগণের জন্য অক্সিজেন হিসেবে। কম ধকল যায়নি দলটির ওপর। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম কোনো ট্রফি জিতলো আজ্জুরিরা। তাই উৎসবের কোনো কমতি ছিল না তাদের মধ্যে।
২০১৮ বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব উতরাতে পারেনি ইতালি; ২ বছর না যেতেই ইউরোতে চ্যাম্পিয়ন। সত্যিকারের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প যাকে বলে! টানা ৩৪ ম্যাচ ধরে হার না মানা দল। ট্রফি নিয়ে সোমবার দেশে ফেরেন চিয়েলিনি-বনুচ্চিরা। রোমের এয়ারপোর্টে বিমান থেকে নামার আগেই শুরু হয় উৎসব। তা ছিল হোটেল যাওয়া অব্দি।
হাজার হাজার মানূষ ভিড় করছেন স্বপ্নের রাজপুত্রদের বরণে। টিম বাসের আশে পাশে ছিল ইতালিয়ানদের উৎসবের মিছিল। কারো গায়ে জার্সি, কারো হাতে পতাকা-প্ল্যাকার্ড। হোটেলের সামনে অপেক্ষারত ছিলেন বহু ভক্ত। অধিনায়ক চিয়েলিনে যখন বাস থেকে নামছেন তখন তার মাথায় ক্রাউন; হাতে ট্রফি। নেমেই ট্রফি উঁচু করে ধরে শুরু করেন উল্লাস।
এদিকে ঘরের মাঠে দর্শকদের পাশে নিয়েও ৫৫ বছরের শিরোপা খরা ঘুচলো না। উৎসবের সবধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন ব্রিটিশরা।হতে হতেও হলো না। প্রথমবার ইউরোর ফাইনাল রূপ নিলো বিষাদে। ১৯৯৬ সালের সেমিফাইনালে এই পেনাল্টি শুটআউটে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা। আবারও ভেঙে পড়ল টাইব্রেকারের চাপে।
ঢাকা/রিয়াদ