আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, তর সইছে না ফাইনালের জন্য
ক্রীড়া প্রতিবেদক, দুবাই থেকে || রাইজিংবিডি.কম
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি অস্ট্রেলিয়ার শো-কেসে যুক্ত হয়নি। একবার ফাইনাল খেললেও ব্যর্থ হয়েছিলেন অজিরা। এবার চলমান সংক্ষিপ্ত আসরের এই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। এবার কি সেই আক্ষেপ ঘুচবে? অজি অধিনায়ক এই ফাইনালকে ট্রফি জয়ের সূবর্ণ সুযোগ মনে করেন। জানালেন, মাঠে নামার জন্য তর সইছে না তাদের।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) ফাইনালের আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ফিঞ্চ। তার ভাষ্যমতে, অজিরা এখন আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছে। ফাইনাল নিয়ে অস্ট্রেলিয়া কতটা প্রস্তুত এমন এক প্রশ্নে বলেন, ‘সেমিফাইনালের পরে আমাদের খুব ভালো একটি দিন কেটেছে। আজকে ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল। ছেলেরা সকলেই ফুরফুরে মেজাজে আছে। এটা আসলেই খুব ভালো ছিল। ছেলেদের সবাই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছে এবং আগামীকালের (ফাইনাল) জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না।’
কাল রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালের লড়াই নামবে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ফিঞ্চের দল। ফাইনালের আগে দুইদিন সময় পেলেও একদিন বিশ্রাম করেই কাটিয়েছে অজিরা। আজ ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। দুপুর ২টা থেকে আইসিসি একাডেমি মাঠে ঝালিয়ে নেন নিজেদের। ব্যাটসম্যানরা পাওয়ার হিটিং-মারকুটে ব্যাটিংয়ে অনুশীলনের চেষ্টা চালিয়ে গেছেন পুরো সময় জুড়েই।
এর আগে কখনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি না জেতা অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি দারুণ সুযোগ মনে করছেন ফিঞ্চ, ‘অবশই, এই ফরম্যাটে আমরা অতীতে ব্যর্থ হয়েছি। এখন বিষয় হলো আমরা ফাইনালে উঠেছি এবং এটা আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ বাস্তাবায়নের জন্য।’
তবে তারা সমীহ করছেন প্রতিপক্ষকে। নিউ জিল্যান্ড ২০১৫ ও ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে। যদিও তারা ব্যর্থ হয়েছে ট্রফি ছুঁতে। এ বছরই জিতেছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। আর এবার তারা উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। এ সব স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফিঞ্চ বলেন, ‘আমি মনে করি নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খুবই দারুণ একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে। তারা খুবই দুর্দান্ত দল, গত ছয় বছর ধরে তারা সবগুলো ফাইনালেই আছে। আমরা এখন সামনের দিকে তাকাচ্ছি।’
এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। জয়ের পাল্লা ভারী অজিদেরই। তারা জিতেছে ৯টিতে আর কিউইরা ৫টিতে। আর বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল ১ বার। ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সুপার টেনের ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড ৮ রানে জিতে মাঠ ছেড়েছিল।
রিয়াদ/আমিনুল