নতুন বলে প্রত্যাশা পূরণ করবে তাসকিন-ইবাদত জুটি
বোলিংয়ে বাংলাদেশের সাফল্যের অন্তরায় একটি জুটির অভাব। বল নতুন হোক বা পুরোনো, বোলিং জুটি গড়ে না ওঠায় বাংলাদেশ সাদা পোশাকের ক্রিকেটে সাফল্য পাচ্ছে না ধারাবাহিকভাবে। একটা সময় মাশরাফি বিন মুর্তজা ও শাহাদাত হোসেন রাজিব জুটি বেঁধে ধারাবাহিক বোলিং করতেন। প্রতিপক্ষ শিবিরে আক্রমণ চালাতেন। কিন্তু তাদের পর সেভাবে দলে নিয়মিত হতে পারেননি কেউ। আসা-যাওয়ার মধ্যেই আছেন পেসাররা। ফলে বোলিং জুটি গড়ে ওঠেনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পেস আক্রমণে যুক্ত হয়েছেন একঝাঁক পেসার। যাদের হাতে আলোর মশাল। তাসকিন আহমেদ এখন তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের পেস ব্যাটারি। তার দ্যুতিময় বোলিং নতুন আলোর ঝলকানি দিচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আঙুলের চোটে খেলতে পারেননি তাসকিন। ঢাকা টেস্টে ফিরেছেন ডানহাতি পেসার। তার সঙ্গে আছেন ইবাদত হোসেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের ধারণা, ঢাকা টেস্টে তাসকিন ফিরলে বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারবে নতুন বল। ম্যাচে তাসকিন ও ইবাদতের জুটি দেখতে মুখিয়ে তিনি। ভিডিও বার্তায় বাবুল বলেছেন, ‘নতুন বলে যদি বলি, ইবাদত ভালো করছে, পাশাপাশি তাসকিন যদি খেলে, তাহলে নতুন বলের জুটিটা খুব ভালো হবে। মিরপুরে টি-টোয়েন্টিতে তাসকিন খুব ভালো বোলিং করেছে, এর আগে বিশ্বকাপেও ভালো করেছে। সে ভালো ছন্দে আছে। নতুন বলের সুবিধাটা আমরা হয়তো তাসকিনকে দিয়ে নিতে পারি।’
চট্টগ্রামে দুই ইনিংসেই পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি শতরান পেরিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ১৪৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫১ রান করে তাদের দুই ওপেনার মিলে। শুরুতে তারা বড় ভিত পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাকফুটে চলে যায়। বাবুলের আশা নতুন বলে তাসকিনের সঙ্গে ইবাদত ভালো করলে চালকের আসনে থাকবে বাংলাদেশ। সঙ্গে দলের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ফেরায় ঢাকা টেস্টে বোলিং নিয়ে বেশ আশাবাদী তিনি, ‘সাকিব এসেছে, তাইজুল (ইসলাম) ও (মেহেদী হাসান) মিরাজের ওপর যে দায়িত্বটা থাকে, সেটা সাকিবও ভাগাভাগি করে নিতে পারবে। তাই বোলিং ইউনিট আমাদের খুবই ভালো হবে। একজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানও আমরা পাব। মুশফিকুর রহিমের পাশাপাশি সাকিবও টিমকে গাইড করতে পারবে। টিমের জন্য খুবই ভালো সংযুক্তি।’
ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম