১৩ উইকেট সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বাঁচাতে চায় বাংলাদেশ
মাত্র ২৬ ওভারের খেলায় বাংলাদেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলল পাকিস্তান। ৭১ রান তুলতেই শেষ ৭ উইকেট, আর ৫ রান যোগ করে দিন শেষ হয়েছে স্বাগতিকদের। পাকিস্তান যতটা না ভালো বোলিং করেছে, বাংলাদেশের খারাপ ব্যাটিংয়ের চিত্রটাই বেশি ফুটে উঠেছে। আসা-যাওয়ার মিছিলে কেউ লাগাম টানতে পারেননি। কেউ পারেননি প্রতিরোধের দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে। দিন শেষে সাকিব ও তাইজুল টিকে আছেন।
কিন্তু সাকিবও টিকে আছেন ভাগ্যের জোরে। ব্যাটসম্যানদের হতশ্রী পারফরম্যান্সে আরেকটি টেস্ট হারের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছে। শেষ দিনে পাকিস্তান আর ১৩ উইকেট নিতে পারলেই ম্যাচটি তাদের। অন্যদিকে পাকিস্তানের করা ৩০০ রানের বিপরীতে ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশকে আরো ২৫ রান করতে হবে। এরপর ম্যাচ বাঁচানোর চিন্তা।
ম্যাচের যা পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশ যেভাবে ব্যাটিং করেছে তাতে ভরসা রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও নাজমুল হোসেন শান্তর আশা মিরপুরে শেষ দিন ম্যাচটা বাঁচাবে বাংলাদেশ। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে শান্ত বলেছেন, ‘আমার মনে হয় কালকের দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব ভাই ও তাইজুল ভাই যদি জুটি করতে পারে, আরো কিছু রান করতে পারি তাহলে একটা ভালো অবস্থানে যাব। কাল আবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ আছে। খুব ভালো ব্যাটিং করতে হবে আমাদের। তাহলে ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব। অসম্ভব কিছু না। খেলায় হেরে গেছি এরকম কিছু না। এখান থেকে ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব। ভালো অবস্থায় যেতে পারব না এমন কিছু না।’
নিজেদের ব্যাটিংয়ের কোনো ভুল দেখেন না শান্ত। প্রতি আক্রমণে গিয়ে চাপ কমানোর চেষ্টায় ছিলেন না। পরবর্তী সুযোগ ভালোভাবে সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টার কথা বলেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, ‘একদিন এক্সিকিউশন হবে আরেকদিন এক্সিকিউশন হবে না। যত বেশি হবে তত সাফল্যর সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আজকে হয়নি। পরের ইনিংসে যদি সুযোগ আসে, তাহলে পরের ইনিংসে হবে। এমন না যে পারি না বা এর আগে হয়নি। মূলত আজকে হয়নি।’
এদিকে ৬ উইকেট নেওয়া সাজিদ খান ‘হুমকি’ দিয়েছেন শেষ দিনে বাংলাদেশকে দুইবার অলআউট করে ম্যাচে বিজয়ের পতাকা উড়াবেন, ‘পরিকল্পনা এটাই যে কালকে এই তিনজনকে আউট করে ওদেরকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে আরেকবার অলআউট করে জেতার চেষ্টা করা।’
ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম