ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

উইকেটকে অজুহাত দিতে চান না গিবসন 

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৫, ৯ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৫:১৬, ৯ জানুয়ারি ২০২২
উইকেটকে অজুহাত দিতে চান না গিবসন 

ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের সবুজ উইকেট দেখে মনে হয়েছিল পেসারদের জন্য স্বর্গরাজ্য। কিন্তু কিউইদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ইবাদত হোসেনরা সুবিধা আদায় করে নিতে পারেননি। উল্টো এলোমেলো বোলিং করে নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের রান উৎসবে মেতে ওঠার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন।

রোববার (৯ জানুয়ারি) প্রথম দিন শেষে পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন জানিয়েছেন, তার শিষ্যরা ভালো বোলিং করতে পারেননি। তবে উইকেট থেকে যে সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল সেটাও পায়নি বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘যেটা বললাম, গত সপ্তাহে যে চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছিলাম, এবার তা করার মতো যথেষ্ট ভালো বল আমরা করতে পারিনি। আর কনওয়ে অবিশ্বাস্য ফর্মে আছে, তাই না? সে গিয়ে সবকিছুই সহজ করে তুলেছে।’

আরো পড়ুন:

টম ল্যাথামের অপরাজিত ১৮৬ ও ডেভন কনওয়ের অপরাজিত ৯৯ রানে ভর করে প্রথম দিন শেষে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান। বাংলাদেশ মাত্র উইল ইয়াংকে ফেরাতে পেরেছে। শরিফুল ইসলামের বলে ইয়াং ফেরেন ব্যক্তিগত ৫৪ রানে, দলীয় ১৪৮ রানে।

গিবসনের মতে, ‘ওরা অবশ্যই খুব ভালো খেলেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, গত সপ্তাহে আমরা গোছানো বোলিংয়ের যে নজির দেখিয়েছিলাম, এবার তা পারিনি। ল্যাথাম খুব ভালো খেলেছে। সকালে আমাদের অনেক ভালো বল সে ছেড়েছে এবং আমাদেরকে বাধ্য করেছে তার শরীরে বল করতে।’

পেসারদের মধ্যে ইবাদত ছিলেন সবচেয়ে বেশি এলোমেলো। ওভার প্রতি তিনি দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি রান (৫.৪২)। এ ছাড়া তাসকিন আহমেদ ৩.০৯ ও শরিফুল দিয়েছেন ২.৭৭ রান করে। একমাত্র উইকেটটি জমা হয়েছে শরিফুলের ঝুলিতে। তিন পেসার বোলিং করেছেন ৬১ ওভার। সবুজ উইকেট পেসারদের জন্য সহায়ক না হলেও এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না গিবসন।

‘আমার মনে হয়, উইকেট সবুজ দেখলে যেমনটি মনে হয়, বল ততটা কাজে লাগেনি আজকে। যতটা প্রত্যাশা ছিল, তেমন কিছু হয়েছে বলে মনে হয় না আমাদের। তবে এটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না। যতটা ভালো বোলিং করা উচিত ছিল, ততটা ভালোও আমরা করতে পারিনি।’

এর আগের ম্যাচে অবিশ্বাস্য বোলিং করেছিলেন পেসাররা। বাংলাদেশও টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় পায়। আজ খেলতে নেমেই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেন তারা। এটাকে শিক্ষা হিসেবে মনে করছেন বোলিং কোচ।

গিবসন বলেন, ‘আমাদের বোলিং আক্রমণের যে অনভিজ্ঞতা… ১২ ম্যাচ খেলেই ইবাদত আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার। শরিফুল তার তৃতীয় বা চতুর্থ টেস্ট খেলছে, তাসকিন খেলেছে ৯টি। তাদের অনভিজ্ঞতা দেখলে এবং গত সপ্তাহে যারা যে জায়গায় পৌঁছেছে শেখার দিক থেকে… আজকের দিনটিও তাদের জন্য শিক্ষার।’

‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কঠিন ব্যাপার। প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য এখানে প্রস্তুত থাকতে হয়। দুভার্গ্যজনকভাবে, গত সপ্তাহের শৃঙ্খলা আমরা আজকে দেখাতে পারিনি। মানসিকতা আজকে ভালো ছিল। স্রেফ যতটা গোছানো দরকার ছিল, ততটা ছিলাম না আমরা’-আরো যোগ করেন গিবসন। 

সিলেট/রিয়াদ/ফাহিম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়