ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

ওয়ানডের অভাবিত সাফল্য টেস্টেও চায় বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ৩০ মার্চ ২০২২  
ওয়ানডের অভাবিত সাফল্য টেস্টেও চায় বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডেতে প্রথম জয়ের পর সিরিজও জিতে নেয় বাংলাদেশ। রঙিন পোশাকে দুর্দান্ত বাংলাদেশ বড় মঞ্চে আরও একবার দেখিয়ে দেয়, নিজেদের দিনে তারা কতটা ভয়ঙ্কর।

ওয়ানডে সিরিজে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ সব সময়ই বিশ্বাস করতো, নিজেদের কাজগুলো ঠিকঠাক মতো করতে পারলে জয় পাওয়া সম্ভব। প্রক্রিয়ায় স্থির থেকে বাংলাদেশ নিজেদের মতো করে পারফর্ম করেছে। তাতে মিলেছে বড় কিছু। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিতভাবেই অভাবিত সাফল্য। এই সাফল্য বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজেও পেতে চায়।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ডারবানের কিংসমিডে বাংলাদেশকে প্রথম টেস্টে আতিথেয়তা দেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে ম্যাচ। এই সফরের আগে ওয়ানডের মতো টেস্টেও স্বাগতিকদের মাটিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী।

২০০২, ২০০৮ ও ২০১৭ সালে তিন সফরে দুটি করে টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। ছয় টেস্টে পাঁচটিতেই বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। অন্য একটিতে হার ৩৩৩ রানে। সাদা পোশাকে অন্যান্য দেশগুলোতে বাংলাদেশ টুকটাক লড়াই করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধ কন্ডিশনে কখনোই ভালো করতে পারেননি।

দুয়েকটি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছাড়া বলার মতো কিছুই নেই। গত সফরে মুমিনুলের ৭৭, লিটনের ৭০ এবং ২০০৮ সালে দুই টেস্টেই সাকিবের ফাইফার বাংলাদেশের জন্য মনে রাখার মতো অর্জন। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সব সময়ই ভালো খেলেছে প্রোটিয়ারা। ২০০২ সালে গ্রায়েম স্মিথ ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। পরপর দুই টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন গ্যারি কারস্টেন। কিংবদন্তি অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫ উইকেটও পেয়েছেন। সবশেষ ২০১৭ সালে মাত্র ১ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি পাননি অধিনায়ক ডিন এলগার।

এবারও নিশ্চিত বড় কিছু পাওয়ার অপেক্ষায় থাকবে স্বাগতিকরা। তবে কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডিসহ মোট ছয়জনকে টেস্ট সিরিজে পাবে না। তাই টেস্টে অনিয়মিত, এমন কয়েকজনকে নিয়ে একাদশ সাজাতে হবে অধিনায়ক ডিন এলগারকে।

বাংলাদেশও অবশ্য সাকিব আল হাসানকে ছাড়া মাঠে নামবে। তবে তাকে ছাড়া মাঠে নামতে একটু ভীত নয় দল। বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ড দূর্গ জয় করায় বেশ আত্মবিশ্বাসী মুমিনুল হকের দল। মাউন্ট মঙ্গানুইতে শুধুমাত্র নিজেদের প্রক্রিয়ায় স্থির থেকে, পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে অবিস্মরণীয় জয় পায়।  সেই জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে এবার ডারবানে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বেশ ভালো প্রস্তুতিও নিয়েছে মুমিনুল হকরা। ওয়ানডে দলের সঙ্গেই দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিল টেস্ট দল। সেখানে আলাদা করে ক্যাম্প করে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্যারি কারস্টেনের একাডিমেতে এক সপ্তাহ ক্যাম্প করেন মুমিনুল, সাদমনারা। যেখানে বিশ্বকাপজয়ী কোচ কারস্টেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে তিনটি সেশন কাটিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সও। এছাড়া কিংসমিডে নামার আগে টানা ৬ দিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে পুরো দল। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিং-বোলিংয়ে কোনো কমতি রাখেনি। 

২০০২ সালে ইস্ট লন্ডনে শুরু, সর্বশেষ ২০১৭ সালে ব্লুমফন্টেইনে হয়েছিল শেষ। প্রত্যেকবারই বাংলাদেশকে নাকানিচুবানি খাইয়েছে প্রোটিয়ারা। এবার অতিথিরা স্বপ্ন দেখছে ইতিহাস পাল্টাতে। ওয়ানডে সিরিজের অভাবিত সাফল্য বাংলাদেশের শিবিরে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। এবার টেস্টে দুঃসহ অতীত পেছনে ফেলে সাফল্যের হাসিতে উদ্ভাসিত হওয়ার লড়াই।

/ইয়াসিন/এসবি/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়