‘পেয়ার’- জাভেদ ওমরকে মনে করালেন জয়
পেয়ার, শব্দটি হিন্দি ভাষার হলেও ক্রিকেটীয় শব্দকোষের বলে ব্যাটসম্যানদের কাছে তা দুঃস্বপ্ন। এটি এমন এক অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়, যা সব ব্যাটসম্যানই এড়িয়ে যেতে চান। প্রথম ইনিংসে ০, দ্বিতীয় ইনিংসেও ০- দুইয়ে মিলে এই দুঃস্বপ্নের নাম ‘পেয়ার’।
মাহমুদুল হাসান জয় এই পেয়ারকে ক্যারিয়ারের সঙ্গে জড়িয়ে নিলেন রোববার। পোর্ট এলিজাবেথে দুই ইনিংসেই রানের খাতা খুলতে পারেননি ডারবানে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় বলে আউট হয়েছিলেন পেসার ডুয়ান্নে অলিভিয়েরের বলে। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম বলে স্লিপে ক্যাচ দেন কেশব মহারাজের বলে। জয় দুই ইনিংসেই যদি প্রথম বলে আউট হতেন, তাহলে কিং পেয়ার হতো।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে পেয়ার-এর সঙ্গী হলেন জয়। ওপেনার হিসেবে জাভেদ ওমর বেলিম ২০০৭ সালে পেয়ার হয়েছিলেন। তিনি অবশ্য কিং পেয়ার হয়েছিলেন।
বাংলাদেশের ২৪তম ক্রিকেটার হিসেবে পেয়ার হয়েছেন জয়। তবে এই তালিকায় ব্যাটসম্যানের থেকে বোলারই বেশি। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়ার হয়েছেন পেসার মাঞ্জারুল ইসলাম। ৪টি পেয়ার আছে তার। এছাড়া ২টি করে পেয়ার আছে মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ শরীফ ও রবিউল ইসলাম শিপলুর।
ব্যাটসম্যান হিসেবে ২টি পেয়ার আছে মোহাম্মদ আশরাফুল ও রাজিন সালেহর। আশরাফুল আবার অধিনায়ক হিসেবে একবার পেয়ার হয়েছিলেন। তার সঙ্গে এই শর্ট লিস্টে আছেন হাবিবুল বাশার সুমন ও মুমিনুল হক।
বাংলাদেশের দুটি কিং পেয়ার আছে। জাভেদ ওমর বাদে একটি কিং পেয়ার কাজী নুরুল হাসান সোহানের।
এক নজরে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের পেয়ার:
একটি করে- আবু জায়েদ, আফতাব আহমেদ, আলমগীর কবির, অলোক কাপালি, আমিনুল ইসলাম, এনামুল হক, হাবিবুল বাশার, জাভেদ ওমর, কামরুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, খালেদ মাসুদ, মুমিনুল হক, কাজী নুরুল হাসান, রুবেল হোসেন, শাহাদাত হোসেন, তালহা জুবায়ের, তারেক আজিজ ও মাহমুদুল হাসান জয়।
দুটি করে:- মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ আশরাফুল, মোহাম্মদ শরীফ, রাজিন সালেহ ও রবিউল ইসলাম।
চারটি- মাঞ্জারুল ইসলাম।
ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম