মুমিনুলের চেয়ে ভালো বিকল্প দেখছেন না সাকিব
টেস্টে অধিনায়কত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না মুমিনুল হক। সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায় তার কাঁধে আচমকা চলে আসে দায়িত্ব। ‘না’ বলার মতো পরিস্থিতিও ছিল না। চ্যালেঞ্জ নিলেন। কিন্তু বারবার খেয়েছেন ধাক্কা।
কখনও কখনও সাফল্যে উদ্ভাসিত করেছেন। নিউ জিল্যান্ডের মতো প্রতিকূল কন্ডিশনে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন। কিন্তু সাফল্যের থেকে ব্যর্থতার পাল্লা যেখানে ভারি, সেখানে ওঠে নানাবিধ প্রশ্ন। সামর্থ্যের পাশে পড়ে প্রশ্নবোধক চিহ্ন। সঙ্গে যোগ হয়েছে অপেশাদারিত্ব আচরণ! দলকে বাঁচাতে উদ্ভট সব ব্যাখ্যা।
এখন হাসছে না ব্যাটও। শেষ ১০ ইনিংসে তার রান মাত্র ৭৪। ৮ ইনিংসেই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তিনটিতেই মেরেছেন ডাক। রান না পাওয়ায় বেশ সমালোচিত হচ্ছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সঙ্গে যোগ করছে নেতৃত্বগুণের ঘাটতি।
তবে ছন্দহীন এ অধিনায়ককেই সমর্থন করার কথা বললেন দলের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। সঙ্গে যোগ করলেন, মুমিনুলের থেকে ভালো অপশন আর এখন নেই। তার ভাষ্য, ‘একজন অধিনায়কের জন্য এই সময়টা খুবই কঠিন। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা তাকে কীভাবে সমর্থন করছি। আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের যে অবস্থা, মুমিনুলের থেকে ভালো কোনো অপশন আমাদের নেই। কাজেই তাকে সমর্থন করতে হবে। একটা ভালো ইনিংসের ব্যাপার ওর, সব বদলে যাবে।’
টেস্টে মুমিনুলের সাফল্য বলতে নিউ জিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইতে ম্যাচ জয়, শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট ড্র এবং দেশে ও বাইরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জয়। এর বাইরে ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ হারের ব্যর্থতা তো রয়েছেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টে বাজেভাবে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে।
মাঠে মুমিনুলের অনেক সিদ্ধান্তের মতো কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না তার ব্যাটও। অধিনায়কত্বে তার পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব পড়েছে। ব্যাটিংয়ে তেমন রানও পাচ্ছেন না। অধিনায়ক হিসেবে ১৭ ম্যাচে মুমিনুলের রান ৯১২। ব্যাটিং গড় ৩১.৪৪। পেয়েছেন ৩ সেঞ্চুরি। অধিনায়কত্বের আগে ৩৬ টেস্টে ৪১.৪৭ গড়ে রান করেছেন ২৬১৩। সেঞ্চুরি ছিল ৮টি।
অধিনায়কত্বের বাড়তি বোঝা দিয়ে ব্যাটসম্যান মুমিনুলকে কি হারাচ্ছে বাংলাদেশ? প্রশ্নের উত্তর খোঁজা এখনই জরুরি।
ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম