ঢাকা     রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

সাকিবের চোখ প্রথম ইনিংসে

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৪৩, ১৬ জুন ২০২২   আপডেট: ০২:৪৪, ১৬ জুন ২০২২
সাকিবের চোখ প্রথম ইনিংসে

শুরুটা যেমন তেমন হলে চলবে না। হতে হবে পিকচার পারফেক্ট। পাঁচ দিনের টেস্টে সব মিলিয়ে চার ইনিংস, ১৫ সেশনের খেলা। সাদা পোশাকের লড়াইয়ে জিততে হলে ১৫ সেশনই অতি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিটি সেশনে লড়াই করেই মেলে কাঙ্খিত ফল। একবার পা পিছলে গেলেই সর্বনাশ! আর শুরুতেই যদি হয়ে যায় সর্বনাশ তাহলে তো ব্যাকগিয়ারেই চলতে হবে। তাইতো নতুন দলপতির সাফ ঘোষণা, যা করতে হবে প্রথম ইনিংসেই। ব্যাটিং হোক বা বোলিং, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে প্রথম ইনিংসে।

স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালে একটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম ইনিংসে ৪৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানে অলআউটের লজ্জা পেয়েছিল সাকিবের দল। বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল তিনদিনেই।

আরো পড়ুন:

দুঃস্বপ্নের সেই মাঠেই বৃহস্পতিবার নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে চার বছরে অ্যান্টিগার উইকেট পরিবর্তন হয়েছে বেশ। সাকিবের মতে, উইকেট আগের চেয়ে ব্যাটিংবান্ধব। এজন্য ভালো ব্যাটিং ও বোলিং করে প্রথম ইনিংসেই ম্যাচের নাটাই নিজেদের কাছে রাখতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘আমার মনে হয়, পুরোপুরি আলাদা উইকেট, চার বছরের আগে থেকে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। অবশ্য চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং কঠিন হবে, স্পিনাররা কাজে আসবে তখন।’

‘আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, প্রথম ইনিংসে কেমন ব্যাটিং করি। শুরুতে ব্যাটিং বা বোলিং যাই করি না কেন, তেমন কোনো পার্থক্য হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি ভালো করছেন। আমাদের সব কিছুর জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। ছেলেরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’

তামিমের সঙ্গী হয়ে জয় বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করবেন। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক ব্যাটিংয়ে আসেন। পাঁচে লিটন, ছয়ে সাকিব ও সাতে সোহানকে ব্যাটিংয়ে দেখা যাবে। এরপর মিরাজ।

সবার কাছ থেকে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় আছেন বাংলাদেশের নতুন দলপতি, ‘জয় দক্ষিণ আফ্রিকায়, নিউ জিল্যান্ডে ভালো করেছে। এটি আরেকটি চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। সে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য সত্যিই ভালো করতে পারে। রাজা নতুন পেসার। তার দিকে তাকাতে পারি। আরও কয়েকজন ছেলে আছে। মিরাজ দলে ফিরেছে, এটা আমাদের জন্য বড় বুস্ট। সোহান আরেকজন, যে আসা যাওয়ার মধ্যে আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ফর্মে আছে, আশা করি সে এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এনে বাংলাদেশকে আনন্দ এনে দিতে পারে।’

এক পজিশনের জন্য একাধিক খেলোয়াড় বিবেচনায় আছে। স্বাস্থ্যকর এই প্রতিযোগিতা দলকে এগিয়ে নেবে বলে বিশ্বাস সাকিবের, ‘আমরা অনেকেই তিন ফরম্যাটেই খেলছি। ছেলেরা চোট পাচ্ছে, একই সময়ে নতুন ছেলেরা সুযোগ পাচ্ছে। দুই বছর সময়ে আমরা এমন একটা কিছু দেখবো, যখন ২৫-৩০ জন খেলোয়াড়ের মধ্য থেকে আমরা তিন সংস্করণের জন্য বেছে নিতে পারবো।’

‘এ মুহুর্তে মনে হচ্ছে, আমরা অনেক ম্যাচ খেলছি, তবে আমাদের খেলোয়াড়ের সংখ্যাটা তেমন বড় নয়। এক-দুই বছরে এটি সহায়তা করবে। কারণ, চোটের কারণে নতুন খেলোয়াড় আসছে। তারা পারফর্ম করা শুরু করলে খুবই স্বাস্থ্যকর একটা প্রতিযোগিতা হবে।’ – যোগ করেন সাকিব।

বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার নিজের ভাবনাতে দলকে নতুন করে সাজাচ্ছেন। সতীর্থরা এগিয়ে এসে সাকিব বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে ম্যাজিকাল কিছু করে দেখাতেও পারে এমন বিশ্বাস তো সবারই আছে।

ইয়াসিন/আমিনুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়