চিকিৎসকদের অবহেলায় ম্যারাডোনার মৃত্যু, তদন্তে প্রমাণিত
চিকিৎসায় অবহেলার কারণে লিজেন্ডারি আর্জেন্টাইন ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর অভিযোগে তার চিকিৎসায় নিয়োজিত ৮ জনকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে।
ম্যারাডোনার চিকিৎসায় ঘাটতি ও অনিয়ম ছিল এমন প্রমাণ পাওয়ার পর হত্যার বিচারের আদেশ দিয়েছেন এক বিচারক।
২০২০ সালের নভেম্বরে বুয়েন্স আয়ার্সে ৬০ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ম্যারাডোনা।
ওই মাসের শুরুতে মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাঁধায় অস্ত্রোপচার করানোর পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন তিনি।
তার মৃত্যুর কয়েকদিন পর আর্জেন্টাইন আইনজীবীরা তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে তদন্ত শুরু করেন।
গত বছর ২০ জন বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল নিযুক্ত করা হয় এই তদন্তে। তারা খুঁজে পান ম্যারাডোনার মেডিক্যাল টিম চিকিৎসায় অবহেলা করেছেন।
আদালতের রুলে আরও বলা হয়েছে, সঠিক চিকিৎসা হলে ম্যারাডোনার বেঁচে থাকার সুযোগ ছিল। ম্যারাডোনার নিউরোসার্জন ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোলদো লুকুয়ে, একজন সাইক্রিয়াট্রিস্ট ও সাইকোলোজিস্ট, দুজন চিকিৎসক, দুজন নার্স ও তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তারা বিশ্ব জয়ী অধিনায়কের মৃত্যুর পেছনে হাত থাকার দাবি অস্বীকার করেছেন।
আর্জেন্টিনার আইন অনুযায়ী, এই অপরাধ প্রমাণ হলে তাদের আট থেকে ২৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। বিচারের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
আইনজীবী মারিও বাউদ্রি বলেছেন, ফুটবল লিজেন্ড তার মৃত্যুর সময় অসহায় অবস্থায় ছিলেন।
এই আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয় ম্যারাডোনার দুই মেয়ে অভিযোগ দায়ের করলে। মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারের পর বাবার চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তারা।
ঢাকা/ফাহিম