ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

৩০৩, ২৯০ রানের পর পুঁজি ২৫৬, জিতবে বাংলাদেশ?

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ১০ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ১৭:২৮, ১০ আগস্ট ২০২২
৩০৩, ২৯০ রানের পর পুঁজি ২৫৬, জিতবে বাংলাদেশ?

ম্যাচ ভাগ্যের মতো টস ভাগ্যও ভালো যাচ্ছে না তামিম ইকবালের। হারারেতে টানা তিন টস হার। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা বাংলাদেশকে ফের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালেন। 

সাত সকালে উইকেটের থেকে সুবিধা আদায় করে নিতে চান রাজা। কিন্তু বোলাররা বাংলাদেশের ওপেনারদের তেমন ভোগাতে পারেননি। তামিম-এনামুল সাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করেছেন।  কিন্তু পঞ্চাশ ওভার শেষে রাজার মুখে ঠিকই হাসি ফুটেছে।

আগের দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে ৩০৩ এবং ২৯০ রান করেছিল। সেখানে আজকের পুঁজি মাত্র ২৫৬! প্রথম দুই ওয়ানডেতে বাজেভাবে হারা বাংলাদেশ কি আজ জিতবে? মিলিয়ন ডলারের প্রশ্নটা সময়ের কাছেই তোলা থাক। 

আরো পড়ুন:

তামিম ও এনামুলের দারুণ ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল রান হবে তিনশর কাছাকাছি। কিন্তু নবম ওভারে এনামুলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে তামিম ১৯ রানে রান আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংসে ছন্দপতন শুরু হয়। ৮ বলের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট। তামিমের পর শান্ত ও মুশফিক আউট হন। দুজনের কেউই খুলতে পারেননি রানের খাতা। 

ক্রিজে থাকা এনামুলকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় মাহমুদউল্লাহর লড়াই। মূলত রান তোলার লড়াইটা এনামুল একাই করেছেন। মাহমুদউল্লাহ টিকে ছিলেন নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে। প্রথম বলে ১ রান নিলেও পরের রানের জন্য ১৩ বল খেলতে হয় তাকে। তার মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণে বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে রান তোলেন এনামুল। 

তাতে লাভের লাভও হয়েছে। স্ট্রাইক ঠিক রেখে এনামুল নিজের রান বাড়িয়ে নিয়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৭১ বলে ৭৬ রান করেন ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। মাহমুদউল্লাহর মন্থর ব্যাটিংয়ে দলের অন্য ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ এতটাই বেড়েছিল যে কেউই নিজের ছন্দে খেলতে পারছিলেন না। 

৩৫তম ওভারে রিচার্ড এনগারাভার বল কাট করতে গিয়ে উইকেটে টেনে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। সাজঘরে ফেরার আগে ৬৯ বলে ৩৯ রান করেন ৩ বাউন্ডারিতে। তার খেলা ৬৯ বলের ৪১টিই ছিল ডট। প্রায় দুই ঘণ্টার উপর ক্রিজে থেকে নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি। দলকে চরম বিপদে ফেলে আউট হন। 

সেখান থেকে বাংলাদেশের রান একা টানেন আফিফ হোসেন। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৮১ বলে ৮৫ রান করেন ৬ চার ও ২ ছক্কায়। তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ২৫৬ রানের পুঁজি পেয়েছে। যা কেবলই আক্ষেপ বাড়াচ্ছে। 

অথচ উইকেট ছিল দারুণ। বল খুব সুন্দরভাবে ব্যাটে আসছিল। ব্যাটসম্যানরা যেভাবে শট খেলার চিন্তা করছিলেন সেভাবেই পারছিলেন। অসমান বাউন্স নেই। নেই বাড়তি গতি। এমন উইকেটে থিতু হতেও খুব বেশি সময় লাগে না। তার ওপর জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণও আহামরি ভালো নয়। তাদের বিপক্ষে তিনশ রান ছাড়িয়ে যেতে না পারায় নিজেদের সামর্থ্যে প্রশ্ন তোলাই যায়।

ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়