আম্পায়ারিংয়ে ভারত-পাকিস্তান ‘মহারণ’ উপভোগ করতে চান মুকুল-সোহেল
এশিয়া কাপে দুই বাংলাদেশি আম্পায়ার সোহেল ও মুকুল (ডানে)
২০১৬ এশিয়া কাপে শরফুদ্দৌলা সৈকতের একটি সিদ্ধান্তে নাখোশ ছিল ভারতীয় দল। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি মুখাবয়ব ছিল যার প্রমাণ। বিরাট কোহলি তো খালি মুখে ছেড়ে দেননি। সেসব অতীত। আরব আমিরাতে শুরু হওয়া এবারের এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন দুই বাংলাদেশি আম্পায়ার।
যেন এই ম্যাচে না থেকেও আছে বাংলাদেশ। লাল সবুজের পতাকার প্রতিনিধিত্ব করবেন মাসুদুর রহমান মুকুল ও গাজী সোহেল। মুকুল থাকবেন অনফিল্ডে আর সোহেল চতুর্থ আম্পায়ার। বাকি দুই আম্পায়ার হচ্ছেন শ্রীলঙ্কান।
রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি শুরু হবে। বরাবরের মতো এই ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি বাংলাদেশি ভক্তদের চোখ থাকবে আম্পায়ারিংয়ে, মুকুল-সোহলেদের দিকে।
এই যে এত উন্মাদনা তা কি মুকুল-সোহেলকে ছুঁয়ে যাচ্ছে না? দুবাই থেকে মুঠোফোনে অবশ্য মুকুল শোনালেন ভিন্ন কথা। তার কাছে বাংলাদেশের মাটিতে কিংবা বাংলাদেশের ম্যাচে আম্পায়ারিং করাটা বেশ চাপের, বেশ কঠিন। নিজের দেশ বলে কথা। সেই তুলনায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে কোনও চাপেই নেই তারা।
মুকুল বলেন, ‘আমরা নিজেদের মাটিতে যখন বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য কোনও দেশের ম্যাচ করি তখন বেশি চাপে থাকি। সেই তুলনায় এই ম্যাচে কোনও চাপ নেই। তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আলাদা একটি আমেজ থাকে। আমরা সেই আমেজটা আম্পায়ারিং দিয়ে উপভোগ করতে চাই।’
মুকুল এর আগে ৫৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ৪১ ম্যাচে অন ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সোহেল ২৮টি টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারিং করেছেন। তার মধ্যে ১৭ ম্যাচে ছিলেন অন ফিল্ডে। দুজনেরই এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে প্রথম। তা নিয়ে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই তাদের।
মুকুল বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের মতো ম্যাচ দিয়ে আমরা এশিয়া কাপে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছি। আমরা দারুণ আনন্দিত। মাঠে ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে চাই। বিশ্বের বড় দুটি দলের হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। এই দুই দেশের লড়াই মানেই অন্যরকম আমেজ। আমরা এই ম্যাচের মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি, আমাদের পতাকাকে প্রতিনিধিত্ব করছি। ভালোভাবে সেটি পালন করতে চাই।’
ঢাকা/রিয়াদ/ফাহিম