ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

১৯৬৬: বিশ্বকাপ শুরুর আগেই কেলেঙ্কারি 

মোহাম্মদ মেহেদী হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ২ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ২১:৪৫, ২ ডিসেম্বর ২০২২
১৯৬৬: বিশ্বকাপ শুরুর আগেই কেলেঙ্কারি 

আয়োজক: ইংল্যান্ড, দল: ১৬, ফাইনাল: পশ্চিম জার্মানি ও ইংল্যান্ড, জয়ী: ইংল্যান্ড (৪-২), ইতিহাস: টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ট্রফি চুরি। ৯টি গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন পর্তুগালের ইউসোবিও। ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্টের ফাইনালে হ্যাটট্রিক।

ফুটবলের জন্ম দিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু তারাই শুরুতে বিশ্বকাপটা মানতে পারেনি। ১৯৫০ সালে প্রথম অংশ নেয় দলটি। চার আসর যেতেই ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজন করে ইংলিশরা। তবে পশ্চিম জার্মানির সঙ্গে লড়াইটা জমে প্রচণ্ড। তবে ফুটবলের জনক বলেই হয়তো পশ্চিম জার্মানির চেয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে ভোট বেশি দেয় সদস্য দেশগুলো। আর ফুটবলও নিজের ঘরে ফিরে দু’হাত ভরিয়ে দেয় ইংলিশদের। তবে শুরুতেই কেলেঙ্কারি। টুর্নামেন্ট শুরুর কিছু দিন আগে চুরি হয়ে যায় ট্রফি। যদিও সপ্তাহখানেক পর তা ফেরত পায়। এরপর মাঠেও ছিল নানা ধরনের বিতর্ক।

বরাবরের মতো এবারও বিশ্বকাপে মূল পর্বে খেলে আগের মতোই ১৬টি দেশ। বাছাইপর্বে অবশ্য অংশ নিয়েছিল ৭১টি দেশ। তার মধ্যে ইউরোপ থেকে সুযোগ পায় ১০টি দেশ- পশ্চিম জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, হাঙ্গেরি, সুইজারল্যান্ড, পর্তুগাল, বুলগেরিয়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ল্যাতিন আমেরিকা থেকে সুযোগ মেলে তিনটি দেশের - ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে। কনকাকাফ অঞ্চল থেকে মেক্সিকো আর এশিয়া থেকে সুযোগ পায় উত্তর কোরিয়া। 

আরো পড়ুন:

আগের দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এবারও ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামে। শুরুটাও করে দারুণ। প্রথম ম্যাচে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে হাঙ্গেরি ও পর্তুগালের কাছেই পাত্তাই পায়নি তারা। ফলে টানা দুই আসরের চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপ শেষ হয় গ্রুপ পর্বেই। আর তার ঠিক উল্টো ছিল স্বাগতিকরা। ফেভারিট না হয়েও ধাপে ধাপে এগিয়ে চলে ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে অবশ্য হোঁচট খায়। দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র। কিন্তু এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। যদিও কথিত আছে তাদের স্বপ্নযাত্রায় ছিল রেফারিদের হাত। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টসাধ্য জয়। সেমি-ফাইনালে অপ্রতিরোধ্য পর্তুগালের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে ফাইনালের টিকেট কাটে ইংল্যান্ড।

সে আসরে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়ে দারুণ খেলেছিল উত্তর কোরিয়া। দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালির বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় আর চিলিকে ১-১ গোলে রুখে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে দলটি। নকআউট পর্বেও দারুণ সূচনা তাদের। পর্তুগালের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ইউসেবিওর অতিমানবীয় ফুটবল খেলায় উল্টো পাঁচ গোল হজম করে তারা। তবে ফুটবল বিশ্বের মন করেছিল দলটি। আর অপর দিকে উরুগুয়ে ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে বিদায় করে প্রথমবারের মতো অলইউরোপ ফাইনালের আয়োজন করে পশ্চিম জার্মানি।

ওয়েম্বলিতে ফাইনালে অবশ্য দারুণ খেলে ইংল্যান্ড। ৪-২ গোলে ম্যাচ জিতে নিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ আয়োজন করেই শিরোপায় চুমু খায় তারা। যদিও  বরাবরের মতো ফাইনাল ম্যাচেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। পর্তুগাল তৃতীয় ও সোভিয়েত ইউনিয়ন চতুর্থ হয়। 

১৯৬২: ফুটবল মাঠে এমন সহিংসতা কেউ দেখেনি আগে

তারা//


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়