ব্রাজিলের সঙ্গে ০-০ ড্র, ৩৬৩ দিনের পরিকল্পনা ও মেসিদের বিশ্বজয়
৩৬৩ দিনের দীর্ঘ এক পরিকল্পনা। যে পরিকল্পনার চূড়ান্ত লক্ষ্য বিশ্বকাপের মুকুট। ছক কাটা পরিকল্পনা, অসাধারণ রণ কৌশল, প্রতিপক্ষকে দাবিয়ে রাখা, নিজেদের পারফরম্যান্সে চূড়ান্ত বিশ্বাস, সবশেষে ভাগ্য পরীক্ষাতেও জয়; সবকিছুর সম্মিলিত ফল ২২তম বিশ্বকাপের ট্রফি।
আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ে পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন দুজন। একজন লিওনেল মেসি। আরেকজন কোচ লিওনেল স্কালোনি। দুজনের দীর্ঘ আলোচনা, পরিকল্পনা ও মাঠে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিশ্চিত হয়ে যায় আর্জেন্টিনার তৃতীয় শিরোপা। যে শিরোপার জন্য তাদের অপেক্ষা ছিল ৩৬ বছরের।
দিনটা ছিল ১৭ ডিসেম্বর ২০২১। সান জুয়ানে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ব্রাজিলের সঙ্গে ড্র করে আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচ ড্র করে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। দ্বিতীয় স্থানে থেকে বিশ্বকাপে নাম লিখায় আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল ততদিনে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে। ৬ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল তিতের দল।
ওই ম্যাচের পর নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণে আলোচনায় বসেছিলেন মেসি ও স্কালোনি। দুজনের মধ্যে কি আলোচনা তা খোলাসা করেননি স্কালোনি। তবে বিশ্বকাপ জয়ের পর কোচ জানালেন, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় সম্ভব তা ওই ম্যাচের পর বুঝে গিয়েছিলেন স্কালোনি।
সঙ্গে মেসির আত্মবিশ্বাসে মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছিলেন বলে জানালেন চ্যাম্পিয়ন কোচ, ‘আপনাদের আজ বিশেষ কিছু বলতে যাচ্ছি, আমার ও মেসির যা আলোচনা হয়েছিল সান জুয়ানে। ব্রাজিলের বিপক্ষে ০-০ ড্রয়ের পর আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। আমরা অনুভব করা শুরু করি সামনে আমাদের কি চ্যালেঞ্জ আসতে যাচ্ছে এবং সেই চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে যেতে আমাদের কঠিন পথ পার হতে হবে।’
‘হতাশাগ্রস্ত না হয়ে কিভাবে আরও শক্তিশালী হওয়া যায় সেই উপায় আমরা খুঁজছিলাম। প্যারিসে ফিরে যাওয়ার আগেই আমাদের সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমি তাকে সব বলেছিলাম এবং সে আমাকে আশ্বস্ত করেছিল, সে আমার সঙ্গে আছে এবং আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই বড় কিছু আসতে যাচ্ছে। যদি কোনো কিছু নাও হয় আমরা বলতে পারবো, সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। ওর সঙ্গে আলোচনা আমার মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করেছিল।’
ইয়াসিন/আমিনুল