আশা জাগিয়েও ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ৩১৪ও ১৪৫/৭
বাংলাদেশ: ২২৭ ও ২৩১
ফল: ভারত জয়ী ৩ উইকেটে
সকাল সকাল সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের আঘাত। জিততে হলে দরকার ছিল ৬ উইকেট। তিন উইকেট নিয়ে জয়ের সম্ভাবনা আরও বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ক্রিজে ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার, তার সঙ্গে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দুজন বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। তাতে বাংলাদেশের জয় উঁকি দিলেও আড়ালে চলে গেছে। মিরপুরে ৩ উইকেটে জিতে স্বাগতিকদের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলো ভারত। দুজনের ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে হার মানতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
৪৭তম ওভারে মিরাজকে ছক্কা ও দুটি চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন অশ্বিন। ৬২ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ২৯ রানে খেলছিলেন আইয়ার।
২ ইনিংসে ৬ উইকেট ও ৪২ রানের জয়সূচক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা অশ্বিন। ২২২ রান করে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা।
বাংলাদেশকে আইয়ারের চোখ রাঙানি
১৮ রানের মধ্যে সকালে তিন উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন কাঁপায় বাংলাদেশ। ৭৪ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ার হাল ধরেছেন। তাদের জুটি বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে রেখেছে।
পান্ত, অক্ষরকে টিকতে দিলেন না মিরাজ
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে লক্ষ্য নাগালে নিয়ে আসতে পারেন রিশাভ পান্ত, এমন ভয় ছিল স্বাগতিক শিবিরে। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাটে পুড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবার তাকে ছুটতে দেয়নি বাংলাদেশ। মিরাজের ছোবলে শেষ পান্তের ১৩ বলে ৯ রানের ইনিংস।
এক ওভার পর মিরাজের শিকার অক্ষর পাটেল। থিতু হয়ে বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছিলেন অক্ষর। কিন্তু তাকে বোল্ড করে মিরাজ ভারত শিবিরে করলেন আঘাত। মিরাজ পেয়ে গেলেন পাঁচ উইকেটের স্বাদ।
মাঠে এসে ব্যস্ত ছিলেন পান্ত। সাকিবকে রিভার্স সুইপ করে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে নিজের মনোভাব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মিরাজ তাকে ফাঁদ পেতেই ফিরিয়েছেন। উইকেট টু উইকেট আক্রমণাত্মক বোলিং করেছেন। ডাউন দ্য উইকেটে তাকে আসতে দেখে জোরে বল করেছেন। তাতে পান্ত রয়েসয়ে তাকে খেলছিলেন। বাড়তি সতর্কতায় মিরাজকে উইকেট দিয়ে আসেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে বল মিস করে এলবিডব্লিউ হন।
পরের ওভারে মিরাজের বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন অক্ষর। বলটা নিচু হয়ে যাওয়ায় খেলতে পারেননি অক্ষর। ৬৯ বলে ৩৪ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন অক্ষর।
সকালেই সাকিবের হাত ধরে এলো সাফল্য
দিনের শুরুতেই সাকিব আল হাসানের হাত ধরে এলো সাফল্য। তার আর্ম ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন ভারতের নাইটওয়াচম্যান জয়দেব উনাদকাট।
প্রথম ওভারেও ফিরতে পারতেন উনাদকাট। মিরাজের বল তার প্যাডে আঘাত করেছিল। মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পক্ষে না আসায় রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষে আসেনি। তবে পথের কাঁটা দূর করতে সাকিব সময় নেননি।
নিজের প্রথম ওভারেই উনাদকাটকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান। রিভিউ নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু ফল পাল্টায়নি।
৫৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারালো ভারত। জয় থেকে তারা ৮৯ রানে দূরে। বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৫ উইকেট।
ইতিহাসের হাতছানি
ভারতকে প্রথমবারের মতো টেস্টে হারাতে বাংলাদেশের চাই ৬ উইকেট। চট্টগ্রামের পর ঢাকায় জয় পেতে ভারতের প্রয়োজন ১০০ রান। মাঠের লড়াইয়ে দুই দলই আছে সমানে সমান অবস্থানে। কার মুখে শেষ হাসি ফোটে সেটাই দেখার। অক্ষর পাটেল ও জয়দেব উনাদকাট চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছেন। দিনের শুরুতে এ জুটি ভাঙতে পারলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই লড়াইয়ে এগিয়ে যাবে।
ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম