পেলেকে এমবাপ্পের শেষ শ্রদ্ধা
গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ চলাকালে যখন পেলের মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন ছড়ালো, তখন কিলিয়ান এমবাপ্পে তা বিশ্বাস করেননি। তবে জানতে পারেন, গুরুতর অসুস্থ। টুইটারে লেখেন, ‘রাজার জন্য প্রার্থনা করুন।’ কিন্তু এক মাসের জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন পেলে। বৃহস্পতিবার কোলন ক্যানসার পরবর্তী নানা জটিলতায় সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
শোকে স্তব্ধ এমবাপ্পেও। রাশিয়া বিশ্বকাপে একাধিক রেকর্ড ভেঙে পেলের পাশে নাম লেখান ফরাসি স্ট্রাইকার। প্রথম বিশ্বকাপেই ফ্রান্সের সঙ্গে জেতেন ট্রফি। তারপর থেকে পেলের প্রশংসায় ভাসছিলেন এমবাপ্পে। পেলে বলেছিলেন, ‘এমবাপ্পে ১৯ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জিতেছে। আমি যখন বিশ্বকাপ জিতলাম প্রথমবার, তখন বয়স ছিল ১৭। আমি বিশ্বাস করি নতুন পেলের আবির্ভাব হবে। অনেকেই হয়তো মনে করতে পারে আমি মজা করছি, মোটেই না।’
ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ডের কাছ থেকে এমন প্রশংসা নিঃসন্দেহে এমবাপ্পেকে উজ্জীবিত করেছিল। তাই পেলের প্রতি অন্য ধরনের ভালোবাসা কাজ করে ফ্রান্সের ফুটবল তারকাকে। ফুটবলের রাজার মৃত্যুতে তাই শোকাহত এমবাপ্পে এবং শোকবার্তা জানিয়ে তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘ফুটবলের রাজা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু তার উত্তরাধিকার কখনও ভোলা যাবে না। শান্তিতে ঘুমান রাজা।’
বিশ্ব মানচিত্রে ফুটবলকে অন্যভাবে তুলে ধরেছিলেন পেলে। ১৯৫৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে সুইডেনে প্রথম বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। ১৯৬২ সালে জেতেন দ্বিতীয় ট্রফি, যদিও ইনজুরির কারণে বেশিরভাগ সময় ছিলেন মাঠের বাইরে। ১৯৭০ সালে মেক্সিকোতে ক্যারিয়ারের তৃতীয় বিশ্বকাপ জেতেন। বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে তার নামের পাশে গোল ১২টি।
সব মিলিয়ে পেলের গোল ১২৮১টি। আঞ্চলিক ও জাতীয় শিরোপার পাশাপাশি দুটি কোপা লিবার্তাদোরেস, দুটি আন্তঃমহাদেশীয় কাপ, ইউরোপ ও দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা দলের মধ্যে দুটি বার্ষিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন।
ঢাকা/ফাহিম