ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

প্রথম দিনে আক্ষেপ শেষ বলে তামিমের উইকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ৪ এপ্রিল ২০২৩   আপডেট: ১৭:৫৬, ৪ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম দিনে আক্ষেপ শেষ বলে তামিমের উইকেট

আয়ারল্যান্ড: ২১৪/১০  (৭৭.২ ওভার) 

বাংলাদেশ: ৩৪/২ (১০ ওভার)

আরেকটি বল বাকি ছিল! কিন্তু পারলেন না তামিম ইকবাল। ম্যাকব্রিনের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হলেন তিনি। অফে পিচ করা বল হালকা বাউন্স করেছিল। তামিম ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন কিন্তু হলো না। বল ব্যাটে লেগে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। ৩৬ বলে ২১ রানে ফেরেন তামিম। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৪ রান। মুমিনুল অপরাজিত আছেন ১২ রানে।

আরো পড়ুন:

এর আগে প্রথম ওভারে নিজের প্রথম বলেই ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ড ২১৪ রানে অলআউট হয়। বাংলাদেশ ১৮০ রানে পিছিয়ে আছে। আইরিশদের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন অ্যাডেয়ার-ম্যাকব্রিন। 

প্রথম বলেই বোল্ড শান্ত

ইনিংসের পঞ্চম ও নিজের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অফে করা অ্যাডেয়ারের লেন্থ বল। শান্ত কাট করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ঠিকমতো টাইমিং হয়নি। বল ব্যাটে লেগে আঘাত করে উইকেটে। প্রথম বলেই শূন্যরানে ফিরলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ক্রিজে তামিমের সঙ্গী মুমিনুল। 

তাইজুলের ফাইফারে ২১৪ রানে অলআউট আয়ারল্যান্ড

মিরাজের ঘুর্ণিতে গ্রাহাম হুম বোল্ড হলে আয়ারল্যান্ড ২১৪ রানে অলআউট হয়। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৭৭.২ ওভারে অলআউট হয় তারা। তাইজুল ইসলাম নেন ৫ উইকেট। ২৮ ওভার বোলিং করে ৫৮ রান দিয়ে এই উইকেটগুলো নেন তাইজুল। মেডেন দেন ১০টি। এটি তার ক্যারিয়ারের ১১তম ফাইফার। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন। সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে আসেন ৬৬তম ওভারে। ৩ ওভার বোলিং করে তিনি ৮ রান দেন। আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন টেক্টর। এ ছাড়া টকার ৩৭, ক্যাম্পার ৩৪ ও অ্যাডেয়ার ৩২ রান করেন।  

তাইজুলের ফাইফার 

তাইজুলের আর্ম বল বুঝতে পারেননি অ্যাডেয়ার। তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল লাগে প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ৫২ বলে ৩২ রান করেন অ্যাডেয়ার। ২৮ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। 

টকারকে ফেরালেন তাইজুল, আইরিশদের ২০০ 

তাইজুলের আউটসাইড অফের বলে খোঁচা দিয়ে সাজঘরে ফেরেন টকার। ৭৪ বলে ৩টি চারে ৩৭ রান করেন টকার। তার আউটে ভাঙে ৬৭ বলে ৪০ রানের জুটি। তাইজুলের এটি চতুর্থ উইকেট। টকার আউট হওয়ার পরের বলেই আয়ারল্যান্ডের ২০০ হয়। ৭১ ওভারে ৮ উইকেটে ২০০ রান করে আইরিশরা। 

জুটি ভেঙে স্বস্তি এনে দিলেন এবাদত

ম্যাকব্রিন-টকার জুটি বেঁধে ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করছিলেন। সুযোগ পেলেই হাঁকাচ্ছিলেন বাউন্ডারি। বেশিদূর যাওয়ার আগে অবশ্য জুটি ভেঙে স্বস্তি এনে দেন এবাদত হোসেন। শর্ট বলে সুইপ কর‍তে চেয়েছিলেন, কিন্তু বল কাঁধ বরাবর হয়ে যাওয়ার টাইমিং ঠিক মতো কর‍তে পারেননি ম্যাকব্রিন। স্কয়ার লেগে মুমিনুল হকের হাতে ধরা পড়েন। ৫৫ বলে ১টি করে চার-ছয়ে ১৯ রান করেন ম্যাকব্রিন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৩৫ রান। 

ছক্কা বাঁচাতে গিয়ে মাঠের বাইরে তামিম 

তাইজুলের লেগ স্ট্যাম্পের বল উড়িয়ে মেরেছিলেন ম্যাকব্রিন। ডিপ উইকেট থেকে দৌড়ে ডিপ মিডউইকেটে বাউন্ডারি লাইনে আসেন তামিম ইকবাল। শূন্যে ঝাঁপিয়ে ডাইভ দিয়েছিলেন তামিম, মাটিতে পড়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ ঠিক রাখতে পারেননি। বাউন্ডারির বাইরে গয়ে ধাক্কা খান গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের গাল্যারির দেয়ালের সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গে তামিম মাঠে ছাড়েন। ম্যাচের ৫৯তম ওভারে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ২ রানে ৩ উইকেট

দ্বিতীয় সেশনে আয়ারল্যান্ডের প্রাপ্তি ক্যাম্পার-টেক্টর জুটি। দুজনে ১২২ বলে ৭৪ রান যোগ করেন। অবশ্য ফিফটির পর টেক্টরের আউটে ভাঙে জুটি। ৩ ওভারে ২ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। ম্যাকব্রিন-টকার দ্বিতীয় সেশন পার করে দেন কোনো বিপদঃ ছাড়াই। দ্বিতীয় সেশন শেষে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে আইরিশদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৫।

মিরাজ-তাইজুলের ঘূর্ণিতে ২ রানে ৩ উইকেট হারালো আয়ারল্যান্ড

ফিফটির পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি টেক্টর। মিরাজের আউটসাইড অফের বল মিডউইকেটে খেলতে চেয়েছিলেন। বল ব্যাট স্পর্শ করে ভেঙে দেয় উইকেট। ৯২ বলে ৫০ রানেই থামেন টেক্টর। তিনি ৮ বলের বেশি টিকতে পারেননি। তাইজুলের ফুল বলে মিড অফে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন, কিন্তু টাইমিং হয়নি ঠিকমতো। বল যায় মিড অফে দাঁড়ানো তামিমের হাতে। ৮ বলে ১ রান করেন মুর। এরপর আবার তাইজুলের আক্রমণ, এবার ফেরান সেট ব্যাটসম্যান ক্যাম্পারকে। এবার আর্ম বলে পরাস্ত হন ক্যাম্পার। বল ব্যাট মিস করে লাগে প্যাডে। রিভিউ নিয়েছিলেন ক্যাম্পার কিন্তু লাভ হয়নি। ৭৩ বলে ৩৪ রান করেন ক্যাম্পার। ৩ ওভারে মাত্র ২ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ নিলো ৩ উইকেট। তাইজুল নেন ২টি ও মিরাজ নেনি ১টি। ম্যাকব্রিন-টকার হাল ধরার চেষ্টা করছেন। 

প্রথম আইরিশ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকেই টেক্টরের ফিফটি

খালেদের করা লেগ স্ট্যাম্পের বলে লেগে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নেন  টেক্টর। দেখা পান টেস্ট অভিষেকেই ফিফটির। ৮০ বলে  ৬টি চার ও ১টি ছয়ে তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেন। টেক্টর প্রথম আইরিশ ক্রিকেটার যিনি টেস্ট অভিষেকে ফিফটির কীর্তী গড়েন। ২৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন টেক্টর। সঙ্গী অ্যান্ডু বালবির্নি চলে গেলে ক্যাম্পারকে নিয়ে জুটি গড়ে এগোতে থাকেন। ধুজনের মধ্যাহ্ন বিরতি পার করে ফিফটির জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন। টেক্টর তুলে নেন ফিফটি।

জুটির ফিফটির পর আয়ারল্যান্ডের ১০০

টেক্টর-ক্যাম্পারের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছে  আয়ারল্যান্ড। জুটির ১৭ রানের সময় মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফিরে সাবলীল খেলতে থাকেন দুজনে। বাংলাদেশকে কোনো সুযোগই দিচ্ছেন না তারা। সাদাপোশাকে অভিষেকের দিনে দুই ব্যাটসম্যানই দিচ্ছেন ধর্য্যের পরীক্ষা। ৮২ বলে দুজনের জুটির ফিফটি হয়। পেসারদের সঙ্গে তাইজুল-মিরাজরাও উইকেটের দেখা পাচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত বোলিং করেননি সাকিব আল হাসান।  

প্রথম সেশনে বাংলাদেশের ঝুলিতে ৩ উইকেট, আক্ষেপ ২ ‘রিভিউ’

প্রথম সেশন শেষে মধ্যাহ্ন বিরতিতে দুই দল। আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান। ক্রিজে আছেন টেক্টর-ক্যাম্পার। দুজনের জুটি থেকে আসে ২৭ বলে ১৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। প্রথম সেশনে ৩ উইকেটের সঙ্গে বাংলাদেশের আক্ষেপও রয়েছে। ৪ ওভারের ব্যবধানে হারিয়েছে ২ রিভিউ। প্রথম সেশনে তিন পেসার বোলিং করেন ১৬ ওভার। স্পিনে তাইজুল ৮ ও মিরাজ ২ ওভার বোলিং করলেও হাত ঘোরাননি সাকিব। 

খালেদের নো বলে ফিফটি 

খালেদের নো বলে ২২.৫ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দলীয় ৫০ রান পূর্ণ হয়। এ সময় সফরকারীরা ৩ উইকেট হারায়। টেক্টর-ক্যাম্পার চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ব্যাটিং করছেন।

সাজঘরে আইরিশ অধিনায়ক

এর আগে তাইজুল বালবির্নির কাছে প্রথম বলেই রিভিউ হারান। এবার আর তেমন হয়নি। স্ট্যাম্পে করা তাইজুলের ফুল বলে সুইপ করতে চেয়েছিলেন আইরিশ অধিনায়ক। ৫০ বলে ১৬ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে কোনো বাউন্ডারির মার নেই। ৪৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারালো আয়ারল্যান্ড। তার আউটে ভেঙে যায় ৭১ বলে ২১ রানের জুটি। ক্রিজে টেক্টরের সঙ্গী ক্যাম্পার। 

৪ ওভারের ব্যবধানে ২ রিভিউ হারালো বাংলাদেশ

পেসার দিয়ে টানা দশ ওভারের পর একাদশ ওভারে তাইজুল ইসলামকে আক্রমণে নিয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আউটসাইড অফের বেরিয়ে যাওয়া বল ব্যাটের পাশ দিয়ে উইকেটের পেছনে যায় বালবির্নির। বাংলাদেশের ফিল্ডাররা আবেদন করেন আউটের। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন সাকিব। কিন্তু বল ব্যাটে স্পর্শ না করায় প্রথম রিভিউ হারায় লাল সবুজের দল। ৩ ওভার পর আবারও রিভিউ হারায় স্বাগতিক শিবির। মিরাজের করা ব্যাক অব লেন্থের বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে টেক্টরের প্যাডে লাগে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। ফিল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে আবারও রিভিউ নেন সাকিব। কিন্তু বল লেগ স্ট্যাম্প মিস করায় বাংলাদেশের বিপক্ষেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। 

আক্রমণে এসেই দ্বিতীয় ওভারে এবাদতের উইকেট

নিয়মিত বিরততে উইকেটের দেখা পাচ্ছে বাংলাদেশ। শরিফুলের পর আঘাত এবাদতের। নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বল। ব্যাক অব লেন্থের হালকা বাউন্স করা বল বেরিয়ে যাচ্ছিল অফ সাইড দিয়ে, ম্যাককলাম খোঁচা দিয়ে বসেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় দ্বিতীয় স্লিপে শান্তর হাতে। ৩৪ বলে ১ চারে ১৫ রান করেন ম্যাককলাম। ২৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালো আইরিশরা। 

আইরিশ শিবিরে শরিফুলের প্রথম আঘাত

শুরু থেকে দেখেশুনে খেলে ৪ ওভার কাটিয়ে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার। পঞ্চম ওভারে এসে আর পারেননি তারা। অভিষিক্ত কমিন্স ফেরেন শরিফুলের শিকার হয়ে। শরিফুলের ফুল ডেলিভারি ব্যাট ফাঁকি দিয়ে লাগে কমিন্সের প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ৪ মেরে রানের খাতা খোলা কমিন্স ফেরেন ৫ রানে। 

ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ 

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে টস হেরে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ১০টায় খেলাটি শুরু হবে। তামিম ইকবালকে ঘিরে অনিশ্চয়তা থাকলেও তিনি খেলছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে তিন পেসার নিয়ে।  

বাংলাদেশ একাদশ

তামিম ইকবাল, নজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন।

আইরিশদের ৭ জনের অভিষেক 

আয়ারল্যান্ডের ৭ জন ক্রিকেটারের টেস্ট অভিষেক হচ্ছে। তারা হলেন, মুরি কমিন্স, হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্পার, লরকান টকার, গ্রাহাম হুম, বেন হোয়াইট ও পিটার মুর।

একাদশে যারা মুরি কমিন্স, জেমস ম্যাককালাম, অ্যান্ডি বালবার্নি, হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্পার, লরকান টকার, গ্রাহাম হুম, বেন হোয়াইট, পিটার মুর, মার্ক অ্যাডেয়ার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। 

সাদা পোশাকে দুই দলের প্রথম লড়াই 

২০১৮ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত মাত্র তিন ম্যাচ খেলা আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ। যদিও এই সংস্করণে বাংলাদেশও নরবড়ে। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া নতুন সদস্য আফগানিস্তানের বিপক্ষেও টেস্ট হেরেছিল স্বাগতিক শিবির। আইসিসি টেস্ট খেলুড়ে সবগুলো দেশের বিপক্ষে প্রথম মুখোমুখিতে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানকে আতিথেয়তা দিয়ে তাদের বিপক্ষেও হারতে হয়েছিল। 

বাংলাদেশের লক্ষ্য জেতা 

ভরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সতর্কও রয়েছে বাংলাদেশ। মিরাজের কণ্ঠে পাওয়া গেল সতর্কবাতাও, ‘আন্তর্জাতিক খেলা কিন্তু আন্তর্জাতিক খেলাই। আপনি ১ নম্বর দলের সাথে খেললেও যেমন, ১০ নম্বর দলের সঙ্গে খেললেও একই অনুভূতি কাজ করে আমাদের।’

ফল নিয়ে চিন্তিত নয় আয়ারল্যান্ড 

ম‌্যাচের ফল কী হবে, কয়দিন ম‌্যাচ হবে সেসব নিয়ে আয়ারল‌্যান্ডের চিন্তা নেই। দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলার সুযোগ মিলেছে সেই রোমাঞ্চে তারা ডুবে আছে। অধিনায়ক বালবার্নির কথায় তাই ফুটে উঠল, ‘আমাদের ছেলেদের অনেকেই প্রথম শ্রেণির ম্যাচ বেশি খেলেনি। পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ খেলা মানে পুরো ভিন্ন ব্যাপার। আমাদের ছেলেরা মূলত সাদা বলে খেলে বেড়ে ওঠে।’ ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি হয়ে টেস্ট। ফরম‌্যাট বদলেছে। বদলেছে জার্সির রঙ, খেলার বল। তবে বাংলাদেশের লক্ষ‌্য একটুও বদলায়নি। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে আয়ারল‌্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ‌্য সাকিব অ‌্যান্ড কোংয়ের।

ঢাকা/রিয়াদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়