বড় সংগ্রহের পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল
তৃতীয় ও শেষ চারদিনের ম্যাচের প্রথম দিনে দারুণ লড়াই করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। মঙ্গলবার সিলেটে স্বাগতিক বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে অতিথিরা ৬ উইকেটে ৩২০ রান তুলেছে।
এদিন চার ফিফটি এসেছে অতিথি দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে। সেঞ্চুরির কাছাকাছিও গিয়েছিলেন দুজন। কিন্তু আশির ঘরে থেমে যেতে হয় তাদের।
বাংলাদেশের বোলিং তেমন একটা ভালো হয়নি। স্পিনে নাসুম উইকেট পেলেও ছিলেন অধারাবাহিক। পেসারদের বোলিংও ছিল আঁটসাঁট। সব মিলিয়ে প্রথম দিনটি ভালো যায়নি বাংলাদেশের। তবে টস হেরে বোলিংয়ে নেমে নতুন বলে শুরুটা ভালো ছিল। ১ রান তুলতেই ২ উইকেট তুলে নেন দুই পেসার শরিফুল ও মুশফিক। শরিফুল আউট করেন কির্ক ম্যাকেঞ্জিকে। মুশফিক হাসান তুলে নেন জ্যাসরেচি ম্যাকেচির উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ত্যাগনারায়ণ চন্দরপল ও অ্যালিক অ্যাথানজি ৮২ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে অ্যাথানজি তুলে নেন ফিফটি। ত্যাগনারায়ণ ধীর গতিতে এগোতে থাকেন। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে এ জুটি ভাঙেন স্পিনার নাসুম। ৫৯ রানে অ্যাথানজি স্লিপে ক্যাচ দেন।
সেখান থেকে জশুয়া ডি সিলভা ও ত্যাগনারায়ণ ১৩২ রানের জুটি গড়েন। তাতে বড় রানের ভিত পেয়ে যায় অতিথিরা। কিন্তু দুই ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে হতাশ হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। অধিনায়ক জশুয়া ৮২ রানে নাসুমের বলে বোল্ড হন। ত্যাগনারায়ণ ৮৩ রানে আউট হন মুশফিক হাসানের বলে। সেখান থেকে রেইমন রাইফারের ৫৬ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিনশ’র বেশি রান পুঁজি করে দিনের খেলা শেষ করে।
শেষ বিকেলে ১০ রানে এলবিডব্লিউ হন তেভিন ইমলিচ। রেইফারের সঙ্গে ২২ রানে অপরাজিত আছেন কেভিন সিনক্লিয়ার। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে নাসুম ৩টি ও মুশফিক ২টি উইকেট নেন। ১ উইকেট পেয়েছেন শরিফুল।
ইয়াসিন/আমিনুল