এমন স্বপ্নই দেখেছিলেন ‘অধিনায়ক’ মুমিনুল
দীর্ঘ দিন পরপর টেস্টে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবুও আগের তুলোনায় সেই অপেক্ষাটা অনেক কম। তারপরও কিভাবে লম্বা সময় ধরে নিজেদের ঠিক রাখেন ক্রিকেটাররা? এমন প্রশ্নে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে তকমা পাওয়া মুমিনুল হক যে ব্যাখা দিয়েছেন তার সারমর্ম হলো, ‘মানসিকতা ঠিক রাখা ও বড় স্বপ্ন দেখা।’
শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মুমিনুল। সেখানে কথার ঝাঁপি খুলে বলেছেন, ‘আপনি যদি চিন্তা করেন আপনার এক বছর পর টেস্ট হোক, ওটা আমার জন্য ভালো! যেটা হবে সেটাই ভালো সবার ক্ষেত্রেই। আপনি যদি এই সেটআপ করতে পারেন যে, এক বছর পরে হোক, বা পাঁচ মাস বা প্রতিদিন হোক আমার জন্য যেটা হবে ভালো।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২ মাস ১০ দিনের বেশি। অন্য সংস্করণের ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারলেও মুমিনুলকে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। শুধু তাকেই নয়, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান ও ইবাদত হোসেনকেও এ সময়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে। মুমিনুল নিজেকে যেভাবে গড়ে তুলেছেন, যে মানসিকতায় স্থির আছে তা সবার জন্য এক নয়, ‘এক এক জনের হয়তো একেক রকম থাকে, আমার জন্য এটাই। তবে এটা হয়তো জাকির বা জয়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। আমার এটা আগে থেকেই সেটআপ করা।’
বাংলাদেশ ২০২২ সালে টেস্ট খেলেছে ১২টি। এ বছর এখন পর্যন্ত খেলেছে মাত্র ২টি। আরেকটি টেস্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। লম্বা সময় নিজের ফর্ম, ফিটনেস ধরে রাখতে পারবেন তো মুমিনুল? লাল বলের প্রতি তাড়না থেকেই নিজেকে সবক্ষেত্রে এগিয়ে রাখার প্রেরণা পান এই ব্যাটসম্যান, ‘আমার কাছে মনে হয় এটা প্যাশনের ব্যাপার। কেউ স্বপ্ন দেখে লাল বল খেলবে বা সব ফরম্যাট খেলবে। এখনকার যুগে অনেকে চিন্তা করে টাকার দিকে। যেভাবে আপনি চিন্তা করেন। আপনার যদি প্যাশন থাকে টেস্ট ক্রিকেটটা খেলবো, যে স্বপ্নটা দেখবে। তার ওভাবে তৈরি করতে হবে।’
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মুমিনুলের টেস্ট ক্রিকেটে আগ্রহ বেশি। সাদা পোশাক ও লাল বলে খেলার এই স্বপ্ন মুমিনুল ছড়িয়ে দিয়েছেন তরুণদেরও। তার অধিনায়ক হওয়ার পর বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ে নতুন গতি পেয়েছিল। যার সুফল এখন ভোগ করছে দেশের ক্রিকেট। নিজের স্বপ্নের পরিধি দিগন্ত বিস্তৃত করতে চান এই ক্রিকেটার।
‘আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম, আমার স্বপ্ন ছিল টেস্ট ক্রিকেটটা উন্নতি করবো। আমার কাছে মনে হয় এটা সবার ভেতর ছড়িয়ে যাচ্ছে। নতুন যারা শিখতেছে, দীপু ঢুকলো, অন্যরা যারা আছে, নাইন্টিনে যারা আছে তাদের সবার ভেতরে ইচ্ছে আছে তারা কেউ খালি সাদা বল খেলতে চায় না। সবার ভেতরে আগ্রহ আছে লাল বল খেলবে। লাল বল খেলতে ওই প্যাশন বা স্বপ্নটা দেখাতে হবে। আপনার দলকে কোথায় দেখতে চান চার বা তিন বছর পর। না হলে কিন্তু আমাদের টেস্ট দলের বোলিংটা এত ভালো হয় না।’
ঢাকা/রিয়াদ/ইয়াসিন