বাংলাদেশ সিরিজ থেকে এশিয়া ও বিশ্বকাপের মিশন শুরু আফগানিস্তানের
তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টি খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে শনিবার ঢাকায় পৌঁছবে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। এই সিরিজ দিয়ে আফগানিস্তান এশিয়া ও বিশ্বকাপের মিশন শুরু করতে যাচ্ছে। দলের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেছেন ক্রিকবাজের সঙ্গে।
সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে আফগানিস্তান বরাবরই চমকে দেওয়া দল। মোহাম্মদ নবী, রশিদ খানদের সঙ্গে এখন রহমানউল্লাহ গুরবাজ, মুজিব উর রহমান, নাভীন উল হক, আজমত উমারজাই বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিত নাম। সঙ্গে ইব্রাহিম জাদরান, নুর আহমেদদের মতো প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারও রয়েছে। যারা ২২ গজে নিজেদের দিনে অনন্য।
আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে শীর্ষ আটে থাকায় আফগানিস্তান সরাসরি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করছে। এশিয়া কাপে তাদের অংশগ্রহণ নিয়মিত। তবে পারফরম্যান্স অধারাবাহিক। গতবার বিশ্বকাপে নয় ম্যাচে একটিও জেতেনি। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে খেললেও সেখানে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পেরে উঠেনি। এবার আফগানরা ভালো করতে মুখিয়ে। এজন্য বাংলাদেশ সিরিজ থেকেই ধারাবাহিক পারফর্ম করতে চান হাশমতউল্লাহ শহীদিরা।
‘এশিয়া কাপ বড় ইভেন্ট এবং আমরা যদি এই প্রতিযোগিতায় ভালো করি তাহলে বিশ্বকে বার্তা দিতে পারবো যে আমরা বিশ্বকাপে আসছি। এশিয়া কাপে ভালো করতে আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী এবং এটা আমরা বিশ্বকাপে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য আমরা বাংলাদেশ সিরিজেও তাকিয়ে আছি। কারণ এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা বিশ্বকাপ পর্যন্ত টেনে নেবে।’
ওয়ানডে ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আফগানিস্তান এখন অনেক পরিণত তা ফুটে উঠল হাশমতউল্লাহর কণ্ঠে,
‘তিন বা চার বছর আগে আমরা যখন ওয়ানডে ম্যাচ খেলতাম বেশিরভাগ নিজের মাঠে (ভারত কিংবা দুবাই) আয়োজন করা হতো। সেখানে উইকেট নিজেদের মতো করে বানাতাম। খুব স্বাভাবিক যে বিষয়টি তা হলো, আমরা স্পিন বান্ধব উইকেট তৈরি করতাম যা খুব ধীরগতির হতো এবং ২৪০-২৫০ রানই যথেষ্ট ছিল।’
‘কিন্তু শেষ এক বছরে আমরা কেবল একটি সিরিজ আয়োজন করেছি এবং যা খেলেছি সব বাইরে। আমরা জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কায় খেলেছি। এখন বাংলাদেশে খেলবো। ওয়ানডে ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন এখন বদলে গেছে। ৩০০-৩২০ রান হচ্ছে নিয়মিত। আমরা উইকেট অনুযায়ী নিজেদের খেলার মানসিকতা পরিবর্তন করেছি। যেখানে ৩০০ রানের উইকেট সেখানে সেভাবেই খেলবো। যেখানে ২০০ রান সেখানে সেভাবেই খেলবো।’
‘আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে খেলতে শিখেছি এবং আগের মতো করে ভাবার কারণ দেখছি না। প্রত্যেককে নিজেদের ভূমিকা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল।’
ঢাকা/ইয়াসিন