বোলিংয়ে সেরা দশে ফিরলেন সাকিব
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বল হাতে ৩ ওয়ানডেতে ৪ উইকেট নিয়ে র্যাংকিংয়ে তিনধাপ এগিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাতে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বোলিংয়ে সেরা দশে ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনার। ৬১৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাকিবের অবস্থান এখন দশ নম্বরে।
এদিকে ব্যাটিংয়ে তিনধাপ উন্নতি হয়েছে লিটন দাসের। সিরিজে শেষ ম্যাচে ফিফটি পেয়ে দলকে জেতালেও তিন ওয়ানডে মিলিয়ে রান করেছেন কেবল ৯২। ৫৭৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে নেদারল্যান্ডসের স্কট এডওয়ার্ডসের সঙ্গে যৌথভাবে ৩৮তম স্থানে আছেন লিটন।
এদিকে ব্যাটিংয়ে সাকিবের একধাপ উন্নতি এবং তামিম ইকবালের একধাপ অবনবন হয়েছে। তামিম ৩৩ এবং সাকিব আছেন ৩৪তম স্থানে।
৩৬ বছর বয়সী সাকিব শেষ ওয়ানডেতে ১০ ওভারে মাত্র ১৩ রানের খরচে নেন ১ উইকেট। আফগানদের ইনিংসের ১৬তম ওভারে নাজিবউল্লাহ জাদরানকে এলবিডব্লিউ করেন। এই সংস্করণে উইকেট শিকারের তালিকায় বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে তিনি এখন যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। তার উইকেট ৩০৫টি। সমান সংখ্যক উইকেট রয়েছে নিউ জিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরির। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে ১ ও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২ উইকেট নেন সাকিব।
বোলিংয়ে সাকিব ২০০৯ সালে শীর্ষ দশে ঢুকেন। সেবার ৭১৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে একেবারেই শীর্ষে চলে যান। পরের বছর শীর্ষস্থান হারিয়ে দুইয়ে নামেন। এরপর লম্বা সময় শীর্ষ দশে ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে প্রথম দশের বাইরে আসেন বাংলাদেশের তারকা স্পিনার। পরের বছরই আবার ঢুকে যান সেরা দশে।
২০১৫ এবং ২০১৬ সালে ধারাবাহিকভাবে তিন এবং চার নম্বর জায়গা নিজের দখলে রেখেছিলেন সাকিব। এ বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ৬৬৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে ছিলেন। এরপর জায়গা হারিয়ে চলে যান ১৩তম স্থানে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে ৪ উইকেটের সাফল্যে আবার সেরা দশে চলে আসলেন।
এদিকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতা আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদেরও র্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পাওয়া ইব্রাহিম জাদরানের ১১ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ১৬তম স্থানে পৌঁছেছেন ডানহাতি ওপেনার। এছাড়া রহমানউল্লাহ গুরবাজ সিরিজে ১৭৩ রান করে ৩৭ ধাপ এগিয়ে ৪৫তম স্থানে পৌঁছেছেন। এছাড়া প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ ফজল হক ফারুকি ৫৮ ধাপ এগিয়ে ৩৩তম স্থানে পৌঁছেছেন। সিরিজে ৮ উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার। তারকা স্পিনার রশিদ খানের একধাপের অবনবমন হয়েছে। তৃতীয় স্থান থেকে চতুর্থ স্থানে নেমেছেন লেগ স্পিনার।
ইয়াসিন/আমিনুল