নারী বিশ্বকাপ
স্নায়ুক্ষয়ী লড়াই শেষে ২০ শটের টাইব্রেকার, শেষ হাসি অস্ট্রেলিয়ার
১২০ মিনিটের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছড়ানো ম্যাচ। নাটকীয় একেকটি মুহুর্ত। নখ কামড়ানো স্নানুক্ষয়ী যুদ্ধ। নারী বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল উঠার লড়াইয়ে এমন রোমাঞ্চ ছড়াবে কে ভেবেছিল?
অস্ট্রেলিয়া কিংবা ফ্রান্স কেউ কাউকে দেয়নি ছাড়। শুধু কি ওই ১২০ মিনিটের লড়াই! টাইব্রেকারেও দুই দল ছিল রুদ্রমূর্তি চেহারায়। যেন লড়াইয়ের নতুন উন্মাদনায় মেতেছিল তারা।
শেষমেশ দুই দলকে আলাদা করেছে সাডেন ডেথ। সেখানে ফয়সালা হতেও কত দেরি! সব মিলিয়ে ২০ শট নেয় দুই দল। তাতে শেষ হাসি হেসেছে অস্ট্রেলিয়া। ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৭-৬ গোলে হারিয়ে নাটকীয় জয় তুলে নিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রাখল অস্ট্রেলিয়া। যা তাদের ফুটবল ইতিহাসে সেরা সাফল্য।
ব্রিসবেন স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াইকে ঘিরে উন্মাদনায় মেতেছিল দর্শকরা। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিল। ফ্রান্সের সমর্থকরা খুব বেশি না থাকলেও দলের জন্য গলা ফাঁটিয়েছেন উপস্থিতিরা।
শক্তি ও ফিফা র্যাঙ্কিং বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে গোল করতে পারেনি তারা। গোল দিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়াও। শুরু থেকেই ছিল একের পর এক আক্রমণ। গোছালো আক্রমণে দুই দলই এগিয়ে যাচ্ছিল গোলমুখে। কিন্তু ডি বক্সের ভেতরে গিয়েই সব তালগোল পাকানো পারফরম্যান্স। এলোমেলো সব শটে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন ফরোয়ার্ডরা। আবার দুই দলের গোলরক্ষক একাধিক সেভ করেছেন। যেগুলো মুগ্ধতা ছড়িয়েছে।
৯০ মিনিটের পর পরের অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি কোনো দল। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও হয়েছে টানটান উত্তেজনা। প্রথম ৫টি করে শটে দুই দলকে আলাদা করা যায়নি। যেখানে দুই দলই দুটি করে শট মিস করে। প্রথম ৫ শটে দুই দলের সমীকরণ ছিল ৩-৩।
পরের তিন শটে দুই দল তিনটি করে গোল করে। এরপর নবম শটে দুই দল আবার একটি করে মিস করে। দশম শটে নির্ধারণ হয় ভাগ্য নির্ধারণ। ফ্রান্সের ভিকি বেচোর শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালের পথ খুলে যায়। পরের শটে ১৯ বছর বয়সী কোর্টনি ভিনে গোল করে ইতিহাসের পাতায় নিজেকে জড়িয়ে নেন।
সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। বুধবার স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় ফাইনালের টিকিট পেতে লড়বে দুই দল।
ঢাকা/ইয়াসিন