আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পাকিস্তান
হিসেবনিকেশ আগেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। আফগানিস্তানকে শেষ ম্যাচে হারাতে পারলে একদিনের ক্রিকেটে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পৌঁছে যাবে পাকিস্তান। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আফগানদের ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করলো বাবর আজমের দল। অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে তারা উঠে গেল ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায়।
শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে তৃতীয় ওয়ানডেতে প্রথম ব্যাট করে বাবর আজম ও মোহাম্মাদ রিজওয়ানের ফিফটিতে ভর করে আফগানদের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৮ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ২০৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।
পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্যের জবাব দিতে নেমে একপর্যায়ে ৭৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে যায় আফগানিস্তান। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে হারের ব্যবধানই কেবল কমান স্পিনার মুজিব উর রহমান।
মুজিব এদিন রেকর্ডও গড়েন। ৩৭ বলে সমান ৫টি করে ছক্কা ও চারে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মুজিব। ২৬ বলে ফিফটি করার পথে ভেঙে ফেলেন আফগানিস্তানের হয়ে এই সংস্করণে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। ২৭ বলে ফিফটি করে এতোদিন রেকর্ডটি আকড়ে ছিলেন রশিদ খান।
পাকিস্তানের পক্ষে ৪২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার লেগ স্পিনার শাদাব খান। শাহিন আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও নাওয়াজ ঝুলিতে পুরেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান। দুজন মিলে উদ্বোধনী জুটিতেই তুলেন ৩৬ রান। নবম ওভারের শেষ বলে গুলবাদিন নাইবের বলে ২৭ রান করে ফখর আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ফখরের বিদায়ে ইমামের সঙ্গে এসে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক বাবর আজম।
দলীয় ৫০ রানের মাথায় ১৩ রান করে বিদায় নেন ইমামও। ইমামের বিদায়ের পর বাবরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মোহাম্মাদ রিজওয়ান। এ দুজন মিলে দেখেশুনে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। তাতে রানের চাকা কিছুটা ধীর গতিতে এগোতে থাকে। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মিলে ৩০ ওভারের মাথায় দলীয় রান শতকের ঘর পার করেন।
এরপরই হাত খুলতে শুরু করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। ফিফটির কিছুক্ষণ পর দলীয় ১৬২ রানে বিদায় নেন বাবর। এরপরই শুরু হয় পাকিস্তানের ব্যাটিং ধ্বস। একে একে বিদায় নেন সৌদু শাকিল (৯), রিজওয়ান (৬৭) ও শাদাব খান (৩)।
শেষের দিকে দুটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে দলকে মাঝারি মানের সংগ্রহ এনে দেন আগা খান ও মোহাম্মাদ নাওয়াজ। আগা খান ৩১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। নাওয়াজের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২৬৮/৮, ৫০ ওভার (বাবর ৬০, রিজওয়ান ৬৭)
আফগানিস্তান: ২০৯, ৪৮.৪ ওভার (মুজিব ৬৪ রিয়াজ ৩৪)
ফলাফল: পাকিস্তান ৫৯ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ৩-০তে জয়ী পাকিস্তান
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মাদ রিজওয়ান
ম্যান অব দা সিরিজ: ইমাম-উল-হক
ঢাকা/বিজয়