ঢাকা     বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১১ ১৪৩১

সেরা প্রস্তুতি নিয়ে অধরা শিরোপার মিশনে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪০, ২৭ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ১৭:৫৫, ২৮ আগস্ট ২০২৩
সেরা প্রস্তুতি নিয়ে অধরা শিরোপার মিশনে বাংলাদেশ

দলের কোনো অনুশীলন নেই। টানা রুদ্ধধার অনুশীলন শেষে দুই দিনের বিশ্রাম। বিশ্রামের শেষ দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন শেষে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কিন্তু অনুশীলনরত তাসকিনকে দেখে খানিকটা সময় দাঁড়ান। এরপর তাসকিনকে আলাদাভাবে কিছু পরামর্শ কিংবা টিপস দিয়েছেন। 

আফগানিস্তান সিরিজ শেষে সপ্তাহ দুয়েকের ছুটির পর জুলাইর শেষ দিন থেকে শুরু হয় জাতীয় দলের ক্যাম্প। ফিটনেস দিয়ে শুরু। এরপর সপ্তাহ খানেকের ফিটনেস ক্যাম্পের পর শুরু হয় স্কিল ট্রেনিং। ছুটি কাটিয়ে যোগ দেন হাথুরুসিংহেও। ১২ আগস্ট ঘোষণা হয় এশিয়া কাপের দল। এরপর থেকে বদলে যায় অনুশীলনের পালা।

এবারের এশিয়া কাপের আগে অনেক প্রথমের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। অনুশীলনে যোগ হয়েছে জিপিএস প্রযুক্তি। মানব চক্ষুর আড়াল হলেও প্রযুক্তির চোখ ফাঁকি দেওয়া যায় না। ইনডোরে জ্বলে ওঠে ফ্লাডলাইট। সব মিলিয়ে দিন-রাতে রুদ্ধধার অনুশীলন। গণমাধ্যমের জন্য বরাদ্ধ ছিল ১৫ মিনিট করে। তাও মূল অনুশীলনের আগে। 

আরো পড়ুন:

এবার মনোযোগ ছিল বেশি ম্যাচ সিনারিওতে। কখন কি পরিস্থিতিতে কেমনভাবে খেলা উচিৎ সেভাবেই চলেছে প্রস্তুতি। ম্যাচের আবহ টেনে একেকজনকে দিয়ে দেওয়া হতো টার্গেট; সেটি পূর্ণ করতে পারলেই পাস, না পারলে আবার। এভাবে বারবার ঝালিয়ে নিয়ে শিষ্যদের প্রস্তুত করেছেন হাথুরুসিংহে। এভাবে রুদ্ধধার ম্যাচ সিনারিওতে অনুশীলনের পর শেষ দিন দুই দলে ভাগ হয়ে একটি ম্যাচও হয়েছে।

সূচি অনুযায়ী দুপুর থেকে অনুশীলন থাকলেও ক্রিকেটারদের মাঠে আসার নির্দেশ ছিল তারও দুই ঘণ্টা আগে। এভাবে প্রায় প্রতিদিন দিন-রাত হাথুরুসিংহে ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করেছেন। এশিয়া কাপের দলে থাকা এক সদস্য রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘এবারের অনুশীলন একবারে অন্য ধাচে ছিল। সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত আমাদের বিভিন্ন কাজ থাকতো। দম ফেলার সুযোগ ছিল না। এটা আমাদের প্রস্তুতিতে অনেক সাহায্য করবে।’

সব প্রস্তুতি শেষ। বাংলাদেশ উড়াল দিচ্ছে শ্রীলঙ্কার পথে। আজ রোববার দুপুরে ১২টা ৫৫ মিনিটের ফ্লাইটে লাল-সবুজের দল যাবে শ্রীলঙ্কায়। সেখানে এশিয়া কাপ মিশন শুরুর আগে হাতে সময় পাবে তিন দিন। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৩১ আগস্ট ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে উড়াল দিবে পাকিস্তানে। ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।

সুপার ফোরে গ্রুপ 'বি' থেকে উত্তীর্ণ হওয়া দুই দল বি-১ ও বি-২ হিসেবে বিবেচিত হবে। সে হিসেবে বাংলাদেশ গ্রুপপর্বে সেরা দুই দলের মধ্যে থাকতে পারলেই সুপার ফোরে পৌঁছে যাবে। সুপার ফোরে উঠলে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ খেলবে। সেখান থেকে লড়াই করে সেরা দুই দলের মধ্যে থাকতে পারলেই ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। সুপার ফোরে উঠতে পারলে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোর ভেন্যু হবে কলম্বো ও লাহোর। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ১৭ সেপ্টেম্বর, কলম্বোতে।

অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পরিকল্পনা ম্যাচ বাই ম্যাচ, ‘এখন পুরোটাই এশিয়া কাপ কেন্দ্রিক আমাদের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি সবকিছুই। এটা যখন শেষ হবে ওয়ার্ল্ড কাপের সময় আসবে তখন আমরা এটা নিয়ে চিন্তা করব। এই মুহুর্তে শুধু এশিয়া কাপ। আরও সংক্ষেপে যদি বলি, এখন শুধু আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আমাদের মাথায় আছে।’

এর আগে এশিয়া কাপে তিনবার রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ। তিনবারই ফাইনালে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও ছুঁয়ে দেখা হয়নি ট্রফি। এবার কী সাকিবের হাত ধরে শিরোপার দেখা পাবে বাংলাদেশ? সময়ের কাছে প্রশ্নটা তোলা থাকুক। তবে যে প্রস্তুতি নিয়ে শ্রীলঙ্কার পথে উড়াল দিয়েছে সাকিবের দল, তাতে স্বপ্ন ডানা মেলবে বলেই সকলের প্রত্যাশা।

রিয়াদ/বিজয়


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়