ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

অচেনা পাথিরানায় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার মিছিল

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ক্যান্ডি থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ৩১ আগস্ট ২০২৩  
অচেনা পাথিরানায় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার মিছিল

ইনিংস ব্রেকের মিনিট দশেকের মধ্যে মাঠে চলে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গ্লাভস হাতে তার সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। একটি বল কুড়িয়ে নিয়ে উইকেটে এসে সাকিব বোলিং অনুশীলন শুরু করেন, পাশে দাঁড়িয়ে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পাল্লেকেলেতে টস জয়ের পর সাকিব জানিয়েছিলেন ব্যাটিং উইকেটের কথা। উইকেট পড়তে কিছুটা ভুল করেছে অধিনায়কসহ টিম ম্যানেজম্যান্ট। বোলাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন, স্পিনে হয়েছে টার্ন। সঙ্গে ছিল বাংলাদেশ ব্যাটারদের এলোমেলো ব্যাটিং। সবমিলিয়ে ৪২.৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬৪ রান!

সাকিব ভালো করেই জানেন এত কম পুঁজি নিয়ে জিততে হলে বোলারদের দিতে হবে সেরারও সেরাটা। তাইতো আগেভাগে বল নিয়ে এসে পড়েন উইকেটে। মিনিট পাঁচেক পর পেসাররাও হাজির হন শেষ প্রস্তুতিতে।

১৬তম বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেক ম্যাচে দ্বিতীয় ওভারে শূন্যরানে ফেরেন তানজীদ হাসান তামিম। শুরুতে পথ হারানোর পর বাংলাদেশ আর পথ খুঁজে পায়নি।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ মাত্র ৩৪ রান নিতে গিয়ে হারায় ২ উইকেট। এরপর ফেরেন অধিনায়ক সাকিব (৫) নিজেই। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটি গড়ে প্রতিরোধের আভাস দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। হৃদয় ২০ রানে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের জুটি। শান্ত এক প্রান্তে অবিচল থেকে হাঁকান ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি।

হৃদয়ের পর মুশফিকের সঙ্গী হন শান্ত। দুজনের জুটিতে স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আপার কাট করতে গিয়ে পাথিরানার বলে এক প্রকার উইকেট বিলিয়ে আসেন মুশফিক (১৩)। তার আগের বলে ফিল্ডিং বদলে থার্ডম্যানে ফিল্ডার আনেন দাসুন শানাকা।

ফাঁদ বুঝতে পারেননি মুশফিক। এর আগে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন নাঈম শেখও (১৬)। মুশফিক ফিরলে শান্তর সঙ্গী হন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘা।

মিরাজের (৫) পর ফেরেন শেখ মাহেদীও (৬)। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে শান্তও টিকতে পারেননি। ৮৯ রানে থামে তার ইনিংস। ১২২ বলে ৭টি চারের মারে এই রান করেন তিনি। তাসকিন আহমেদ-মোস্তাফিজুর রহমান ফেরেন শূন্যরানে। মাঝে ২ রানে অপরাজিত ছিলেন শরিফুল ইসলাম।

এর আগে ৪ ম্যাচে মাত্র ৪ উইকেট নেওয়া পাথিরানা এই ম্যাচে একাই নেন ৪ উইকেট। ৭.৪ ওভারে মাত্র ৩২ রান দেন তিনি।  ২ উইকেট নেন থিকশানা। হাসারাঙ্গা, মদুশঙ্ক, চামিরাদের মতো বোলার না থাকায় বাংলাদেশ টিম স্বস্তিতে ছিল কিছুটা, কিন্তু এই পাথিরানায় যে বিধ্বস্ত হতে হবে কেইবা জানতো?

ক্যান্ডি/রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়