ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

মিরাজ-শান্তর বীরোচিত জুটি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
মিরাজ-শান্তর বীরোচিত জুটি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু

প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যাচ্ছেতাই ব্যাটিং বাংলাদেশকে ঠেলে দেয় খাদের কিনারায়। সুপার ফোরে যাওয়ার দৌড়ে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ কেবল জিতলেই চলবে না, করতে হবে দারুণ কিছু। এগিয়ে থাকবে হবে নেট রান রেটে।

লঙ্কা থেকে লাহোর; ভ্রমণাক্লান্তি শরীরে নিয়েও সমীকরণ মেলানোর ছকটা মাথায় রেখে এদিন আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজকে প্রমোশন দিয়ে মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে পাঠানো হয় ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে। তারা দুজন সূচনাটা করেন উড়ন্ত।

কিন্তু ৪ বলের ব্যবধানে নাঈম (২৮) ও তাওহীদ হৃদয় (০) সাজঘরে ফিরলে ছন্দপতন ঘটে।

কিন্তু সেখান থেকে মিরাজ ও নামজুল হোসেন শান্ত যা করলেন সেটা শব্দের গাঁথুনিতে লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। যদি এক কথায় বলতে বলা হয় তাহলে বলতে হবে-অসাধারণ। আরও একটু বিশেষণ যোগ করে সেটাকে বীরোচিত বলাই শ্রেয় হবে। তারা দুজন যা করেছেন তার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু।

৫ বছর পর আজ ওয়ানডেতে ইনিংস ওপেন করতে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষবার ২০১৮ সালে এশিয়া কাপ মঞ্চেই ইনিংস উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। সেবার ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ওপেনিংয়ে লিটন ও মিরাজ ১২০ রানের জুটি গড়েছিলেন। নিজে ৫৯ বলে করেছিলেন ৩২ রান। এবার নাঈম শেখকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজন ৬০ বলে ৬০ রান তুলে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন।

এরপর নাঈম ৩২ বলে ২৮ রান করে ফিরলে সঙ্গী হারান মিরাজ। নতুন ব্যাটসম্যান তাওহীদ হৃদয় অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। শূন্যরানেই ফেরেন সাজঘরে। তাতে ৬৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

সেখান থেকে মিরাজের সঙ্গে এসে জুটি বাঁধেন দারুণ ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। তারা দুজন তৃতীয় উইকেটে ১৯০ বলে তোলেন বীরোচিত ১৯৪ রান। এ যাত্রায় মিরাজ ১১৫ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। তারপর শান্তও তুলে নেন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরিটি আসে ১০১ বলে ৯টি চার ও ২ ছক্কায়।

এরপর অবশ্য মিরাজ হাতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ তখন ২৫৭ রান। মিরাজের সংগ্রহ তখন ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১১২ রান।

ব্যথা পেয়ে মিরাজ উঠে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর শান্তও আউট হন। দলীয় ২৭৮ রানের মাথায় রান নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে আবার ক্রিজে ফেরার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে আর পৌঁছাতে পারেননি পপিং ক্রিজে। ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১০৪ রান করে আউট হন তিনি।

মিরাজের ১১২, শান্তর ১০৪ ও তাদের দুজনের ১৯৪ রানের জুটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৩৪ রানের বিশাল সংগ্রহ পেতে দারুণ অবদান রাখে। যা বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

এর আগে চলতি বছরের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে বাংলাদেশ ৩৩৮ ও ৩৪৯ রান তুলেছিল। যা বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুটি দলীয় সংগ্রহ।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়