ঢাকা     শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১২ ১৪৩১

দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ৭ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ১৯:১৬, ৭ অক্টোবর ২০২৩
দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ

বিশ্বকাপের আগে দলের ভেতরের দ্বন্দ্ব নিয়ে অনেকটাই টালমাটাল ছিল বাংলাদেশ।সব ছাপিয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।আফগানদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েই পেরিয়ে যায় শান্ত-মিরাজরা। তাতে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো সাকিব আল হাসানের দল।

ম্যাচে টস জিতে আফগানদের ব্যাটিং করতে পাঠায় টাইগাররা।শুরুটা দারুণ করলেও ধরে রাখতে পারেনি শাহিদীর দল। বাংলাদেশের বোলারদের তোপে ৩৭.২ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৫৬ রানে। জবাব দিতে নেমে শুরুতে দ্রুত দুই উইকেট হারালেও শান্ত-মিরাজের ব্যাটে ভর করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল সবুজের দল।

বাংলাদেশের পক্ষে ৮৩ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন শান্ত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭ রান আসে মিরাজের ব্যাট থেকে। মিরাজের ইনিংসে ছিল ৫টি চারের মার।

আরো পড়ুন:

 

জয়ের কাছে এসে থামলেন সাকিব

আগের বলেই চার মেরেছিলেন। পরের বলে মারতে গেলেন উড়িয়ে। ব্যাটে-বলে হলেও বল বাউন্ডারি রোপ পার হলো না। পুল করতে গিয়ে সরাসরি ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিলেন সাকিব। জয় থেকে ১১ রান দূরে থাকতে চতুর্থ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।১৯ বলে ১৪ রান করে থেমেছেন অধিনায়ক।

জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে মিরাজের বিদায়ে ভাঙলো জুটি

জয়ের জন্য দরকার ছিল আর মাত্র ৩৩ রান। দারুণ ব্যাটিং করছিলেন মিরাজ ও শান্ত। এই সময়েই নাভিন উল হককে উড়িয়ে মারতে গেলেন মিরাজ। বল উড়ে যাচ্ছিলো বাউন্ডারির দিকে। তবে দারুণ ক্ষিপ্রতায় সেটাকে তালুবন্দি করে ফেলেন রহমত শাহ। আর তাতেই শেষ হয় মিরাজের ৭৩ বলে গড়া ৫৭ রানের ইনিংস।ভাঙে শান্তর সঙ্গে গড়া ১২৯ বল স্থায়ী ৯৭ রানের জুটি।

মিরাজের ফিফটিতে একশ ছাড়ালো বাংলাদেশ

মিরাজ যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছেন, বাংলাদেশের ইনিংসের তখন বেহাল দশা। সাজঘরে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার তানজীদ ও লিটন। সেই অবস্থায় নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে গড়লেন পঞ্চাশোর্ধ জুটি। দলকে পার করলেন শতরানের ঘর। একই সঙ্গে ৫৮ বলে ৪ চারে তুলে নিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি।

মিরাজ-নাজমুলের জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে দলীয় অর্ধধতক পার করেছে বাংলাদেশ।এর আগের পাওয়ারপ্লেতে ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান সংগ্রহ করে সাকিব আল হাসানের দল। মিরাজ ৫০ বলে ৪৫ ও নাজমুল ৪১ বলে ২৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

জীবন পেলেন মিরাজ, রিভিউ নষ্ট করলো আফগানিস্তান

তানজীদ লিটনের বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজকেও হারাতে পারতো বাংলাদেশ।তবে মিরাজের সজোরে হাঁকানো শট পয়েন্টে ফেলে দেন নজিবুল্লাহ জাদরান।

পরের বলে শান্তর বিপক্ষে জোরালো আপিল করে আফগানরা। কিন্তু এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় আফগানিস্তান। দেখা যায় প্যাডে লাগার আগে ফারুকির বল ছুঁয়ে গিয়েছিল শান্তর ব্যাট।

লিটনের বিদায়ে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

ফজল হক ফারুকির অফ স্টাম্পের বাইরের বল।স্লোয়ার। লিটন স্বাভাবিকভাবেই খেলতে গেলেন কিন্তু বল ব্যাট চুমো খেয়ে ছত্রখান করে দিলো স্টাম্প। ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়ে শেষ হয়েছে লিটনের ১৮ বলে ১৩ রানের ইনিংস।

৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২৭। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী দারুণ ছন্দে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত।

তানজিদের রানআউটে প্রথম উইকেট হারালো বাংলাদেশ

ফজলহক ফারুকির করা ৫ম ওভারের প্রথম বল কাভারে ঠেলে রান নেওয়ার জন্য সামনের পায়ে একটু ঝুঁকেছিলেন লিটন। কল করেননি। তাও তবে অন্য প্রান্ত থেকে তানজিদ ততক্ষণে দৌড়ে উইকেটের মাঝে চলে এসেছেন। কালক্ষেপণ না করে নজিবুল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রো। ব্যস, রান আউট তানজিদ।

বাউন্ডারিতে বিশ্বকাপ শুরু করলেন তানজিদ

ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ। স্বাভাবিকভাবেই নার্ভাস থাকার কথা। কিন্তু তানজিদ হাসান তামিম দেখালেন দৃঢ়তা। ফজল হক ফারুকিকে বাউন্ডারি মেরে বিশ্বকাপ অভিষেকে রানের খাতা খুললেন এই তরুণ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ১৫৬/১০ (৩৭.২ ওভার)

আফগানিস্তানের শুরুটা দেখে মনে হয়েছিল রানের ঘর তিনশ ছাড়াতে যাচ্ছে। একসময় সেই শঙ্কা আরও দৃঢ় হয়। কিন্তু সাকিব আল হাসান সেটা হতে দিলেন না। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আফগানদের প্রথম উইকেটটা তুলে নেন অধিনায়ক। এরপর তার সঙ্গে হাত মেলান বাকিরাও। তাতে ৫০ ওভার টিকতে পারলো না আফগানরা। ৩৭.২ ওভারে গুটিয়ে গেল ১৫৬ রানে।

আফগানদের হয়ে এক রহমানুল্লাহ গুরবাজ ছাড়া কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। গুরবাজের ৪৭ রান হয়ে রইলো দলীয় সর্বোচ্চ।এছাড়া ইব্রাহিম জাদরান ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই করেন সমান ২২ রান করে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুইটি উইকেট দখল করেন শরিফুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। 

মিরাজে ‘বোল্ড’ রশিদ খান, ধুঁকছে আফগানিস্তান

লেংথ খাটো করে গতি একটু কমিয়ে দিয়েছিলেন মিরাজ। এই ধোকার টাটি বুঝতে পারলেন না রশিদ খান। খেলতে চেয়েছিলেন ব্যাকফুটে। কিন্তু যতটা ভেবেছিলেন, বল ততটা ওঠেনি। ইনসাইড এজে বোল্ড হয়েছেন আফগান তারকা। ম্যাচে মিরাজের এটি দ্বিতীয় উইকেট। ১৬ বলে ১ চারে ৯ রান করেন রশিদ।

তাসকিনে উড়ে গেল নবীর স্টাম্প, চালকের আসনে বাংলাদেশ 

সাকিব সবে ফিরিয়েছেন নজিবুল্লাহকে। উদযাপনের রেশ কাটতে না কাটতেই দৃশ্যপটে তাসকিন আহমেদ।বাংলাদেশী পেসারের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন নবি। ইনসাইড এজে উড়ে গেছে স্টাম্প।আউটের আগে ১২ বলে ৬ রান করেন নবী।

নজিবুল্লাহকে ফিরিয়ে সাকিবের ‘তিন’, চাপে আফগানিস্তান

সাকিবের বলটা বুঝতেই পারেননি নজিবুল্লাহ জাদরান। লাইন পুরো মিস করে বোল্ড হয়েছেন এই ব্যাটার। টার্ন করবে ভেবেছিলেন, যা হয়নি। সাকিব পেয়েছেন তার তৃতীয় উইকেট, আফগানিস্তান হারিয়েছে তাদের পঞ্চম। দারুণ শুরু করা আফগানিস্তান এখন আছে চাপে।

শাহিদীকে ফেরালেন মিরাজ,গুরবাজের প্রতিরোধ ভাঙলেন মোস্তাফিজ

উইকেটে এসে কিছুটা সময় নিয়ে সেট হতে চেষ্টা করলেন হাসমতউল্লাহ শাহিদী।তবে রানের দ্বিগুণ খরচ করলেন বল। ৩৭ বলে রান তখন ১৮ রান। চাপ ঝেঁকে বসেছিল। সেটা থেকে বের হতেই কিনা মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বল মারার চেষ্টা করলেন।

তবে প্লেসমেন্টটা ঠিকঠাক করতে পারেননি, যেভাবে খেলতে চেয়েছিলেন পারেননি সেটিও। ব্যাটের কানায় লেগে উঠলো ক্যাচ। তালুবন্দি করতে ভুল করেননি তাওহীদ হৃদয়। শাহিদীর বিদায়ে অন্যপ্রান্তে গুরবাজের চোখে মুখে হতাশা ফুটে উঠেছিল স্পষ্ট। তবে তিন বল পর ধরা পরেন তিনিও।

অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে তুলে মারতে গেলেন মোস্তাফিজকে। বল উড়ে গেল ডিপ পয়েন্টে। সীমানার কাছ থেকে ছুটে এসে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। ৬৩ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৭ রান করেন গুরবাজ।

ফের সাকিবের আঘাত, ফিরে গেলেন রহমত শাহ 

ইব্রাহিম জাদরানের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহ। বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল আরেকটি ব্রেকথ্রু। এবারও দৃশ্যপটে অধিনায়ক সাকিব।

অফ স্টাম্পের বাইরের বল। এবারও লেংথ কম। অনেকটা টোপ ফেলা যাকে বলে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে আবার সুইপের চেষ্টা, হলো না। আবার টপ-এজ। কাভারে দাঁড়ানো লিটন ক্যাচ নিতে ভুল করেননি।

সাকিবের দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশ পেয়েছে স্বস্তি।ভেঙেছে ৪১ বল স্থায়ী ৩৬ রানের জুটি।২৫ বলে এক চারে ১৮ রান করেন রহমত।৪১ বলে ৩৬ রানে খেলছেন গুরবাজ। ক্রিজে তার সঙ্গী অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি। 

প্রথম পাওয়ারপ্লেতে আফগানদের অর্ধশতক

ইব্রাহিম জাদরানকে তুলে নিলেন সাকিব। ওইটুকুই। বাকি সময়টায় সাবলীল ব্যাটিং করে গেছে আফগানিস্তান।মোটামুটি ভালো শুরুই পেয়েছে তারা। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৫০ রান তুলেছে দলটি।

ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন সাকিব

দুই আফগান ওপেনার আস্তেধীরে চড়াও হয়ে উঠেছিলেন। তাদের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন তিন পেসার তাসকিন-শরিফুল-মোস্তাফিজ। বাধ্য হয়ে আক্রমণে এলেন অধিনাইয়ক সাকিব। আর এসেই তুলে নিলেন চড়াও হয়ে ওঠা ইব্রাহিম জাদরানকে। সুইপ করতে গিতে তানজিদ হাসানের হাতে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি। ইব্রাহিম থেমেছেন ২৫ বলে ২২ রানে, আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ৪৭ রানে।

 

ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানদের দারুণ শুরু

ম্যাচের আগে পিচ রিপোর্ট বলছিল, উইকেটে পেসারদের জন্য আদর্শ। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারলেন না শুরু বোলিং জুটি তাসকিন ও শরিফুল।এই দুজনকে সামলে দেখেশুনে খেলে আস্তেধীরে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে আফগানরা।দারুণ শুরু করেছেন তাদের দুই ওপেনার।

প্রথম ওভারে বেশ আঁটসাঁট ছিলেন তাসকিন। দ্বিতীয় ওভারে এক চার হজম করলেও দারুণ বোলিং করেছেন শরিফুল। এরপরই অবশ্য চরাও হয়েছেন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। বাধ্য হয়ে ৫ ওভার পরই বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

চার তরুণের বিশ্বকাপ অভিষেক, দলে আছেন মাহমুদউল্লাহ

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, তানজিদ হাসান ও শরিফুল ইসলামের। এদের মধ্যে শান্ত বাদে বাকি তিনজন এর মধ্যেই একটি বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেয়েছেন। ২০২০ সালের যুব বিশ্বকাপে তারাই দেশকে এনে দিয়েছেন বড় কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা।

এই ম্যাচে আছেন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। বহু জল্পনাকল্পনা শেষে বিশ্বকাপে দলের সঙ্গী হয়েছিলেন রিয়াদ।অবশেষে প্রথম ম্যাচেও একাদশে জায়গা পেলেন এই সিনিয়র ক্রিকেটার। 

তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যচে তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। পেস বিভাগে থাকছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।স্পিনে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।প্রয়োজনে হাত ঘুরাতে প্রস্তুত আছেন মাহমুদউল্লাহও।

বাংলাদেশ একদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবী, নাজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নবীন-উল-হক ও ফজল হক ফারুকী।

টস
নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বোলিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ অ্যাসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ আফগান বোলিং

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হবে আফগানিস্তানের নোলিং সামলানো। নতুন বলে ফজল হক ফারুকি আর তিন স্পিনার মুজিব উর রহমান, রাশিদ খান ও মোহাম্মদ নাবিকে কতটা ভালোভাবে খেলতে পারবেন ব্যাটসম্যানরা, সেটির ওপরই অনেকটা নির্ভর করবে ম্যাচের ফল।

পরিসংখ্যানে এগিয়ে বাংলাদেশ
ওয়ানডে ফরম্যাটে মুখোমুখি লড়াইয়েও আফগানিস্তানের বিপক্ষে এগিয়ে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ১৫ বার। এর মধ্যে ৯টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, ৬টিতে জয় পেয়েছে আফগানরা। দুদলের শেষ দেখায় এশিয়া কাপে আফগানদের উড়িয়ে দিয়েছিল সাকিবের দল। 

আফগানদের বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্বৈরথেও এগিয়ে বাংলাদেশ। ওয়ানডের বিশ্বমঞ্চে এখন পর্যন্ত দুইবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তাতে শতভাগ জয় সাকিব আল হাসানদের। বিশ্বমঞ্চের লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে এসব পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে কিছুটা আত্মবিশ্বাস যোগাবে টাইগার শিবিরে।

আবার শেষ দশ ম্যাচের পরিসংখ্যানও কথা বলছে বাংলাদেশের পক্ষে। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান লড়াইয়ের শেষ ১০ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৬টি ম্যাচ, বিপরীতে আফগানিস্তানের জয় ৪ ম্যাচে।

ঢাকা/বিজয়

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়